রংপুরে লাগামহীন সবজির দামে ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষোভ

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লাগামহীন সবজির দামে ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষোভ

লাগামহীন সবজির দামে ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষোভ

রংপুরে লাগামহীন সবজির দামে অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক কৃষিপণ্যের উৎপাদন হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সবজির দামে কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। লাগামহীন সবজির দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। একদিকে মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজারে আগুন, অন্যদিকে সবজিও এখন বিলাসবহুল পণ্যের তালিকায়।

রংপুর নগরীর সিটি বাজার ঘুরে দেখা, কেজিপ্রতি ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি, গাজর ২২০-২৪০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

আকাশচুম্বী দামে সবজি কিনতে আয়ের সাথে ব্যয়ের সমন্বয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা৷ নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের খাদ্য তালিকায় মাছ- মাংস-ডিম কেনা যেমন দুষ্কর হয়ে উঠছে তেমনি বিলাস-পণ্য মনে হচ্ছে সবজিও।

সেইসাথে হালিপ্রতি ৬০ টাকা আগুন দরে বিক্রি হচ্ছে ডিম। এতে করে বাজারের চারিদিকে লাগামহীন দামে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।

বাজার করতে আসা ক্রেতা জেসমিন ও রেবেকা বলেন, আগেও জিনিসপাতি বেশি দামে কিনছি এখনো তারচেয়ে আরও দাম। আমরা গরীব মানুষ দিন আনি দিন খাই। যদি সবজি-ভাত না খাইতে পারি তাইলে বাঁচবো কেমনে? মাছ-মাংস কেনাতো বাদেই দিছি। এখন এক হালি ডিম কিনতে লাগে ৬০ টাকা, যা গায়ে লাগে। দিনে কাজ করিয়া বাজারে জিনিসপত্র কিনতে আইলে মাথা ঠিক থাকে না। আমরা চাই জিনিসপত্রের দাম কমুক, শান্তিমতো সবজি, ভর্তা ভাত খাইতে চাই।

দামা বাড়াতে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতিও কম

সবজি কিনতে আসা ক্রেতা মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্তরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আর কুলাতে পাচ্ছি না। আগেও জিনিসপত্রের দাম ছিল, নতুন সরকারের সময়ও দাম বেশি তাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের লাভ কি? বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং সে সিন্ডিকেট সেখানে যদি এখনো ঘাটতি থাকে আমরা কি ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবো। যত জ্বালা আমাদের সাধারণ মানুষদের।’

সবজি বিক্রেতা জামিউল বলেন, উত্তরাঞ্চলে বন্যার পানিতে সবজির ক্ষেত তলিয়া গেছে। পূজার মধ্যে সবজির চাহিদা ছিল অনেক বেশি। আমদানি সঙ্গে চাহিদার ঘাটতি এবং বাজারে নতুন আগাম সবজি উঠছে সব মিলিয়ে দাম বেশি। আমরা আড়ত থেকে বেশি দামে কিনছি, কিছু টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছি। তবে দাম বেশি থাকলে আমাদের পণ্য বিক্রি করতে সমস্যা হয়। ক্রেতারা ঘুরে যায়, তর্ক বির্তকের সৃষ্টি হয়। যে পরিমাণ টার্গেট থাকে, সেরকম বিক্রি হয় না। তাই শুধু ক্রেতারাই নয়, ব্যবসায়ী হয়ে আমাদেরকেও ঊর্ধ্বমূল্যে বাজারে হয়রানি হতে হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের দাম কমুক, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকুক জিনিসপত্রের দাম, এই প্রত্যাশা সকলের।