৯ বছরের আবদুল আউয়াল সাড়ে ৪ মাসে কোরআনের হাফেজ
কোরআন মজিদ আল্লাহতায়ালার প্রেরিত কিতাব। কোরআন তেলাওয়াতে অসাধারণ জ্ঞান অর্জিত হয়, কোরআনের বিধান মেনে চললে সম্মান মেলে। কোরআন শিক্ষাদানকারীকে সর্বোত্তম ব্যক্তি বলে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ঘোষণা করেছেন।
দুনিয়ার বুকে কোরআনের পাঠক এবং মুখস্থকারী (হাফেজ) পৃথিবীর যেকোনো বইয়ের চেয়ে বেশি। এমন কোনো জনপদ নেই যেখানে কোরআনের হাফেজ নেই। নানা বয়সি মানুষ কোরআন মুখস্থ করছেন, শিশু-কিশোর, যুবক-বৃদ্ধ, অন্ধ, নারী রয়েছেন এই দলে। কেউ কোরআন মুখস্থ করছেন একটু সময় নিয়ে, আবার কেউ করছেন খুব কম সময়ে।
এসবের ধারাবাহিকতায় এবার মাত্র সাড়ে চার মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে (হাফেজ) কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলেন নয় বছরের শিশু মো. আব্দুল আউয়ালে। ২০১০ সালের ২ নভেম্বর জন্ম নেওয়া এই কিশোর হাফেজ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ভান্ডারি মহলস্থ জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। পাশাপাশি সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতেও পড়ালেখা করছে।
হাফেজ আব্দুল আউয়াল ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের মৌলভীবাড়ির মো. মোশারফ হোসেন (মোশারফ মাস্টার নামে পরিচিত) ও মাজেদা আক্তারের ছেলে। দুই সন্তানের মধ্যে আব্দুল আউয়াল বড়। তার বাবা বর্তমানে ৫৮নং পশ্চিম ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
২০১৮ সালে আব্দুল আউয়ালকে মাদরাসায় ভর্তি করা হয়। এক বছরে নূরানী ও নাজেরা শেষ করে ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট কোরআন হিফজ করা শুরু করেন এই কিশোর। হিফজ শুরুর প্রথম দিকে প্রতিদিন ৩ পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করতো, কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতে সে দৈনিক ৬-৭ পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করতে থাকে আব্দুল আউয়াল। এভাবে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পুরো কোরআন মুখস্থ করে শেষ করে। মাঝে ১৫ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যে ছুটি নিয়েছিল। এ হিসেবে মাত্র সাড়ে চার মাসে সে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।