হজে ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ নিষিদ্ধ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হজে রাজনৈতিক স্লোগান নিষিদ্ধ, ছবি: সংগৃহীত

হজে রাজনৈতিক স্লোগান নিষিদ্ধ, ছবি: সংগৃহীত

বোরকা পরা এক নারী গাজার নির্যাতিতদের প্রতি সংহতি জানিয়ে পবিত্র কাবার সামনে ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে এক পুলিশ তার হাত থেকে পতাকাটি কেড়ে নেয়। ভিডিওতে ওই নারীকে ধমকাতেও দেখা যায়! পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও ঘটনাটি প্রকাশ পেয়েছে।

এটা নিয়ে সমালোচনা থামতে না থামতেই গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে হজ চলাকালে যেকোনো প্রকার রাজনৈতিক স্লোগান নিষিদ্ধ করল সৌদি আরব।

বিজ্ঞাপন

গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশটির পবিত্র স্থানগুলোতে রাজনৈতিক স্লোগান দেয়া থেকে বিরত থাকতে হজযাত্রীদের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সৌদির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল রাবিয়া বলেছেন, ‘হজ হচ্ছে ইবাদতের সময়, এটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি প্রকাশের সময় নয়।’

‘হজযাত্রীদের জন্য শান্ত ও ভক্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে তারা স্বস্তির সাথে ধর্মীয় আচার পালন করতে পারেন।’

আসন্ন হজ মৌসুমের খুঁটিনাটি তুলে ধরতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘হজ সত্যিকার অর্থে ভক্তি, প্রশান্তি ও আধ্যাত্মিকতার সর্বোচ্চ স্তরের ক্রিয়াকলাপ এবং সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতেই কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। খোদা সৌদি আরবকে রক্ষা করুন।’

তিনি বলেন, ‘সবার আধ্যাত্মিকতা ও ভক্তির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে- এমন যেকোনো ঝামেলা হজযাত্রীদের এড়িয়ে চলা উচিৎ।’

সৌদি আরবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে রাজনীতি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। গাজায় দখলদার ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামলেও সৌদি আরবে এমনটা দেখা যায়নি।

সৌদি আরবের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লিখছেন, ‘ইসলাম একটি জীবন ব্যবস্থা। ইসলামে রাজনীতি ও ইবাদতের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতর ঢুকে হামলা চালায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ বেসামরিক ইসরায়েলি নিহত হয় এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে যায় হামাস।

ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় অবিরাম স্থল ও বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরাইলের হামলায় উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে বলে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।