নামাজের ছবি তুলে এমিরাতস ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতায় প্রথম

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নামাজের ছবি তুলে এমিরাতস ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন, ছবি: সংগৃহীত

নামাজের ছবি তুলে এমিরাতস ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন, ছবি: সংগৃহীত

নামাজের ছবি তুলে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত দশম এমিরাতস ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সেলাম সারহান। পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক এবং ১০ হাজার ডলারের চেক পেয়েছেন তিনি। তার ছবিটি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক আল আরবিয়া ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হবে।

২৭ বছর বয়সী সেলাম সারহান একটি বাড়ির ছাদে মাগরিবের নামাজ আদায়ের ছবিটি ড্রোন দিয়ে তুলেছিলেন। আল আইন প্রদেশের অধিবাসী সারহান আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন।

সৌখিন ফটোগ্রাফার সেলাম সারহান মাত্র কয়েক বছর (২০১৫) আগে প্রথম ক্যামেরা কিনে শখের বশে ফটো উঠানো শুরু করেন। এরই মধ্যে তার উঠানো ছবি আন্তর্জাতিকমানের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করল। দুই হাজার প্রতিযোগীর পাঠানো লাখ খানেক ছবি থেকে তার ছবিকে সেরা ছবির স্বীকৃতি দিয়ে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন
সারহানের আরেকটি ছবি

আবুধাবির ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সংস্থার আয়োজনে এমিরাতস ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিটি মাগরিবের নামাজের দৃশ্য। ছবিতে দেখা যায়, বৈশ্বিক মহামারির কারণে আরব আমিরাতের মসজিদগুলো বন্ধ থাকায় তিন ভাই বাড়ির ছাদে মাগরিবের নামাজ আদায় করছেন।

প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে ছিলেন দু’বারের পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ মুহসেন এবং আল মারাইয়ের চিফ বিপণন কর্মকর্তা হুসাম আবদুল কাদের।

সারহান এই পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে একটি অনন্য রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন। তিনি আবুধাবির প্রথম ফটোগ্রাফার, যার ঝুঁলিতে উঠল দশ বছরের ইতিহাসে প্রথম এমিরাতস পুরস্কার।

সারহানের ছবি

প্রতিযোগিতায় জিতে আরব নিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও হতবাক। আমি চূড়ান্ত প্রতিযোগীদের মধ্যে থাকব, এটা আশা করিনি। আমি শখের বশে প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। তবে আরব বিশ্বের বিশেষ করে আরব আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত।’

সারহানের ছবি

সারহান বলেন, ‘আমি সাধারণত শহর ও প্রকৃতির ছবি তোলা পছন্দ করি। লকডাউনের সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। এ সময় আমি সূর্যাস্ত এবং মানুষের বাসা-বাড়ির ছাদের ছবি তুলে সময় কাটিয়েছি। এই ছবিটা তখন উঠানো।’

সারহান প্রতিযোগিতায় আটটি ছবি জমা দিয়েছিলেন।