বইমেলায় বাউল গান শোনাবে সাধুসঙ্গ

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে বাউল সঙ্গীতের স্থান। অমর একুশে বইমেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভবের আহ্বান জানাতে গান শোনাবেন লালন সাঁইজির ভক্তরা। পুরো মেলা জুড়ে গান শোনানোর প্রস্তুতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাধুর ভক্তরা এসেছেন বইমেলায়।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভাবনগর চত্বরে বাউল গানের আসর বসান সাধুসঙ্গের ভক্তরা।

বিজ্ঞাপন

এদিন সাধুদের মধ্যে — বরিশাল থেকে এসেছেন শাহ আলম দেওয়ান, চুয়াডাঙ্গা থেকে সাদিকা সৃজনী তানিয়া, শরিয়তপুর থেকে শিলা মল্লিক, নেত্রকোনা থেকে এসেছেন বাউল চাঁন খাঁ।

বাউলরা জানান, আধ্যাত্মিক আলোচনার মাধ্যমে শরীর মন আত্মার উন্নয়ন সাধনে সাধুগুরু, বাউল, ফকির, পীর-মাশায়েখ, গোঁসাই, পাগল সহ লালন সাঁইজির ভাবধারায় একত্র হয়ে নিজেদের সাথে মত বিনিময় করার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য পাওয়ার আশায় এই সাধুসঙ্গ যাত্রা শুরু করে। প্রায় ১২ বছর ধরে সঙ্গের ভক্তরা আসর জমান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

নিজ উদ্যোগে সাধু ভক্তরা বাংলা একাডেমি চত্বরে আসলেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রয়েছে বলে জানান তারা।

বাউল শাহ আলম দেওয়ান বলেন, আমরা এখানে এসেছি ভাবের আদান প্রদান করতে। আমরা নিজ খরচেই এখানে এসেছি। বইমেলা যেহেতু বাঙালির ঐতিহ্য সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের আমন্ত্রণ করলে এটা একটা কালচার হিসেবে থেকে যাবে। দর্শণার্থীরাও বাউল গান সম্পর্কে, সাধুদের সম্পর্কে জানতে পারবে।

সাধুসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. সাইমুন জাকারিয়া বলেন, এটা আমাদের ৪৮৮তম আসর। আমরা নিয়মিত এখানে সাধুসঙ্গের আসর করে থাকি। এবার বইমেলা উপলক্ষে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিদিন আসরের আয়োজন করতে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমাদের জন্য ভালো হতো। দেধের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুরা এখানে আসে, তাদের একটা খরচ আছে। বইমেলায় বাউলদের জন্য আলাদা চত্বর করলে দর্শনার্থীদের বিনোদনের ব্যবস্থা হতো।