ইরান প্রবর্তিত মুস্তফা (সা.) পুরস্কার বিজয়ী পাঁচ বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিজয়ীদের মধ্যে এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানী রয়েছেন।
ইরানের মুস্তফা (সা.) ফাউন্ডেশন দুই বছর পরপর বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মুসলিম বিজ্ঞানী ও গবেষকদের পুরস্কৃত করে থাকে। চতুর্থবারের মতো এবার পুরস্কার ঘোষণা করা হলো।
শ্রেষ্ঠ প্রবাসী মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে এবার যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের পদার্থ বিজ্ঞানী জাহিদ হাসান ও ইরানের বিজ্ঞানী কামরান ওয়াফা।
বাংলাদেশের জাহিদ হাসান যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। ইরানের কামরান ওয়াফা অধ্যাপনা করছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ ছাড়া এবার স্বদেশে বসবাসকারী শ্রেষ্ঠ মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছেন মরক্কোর ইয়াহিয়া তিয়ালাতি, লেবাননের মুহাম্মাদ সানেগ ও পাকিস্তানের মুহাম্মাদ ইকবাল চৌধুরী।
এর আগে আরও তিন দফায় ৯ জন শ্রেষ্ঠ মুসলিম বিজ্ঞানীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। তারা হলেন- ইরান, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক ও জর্ডানের নাগরিক। প্রত্যেক বিজয়ীকে মুস্তফা (সা.)-এর পুরস্কারের ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
ইরান সরকারের সহায়তায় মুস্তফা ফাউন্ডেশন শিক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত করা লক্ষ্যে ইসলামি দেশসমূহের মুসলিম বৈজ্ঞানিকদের উৎসাহ দিতে এ পুরস্কারের আয়োজন করে। মুস্তফা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের মুসলিম হতে হয়, তবে লিঙ্গ এবং বয়স সম্পর্কিত অন্য কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
২০১৫ সালে এ পুরস্কার প্রথম প্রবর্তন করা হয়।
১২ রবিউল আউয়াল তারিখে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিজয়ীরা পাবেন ১ মিলিয়ন ডলার। যৌথভাবে বিজয়ীরা পুরস্কারের অর্থ সমানভাগে ভাগ করে নেবেন।
মানবজাতির স্বভাবগত পরিচ্ছন্নতা, মানসিক ভারসাম্য এবং চারিত্রিক পবিত্রতার অন্যতম উপায় হলো বিয়ে। পবিত্র, পরিচ্ছন্ন, সংযত ও সুশৃঙ্খল জীবনের জন্য বিয়ের বিকল্প নেই। ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে শুধু জৈবিক প্রয়োজন পূরণের মাধ্যম নয়, বরং একটি মহান ইবাদত ও ধর্মীয় অনুশাসন এবং আচারের অন্যতম অংশ। এ জন্য ইসলামে বিয়ের যথেষ্ট গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে।
বিয়ের মাধ্যমে গড়ে ওঠে নারী-পুরুষের শান্তি-সুখের পরিবার। এরপর পরিবারে জন্ম নেয় ভালোবাসার সেতুবন্ধ মানব শিশু। সেই শিশু একসময় পূর্ণ মানবে পরিণত হয়। এভাবেই মানব প্রজন্মের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানুষ! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো।’ -সুরা হুজরাত : ১৩
বিয়ে মানসিক প্রশান্তি, স্বাভাবিক ও সুশৃঙ্খল জীবনের অন্যতম মাধ্যম। বিয়ের মাধ্যমে দুটি পরিবারের মধ্যে সখ্য, ভালোবাসা ও দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ সৃষ্টি হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর তার নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্যে থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীদের, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য তাতে অবশ্যই বহু নিদর্শন আছে।’ -সুরা রুম : ২১
আমাদের সমাজে সাধারণত বিয়ের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য, সম্পদ ও বংশ মর্যাদা দেখা হয়। এগুলোর কোনোটি টেকসই প্রশান্তি নিশ্চিত করতে পারে না। প্রশান্তির জন্য প্রয়োজন নৈতিকতা, দায়িত্ব সচেতনতা, কর্তব্যবোধ, কল্যাণকামিতা, অল্পে তুষ্টতা, পরকালকে অগ্রাধিকার দেওয়া ইত্যাদি। এসব রয়েছে দ্বিনের মধ্যে। এ জন্য বিয়ের ক্ষেত্রে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ধার্মিকতাকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেন, ‘চারটি গুণ দেখে মেয়েদের বিয়ে করা হয়। তার সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য ও ধার্মিকতা। তোমরা ধার্মিকতাকে প্রাধান্য দাও।’ -সহিহ বোখারি : ৪৮০২
ইসলামের দৃষ্টিতে সর্বোত্তম, কল্যাণকর ও বরকতময় বিয়ে হলো, যা খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সহজসাধ্যভাবে অল্প খরচে অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো আয়োজন, জৌলুসপূর্ণ আলোকসজ্জা, গান-বাদ্য এবং খরচের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিয়ের বরকত নষ্ট করে। হজরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সর্বোত্তম বিয়ে হলো যা সহজসাধ্য হয়।’ -মুসনাদ আহমাদ : ২৪৫২৯
আরেকটি কথা, ইসলাম বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে কোনো সীমারেখা নির্ধারণ করেনি; বরং শারীরিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে সক্ষমতা অর্জনকেই বিয়ের যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে। অঞ্চলভেদে পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী বিয়ের সমীচীন বয়সসীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে বিশেষ অবস্থায় এ বয়সসীমা শিথিলও হতে পারে। যেমন- কোনো ব্যক্তির যৌনসংক্রান্ত অনাচারে লিপ্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকলে এবং অন্যান্য সামর্থ্য অর্জিত হলে তার বিয়েতে বাধা দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে কোনোভাবে সমীচীন নয়।
এভাবে কোনো নারী শারীরিক, মানসিকভাবে পূর্ণতা লাভ করার পর সুযোগ্য পাত্র পাওয়া গেলে তার অভিভাবকদের দ্রুত বিয়ের আয়োজন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন এমন কোনো ব্যক্তি তোমাদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পেশ করে, যার দ্বিনদারি ও চারিত্রিক দিক তোমাদের মুগ্ধ করে, তখন তোমরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দাও। যদি তোমরা তা না করো তাহলে সমাজে বিরাট ফিতনা-ফ্যাসাদ ও বিপর্যয় দেখা দেবে।’ -জামে তিরমিজি : ১০৮৪
আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে পবিত্র হজের নিবন্ধন না করলে মিনা ও আরাফার ময়দানে কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এতে জামারা (কঙ্কর নিক্ষেপের স্থান) থেকে অনেক দূরে, পাহাড়ি এলাকায় ও নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাঁটার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালে হজে গমনেচ্ছু হজযাত্রী, বেসরকারি হজ এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, রাজকীয় সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে, আল-মাশায়ের ও আল-মোকাদ্দাসার (মিনা ও আরাফা) তাঁবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে তাঁবু বরাদ্দ প্রদান করা হয় বলে বিশ্বের অনেক দেশ জামারার নিকটবর্তী জোনে তাঁবু বরাদ্দ নেবে।
ফলে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন না হলে মিনা ও আরাফার ময়দানে কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। তাঁবু গ্রহণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে বিলম্ব হলে হজযাত্রীদের জামারা থেকে অনেক দূরে, পাহাড়ি এলাকায় ও নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাঁটতে হবে যা হজযাত্রীদের জন্য কষ্টকর হবে। মিনা ও আরাফার কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু গ্রহণ, সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন, মক্কা ও মদিনায় বাড়ি/হোটেল ভাড়া ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা করার মাধ্যমে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজে গমনেচ্ছু সবাইকে ৩ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য পুনরায় অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আগামী বছর হজে যেতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এবার সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজপালনের সুযোগ পাবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দুপুর পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট এক হাজার ৪০৩ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবে হজপালন করতে যান। তবে অনুমোদন ছাড়া হজে অংশ নেওয়া, তীব্র সূর্যতাপ ও গরমের মধ্যে যথেষ্ট বিশ্রাম ছাড়া লম্বা দূরত্বে হাঁটার কারণে ২০২৪ সালের সবচেয়ে বেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১৪ লাখ ১৬ হাজার ২৩৪ বাংলাদেশি পবিত্র হজপালন করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করেছেন ২০১৭ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন, সংখ্যা ৫৮ হাজার ৬২৮। এর পরের বছর হজযাত্রীর সংখ্যা ৩২ হাজার বেড়ে যায়, সেবার হজে যান ৯১ হাজার ৩৮৪ জন।
২০০৯ সাল থেকে চলতি বছর (২০২৪) পর্যন্ত বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা ও হজে গমনকারী হজযাত্রীর সংখ্যা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে এরমধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিদেশিদের জন্য হজ বন্ধ ছিল।
হজযাত্রীর সংখ্যা হিসেবে দেখা গেছে, বেসরকারি মাধ্যমে হজপালন করেছেন ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৭০ জন। আর সরকারি মাধ্যমে হজপালনকারীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৬৮৯ জন।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে সর্বোচ্চ এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজপালন করেন। ওই বছর হজযাত্রীর কোটাও ছিল এটি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে হজপালন করেন ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, গত ১৫ বছরে এটি ছিল সবচেয়ে কম বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা ছিল ৬৫ হাজার।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালে ৭৫ হাজার কোটার বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করেন ৯১ হাজার ৩৮৪ জন। ২০১১ সালে এক লাখ ২০ হাজার কোটার বিপরীতে এক লাখ ৭ হাজার ৩৭২ জন বাংলাদেশি হজ করেন। ২০১২ সালে কোটা একই থাকলেও হজপালন করেন এক লাখ ১২ হাজার ৬৮০ জন।
২০১৩ সালে বাংলাদেশের কোটা বেড়ে হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৯ হাজার ১৯০ জন হজপালন করেন। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে কোটা কিছুটা কমে হয় এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। কিন্তু হজপালন করেন ৯৮ হাজার ৬৮৩ জন।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে হজপালন করেন এক লাখ ৬ হাজার ২৩৮ জন। ওই বছর বাংলাদেশের কোটা ছিল এক লাখ ৬ হাজার ৭৫৮ জন। ২০১৬ সালের হজে বাংলাদেশের কোটা ছিল এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। ওই বছর হজযাত্রীর কোটা পূরণ হয়, অর্থাৎ এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জনই বাংলাদেশ থেকে হজ করেন।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার সুযোগ ছিল। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে কোটার চেয়ে ৪০৯ জন কম হজপালন করেন। ২০১৯ সালেও কোটা আগের বছরের মতো ছিল। ওই বছর এক লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হজপালন করেন। কোটার চেয়ে হজযাত্রী কম ছিল ২৭৫ জন।
করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশিদের জন্য হজ বন্ধ ছিল। করোনা মহামারির পর ২০২২ সালে সীমিত পরিসরের হজে বাংলাদেশের কোটা ছিল ৬০ হাজার জন। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ৫৯ হাজার ৯১৬ জন হজপালন করেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০২৩ সালের হজে বাংলাদেশের কোটা আগের মতো এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হয়। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে হজপালন করেন এক লাখ ২৩ হাজার ২১৮ জন। কোটার চেয়ে ৩ হাজার ৯৮০ জন কম হজপালন করেন।
চলতি বছরও বাংলাদেশের হজের কোটা ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এ বছর কোটার চেয়ে ৪১ হাজার ৯৪১ জন কম হজপালন করেন। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে হজপালন করেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।
গত ১৪ বছরে চলতি বছরের মতো কোটার চেয়ে এত কম হজযাত্রী আর হয়নি। আগামী বছরের হজেও বাংলাদেশের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বহাল থাকছে বলে এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
অযথা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এ আহ্বান জানান তিনি।
মিজানুর রহমান আজহারী ফেসবুক পোস্টে লিখেন, 'মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ভেরিফিকেশনে একটু সময় নিয়েছিল। আমি ঠিক আছি। অযথা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।'
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইট থেকে নামার পর মালয়েশিয়ায় প্রবেশকালে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের জেরার মুখে পড়েন মিজানুর রহমান আজহারী। তাকে আলাদা কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. মুরাদ।
এর আগে, শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার ঘোষণা দেন ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশিরভাগ সময় পরিবারের সাথেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।
আজহারী লেখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়ত কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে, সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন জনপ্রিয় এই ইসলামি বক্তা। তবে, কয়েকদিনের মাথায় শুক্রবার ফের দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়া চলে যান তিনি।