জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াতের ফজিলত
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জুমাবারের অনেক আমল বর্ণিত হয়েছে। জুমাবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতর দিন। সুরা কাহাফ তেলাওয়াত এই দিনের অন্যতম আমল।
মহান আল্লাহর প্রশান্তি লাভ
হজরত বারা বিন আজেব (রা.) বর্ণনা করেছেন, জনৈক ব্যক্তি (নামাজে) সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিল। তখন বাড়ির একটি চতুষ্পদ জন্তু লাফাতে শুরু করে। অতঃপর সে সালাম বলল। তখন কুয়াশা বা একখণ্ড মেঘ তাকে আবৃত করে রাখে। বারা বিন আজিব (রা.) বলেন, বিষয়টি তিনি হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বর্ণনা করেন। তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে অমুক, তুমি সুরাটি তেলাওয়াত করো। কারণ এটি আল্লাহর রহমত বা প্রশান্তি, যা কোরআন তেলাওয়াতের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল।’ -সহিহ বোখারি : ৩৬১৪
দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা
হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ -সহিহ মুসলিম : ৮০৯
আরেক বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ -মুসনাদে আহমদ : ৪৪৬/৬
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ –সুনানে তিরমিজি : ২৮৮৬
সুরা পাঠে চারিদিকে নুর
হজরত মুআজ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলে কারিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শুরু ও শেষ তেলাওয়াত করবে তার পায়ের নিচ থেকে মাথা পর্যন্ত নুর প্রজ্বলিত হবে। আর যে ব্যক্তি পুরো সুরা তেলাওয়াত করবে, তার জন্য আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত নুর প্রজ্বলিত হবে।’ -মুসনাদে আহমদ : ৪৩৯/৩
দুই সপ্তাহের গোনাহ মাফ
ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার পায়ের নিচ থেকে আসমান পর্যন্ত নূর প্রজ্বলিত হবে এবং কেয়ামতের দিন তার জন্য উজ্জ্বল হবে। আর দুই জুমার মধ্যবর্তী সব গোনাহ ক্ষমা করা হবে।’ -তাফসিরে ইবনে কাসির : ৬/৩৯৮
হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নুর প্রজ্বলিত হবে।’ -সুনানে দারেমি : ৩৪০৭