নানা অসন্তোষে কাটল বইমেলার প্রথম সপ্তাহ

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’
  • কানজুল কারাম কৌষিক, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৪ এর এক সপ্তাহ পূর্ণ হলো আজ । প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে কবি ও লেখকদের নতুন নতুন বই। গল্প, উপন্যাস, কাব্য, সায়েন্স ফিকশন, শিশুতোষ বইসহ নানা রকম বই নিয়ে লেখকগণ বিভিন্ন প্রকাশনীর মাধ্যমে তাদের বই নিয়ে আসছেন পাঠকদের জন্য। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ৬৯ টি। এই পর্যন্ত মেলায় নতুন বই এসেছে ৪১৮টি। তবে বইমেলার স্টলে বিক্রয়ের দায়িত্বে থাকা প্রকাশক, মার্কেটিং ম্যানেজার, বিপণন কর্মীদের ভাষ্যে এখনো মেলা নিয়ে রয়েছে নানারকম অসন্তোষ।

বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সরেজমিনে বিক্রয়ের দায়িত্বে থাকা প্রকাশক,মার্কেটিং ম্যানেজার, বিপণন কর্মীদের সাথে কথা বললে তাদের নানা রকম অসন্তুষ্টির কথা জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

প্রথমা স্টলের মার্কেটিং ম্যানেজার বই মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমির ব্যাপারে বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাংলা একাডেমি দিন দিন বই মেলার আয়োজনটির মান কমিয়ে ফেলছে। প্রতিবারই যেন মান কমে যাচ্ছে মেলার। পাঠকগণ আমাদের কাছে টয়লেট ও পরিবেশ এর ব্যাপারেও অভিযোগ করেছেন।

মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনীর বিপণন কর্মী তামীম আল রাজী বার্তা ২৪.কমকে জানান, আমি গতবারও বইমেলায় এই স্টলে ছিলাম। এবার মেলায় ভিড় বেশ ভালো। তবে বই বিক্রি গতবারের তুলনায় কম। মানুষ এসে ঘুরে ফিরে যাচ্ছেন তবে বই বিক্রি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট হইনি এখনো।

ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড এর মার্কেটিং ম্যানেজার বার্তা ২৪.কমকে জানান, গতবারের তুলনায় এবার এখনো তেমন সাড়া পাচ্ছি না। বই বিক্রি হচ্ছে তবে গতবারের চেয়েও কম।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে লিটল ম্যাগ চত্বরে নোঙরের সম্পাদক ও প্রকাশক সুমন সাজের সাথে বার্তা ২৪.কমের প্রতিনিধির সাথে কথা হয় । তিনি বলেন, আমাদেরকে সব সময় এক কোণায় রেখে অবহেলা করা হয়েছে। চত্বরের কিছু স্টল গাছের আড়ালে পড়ে গেছে। পুরো জায়গাটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আমরা ইতিমধ্যে অভিযোগ দিয়েছি, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ৩০ বার পরিদর্শন করে গেছে। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখনো অনেক স্টলের জায়গা ঠিক করা হয় নি। পরের বার আমাদের সাথে এমন আচরণ করলে বাংলা একাডেমিকে বয়কট করব।

এ বিষয়ে বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব বলেন, আমরা চেয়েছিলাম গতবারের জায়গাতেই লিটলম্যাগ চত্বরকে রাখতে। মোড়ক উন্মোচন চত্বরে শব্দের কারণে মেলার লিটল ম্যাগ চত্বরের স্টলগুলোর সমস্যা হত। লিটলম্যাগকর্মীদের কেউ কেউ এই জায়গাটি চেয়েছেন। এখানে যেটুকু জায়গা আছে, সেখানে স্টল বিন্যাস করা হয়েছে।

এদিকে বুধবার বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: গোবিন্দ চন্দ্র দেব শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন জয়দুল হোসেন এবং সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল।

প্রসঙ্গত, এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বরাদ্দ পেয়েছে ৩৭টি প্যাভিলিয়ন।