উমরা মৌসুমের পরিকল্পনা ঘোষণা হারামাইন প্রেসিডেন্সির

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র কাবা তওয়াফ করছেন মুসল্লিরা, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবা তওয়াফ করছেন মুসল্লিরা, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পরিষদ দ্য প্রেসিডেন্সি ফর রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স ২০২৪ সালের উমরা মৌসুমের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস এ প্রসঙ্গে বলেন, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো- আগামী উমরা মৌসুমে যাত্রীদের সেবা ও সুবিধাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া।

বিজ্ঞাপন

হারামাইন প্রেসিডেন্সির সূত্রে আরব নিউজের দাবি, ঘোষিত পরিকল্পনা প্রেসিডেন্সির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। উমরা যাত্রী এবং দর্শনার্থীদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি উমরা মৌসুমে শত শত ধর্মীয় সমৃদ্ধিমূলক উদ্যোগ এবং কর্মসূচির মাধ্যমে একটি ভক্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করাই এর উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে হাজার হাজার মানুষকে দুই পবিত্র মসজিদে আকৃষ্ট করা।

পরিকল্পনা চালুর প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে শায়খ সুদাইস বলেন, আমাদের পরিকল্পনা উমরা ব্যবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে সমন্বিত ভূমিকা বাড়াতে এবং সমস্ত সরকারি কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

এ সময় তিনি ঘোষণা করেন, মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববিতে আগতদের সেবা প্রদানে লক্ষে স্মার্ট ও ধর্মীয় রোবট চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী মৌসুমে উমরা যাত্রীর বার্ষিক সংখ্যা বৃদ্ধি করে তিন কোটি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সৌদি আরবের উমরা বিষয়ক সহকারী আন্ডারসেক্রেটারি আবদুর রহমান বিন ফাহাদ দেশটির আল-আখবারিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর উমরা পালনকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। চলতি বছর উমরাযাত্রীর সংখ্যা এক কোটি থেকে বাড়িয়ে তিন কোটি করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

২০২৩ সালে এক কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মুসলিম উমরা পালন করেছেন, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। হজের আগে দুই কোটির বেশি উমরা যাত্রীর আশা করেছিল সৌদি আরব।

গত বছর সবচেয়ে বেশি উমরাযাত্রী গেছেন ইন্দোনেশিয়া থেকে। দেশটি থেকে ১০ লাখ ৫ হাজার ৬৫ জন উমরা করেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান থেকে উমরা করেছেন ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০৮ জন। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত, মিসর ও ইরাক। ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের উমরা পালনকারীর সংখ্যা ২ লাখ ৩১ হাজার ৯২ জন।

উমরা শব্দের অর্থ পরিদর্শন করা ও সাক্ষাৎ করা। পবিত্র কাবাগৃহের জিয়ারতই মূলত উমরা। ইসলামের ভাষায় পবিত্র হজের সময় ছাড়া অন্য যেকোনো সময়ে পবিত্র কাবাঘর তওয়াফসহ নির্দিষ্ট কিছু কাজ করাকে উমরা বলা হয়।

উমরা পালনে প্রধানত চারটি কাজ। দুটি কাজ ফরজ- ইহরাম পরিধান করা এবং পবিত্র কাবাঘর তওয়াফ করা। আর দুটি কাজ ওয়াজিব- সাফা ও মারওয়া সাতবার সায়ি করা এবং মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছোট করা।