আল আকসায় নামাজে বিধিনিষেধ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আল আকসায় প্রবেশে বিধিনিষেধ, ক্ষুব্ধ মুসলমানরা, ছবি: সংগৃহীত

আল আকসায় প্রবেশে বিধিনিষেধ, ক্ষুব্ধ মুসলমানরা, ছবি: সংগৃহীত

একদিকে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে ইহুদি দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন দেশকে চাপ দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। অন্যদিকে ইসরাইল নানা অজুহাত দেখিয়ে তিন সপ্তাহ ধরে মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসায় পশ্চিম জেরুজালেম শহরের বাইরের লোকদের জন্য জুমার নামাজ বন্ধ করে রেখেছে।

শহরে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আল আকসায় জুমার নামাজ আদায়ে আগ্রহীদের প্রাচীন শহর জেরুজালেমের ফটক থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পশ্চিম জেরুজালেমের বাসিন্দাদের জন্য আল আকসায় নামাজ আদায় শিথিল রয়েছে। ১৪ অক্টোবর এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস রোধে বহিরাগতদের জন্য এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে ইসরাইল দাবি করলেও ফিলিস্তিনিরা বলছেন, ভিন্ন কথা। তাদের যুক্তি, তাহলে তাদের গির্জার প্রার্থনাতে কোনো বিধিনিষেধ দেওয়া হয়নি কেন? করোনা মহামারির মধ্যেই ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা গির্জায় হিব্রু নববর্ষের ধর্মীয় উৎসব পালন করেছে। এ সময় তারা গির্জা সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়ে আল আকসা মসজিদের ওপর সম্মিলিত হামলাও করেছে।

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরও প্রতি জুমায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। আর স্বাভাবিক সময়ে জুমার নামাজে অংশ নেয় ৫০ হাজারের বেশি মুসল্লি।

করোনারোধে পুরোপুরি লকডাউনের সময় আল আকসা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় স্থগিত করার কথা ভাবে ইসলামি ওয়াকফ বিভাগ। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আল আকসা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করতে বলা হয়।

এর আগে গত এপ্রিল ও মে মাস আল আকসা মসজিদ বন্ধ ঘোষণা করেছিল ওয়াকফ কাউন্সিল।

ইসরাইলে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯০ হাজার ৮৯ জন। মারা গেছেন এক হাজার ৯৫৬ জন।

উল্লেখ্য, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্থাপনের পরও নামাজ পড়তে না দেওয়া এই চুক্তির কোনো মূল্য নেই বলছেন অনেকে। এর মধ্য, ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নিতে সুদানকেও চাপ দেওয়া হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবি খুবই শক্তিশালী। ফলে বাহরাইন ও আরব আমিরাতের পর নির্বাচনের আগে আরেকটি আরব দেশের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারলে ট্রাম্প নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন।

বর্তমানে সুদান আর্থিক সংকটে রয়েছে। দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিক মন্দায় এবার ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেশটিতে দেখা দিয়েছে মারাত্মক বন্যা। এ অবস্থায় অর্থনীতিতে ধস নেমেছে এবং তৈরি হয়েছে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা।

এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুদানের কাছ থেকে ইসরাইলের স্বীকৃতি আদায় করে নিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। সুদানের নাম সন্ত্রাসবাদী দেশের তালিকা থেকে সরানোর বিনিময়ে এই স্বীকৃতির শর্ত দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য সুদানি প্রধানমন্ত্রী ও জেনারেলদের ভিন্নমত রয়েছে।

-আল জাজিরা অবলম্বনে