শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার দোয়া
শয়তান মানুষের ঈমান ও আমল নষ্ট করার জন্য সদাতৎপর। শয়তান নিজে যেমন চিরকালের জন্য অভিশপ্ত ও জাহান্নামি, তেমনি মানুষকেও অভিশপ্ত ও জাহান্নামে তার সঙ্গী বানানোর পাঁয়তারায় ব্যস্ত। মানুষকে আল্লাহর অবাধ্য বানানোর জন্য যত প্রকার শক্তি ও সামর্থ্যরে প্রয়োজন সে আল্লাহর কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে। তাই ঈমান-আমল যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহতায়ালা স্বয়ং শয়তানের হামলা থেকে বাঁচার আমল শিখিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা নবীজিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আপনি বলুন, হে আমার রব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি শয়তানদের সব অমঙ্গল ও অনিষ্টতা থেকে।’ -সুরা মুমিনুন : ৯৭
নবী করিম (সা.) সাহাবাদেরকে বিভিন্ন আমল ও দোয়া শিখিয়েছেন। এমনই একটি দোয়া হলো-
উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদির।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তারই জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
উপকার : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এক শ’ বার এ দোয়াটি পড়বে, সে ১০টি গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব পাবে। তার জন্য এক শ’ সওয়াব লেখা হবে এবং আর এক শ’ গোনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে। কোনো লোক তার চেয়ে উত্তম সওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ওই ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে বেশি ওই দোয়া পড়বে। -সহিহ বোখারি : ৩২৯৩
গোনাহ হয়ে গেলে দোয়া
উচ্চারণ : আতুবু ইলাল্লাহি মিম্মা আজনাবতু।
অর্থ : আমি যে অপরাধ করেছি, তা থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উপকার : হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার তিনি ছবিযুক্ত গদি ক্রয় করেন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) (তা দেখে) দরজায় দাঁড়িয়ে থাকলেন, প্রবেশ করলেন না। তখন হজরত আয়েশা (রা.) এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। -সহিহ বোখারি : ৫৯৫৭