কাবার ইমাম শায়খ বালিলাহ সৌদির উচ্চতর উলামা পরিষদের সদস্য হলেন

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শায়খ ড. বানদার বালিলাহ, ছবি: সংগৃহীত

শায়খ ড. বানদার বালিলাহ, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব, তায়েফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া অনুষদের অধ্যাপক শায়খ ড. বানদার বালিলাহকে সৌদি আরবের উচ্চতর উলামা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৮ অক্টোবর) বাদশাহ সালমান এক রাজকীয় ফরমানে সৌদি আরবের উচ্চতর উলামা পরিষদ, শুরা কাউন্সিল এবং সুপ্রিম কোর্ট পুনর্গঠন করেন।

বিজ্ঞাপন

রাজকীয় আদেশে খালিদ বিন আবদুল্লাহ আল লুহাইদানকে সুপ্রিম কোর্টের সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে শুরা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে চার বছরের জন্য ১৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

একই আদেশে ২০ জন অভিজ্ঞ আলেমকে সৌদি আরবের উচ্চতর উলামা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগের কথা জানানো হয়।

উচ্চতর উলামা পরিষদ সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা। দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খ এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত উচ্চতর উলামা পরিষদ ধর্মীয় বিষয়ে সৌদি বাদশাহকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। বাদশাহ পরিষদের সদস্য নিয়োগ করেন এবং সরকার কর্তৃক তাদের বেতনভাতা প্রদান করা হয়। তারা মন্ত্রীর সমমর্যাদা ভোগ করেন। শরিয়া বিশেষজ্ঞ আলেমরা এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান।

চমৎকার কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী শায়খ ড. বানদার বালিলাহর সুনাম রয়েছে। অসাধারণ চেহারা আর বাচনভঙ্গির দরুণ তিনি বেশ জনপ্রিয়।

মসজিদে হারামের এই ইমাম ও খতিবের পুরো নাম বানদার ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে সিরাজ ইবনে আবদুল মালিক বালিলাহ। ১৩৯৫ হিজরির ৫ জুমাদাল উলা তিনি পবিত্র মক্কার এক সম্ভ্রান্ত ও অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন মক্কাতেই।

ছোটবেলায় পবিত্র কোরআন হিফজ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে ১৪১৩ হিজরিতে মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৪১৭ হিজরিতে ইসলামি শরিয়ত ও গবেষণা অনুষদে শরিয়তের জ্ঞান-অভিজ্ঞান অর্জন করেন।

এরপর উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ইসলামি ফিকহে মাস্টার্স এবং ৩০ জুমাদাল উলা ১৪২৯ হিজরিতে ফিকহে ইসলামির ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবনের শুরু হয় ১৪৩১ হিজরিতে মসজিদে হারাম একাডেমিতে ফিকহের সহযোগী শিক্ষক হিসেবে। একই বছর তায়েফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া অনুষদে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

পবিত্র রমজানে বাহরাইন, কুয়েত, কাতার ও সুইজারল্যান্ডে তারাবির ইমামতি করেছেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মক্কার বিভিন্ন মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।

১৪৩৩ হিজরিতে সৌদির ধর্মমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরকারি ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৪৩৪ হিজরিতে পবিত্র কাবার মসজিদে হারামে তারাবির ইমাম হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই বছরের জিলহজের ৪ তারিখে স্থায়ী ইমাম হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর তিনি মসজিদে হারামের খতিব হিসেবে নিয়োগ পান।