আল আজহারের প্রতিবাদের মুখে পিছু হটল মিসর সরকার

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আল আজহারের প্রতিবাদের মুখে পিছু হটল মিসর সরকার, ছবি: সংগৃহীত

আল আজহারের প্রতিবাদের মুখে পিছু হটল মিসর সরকার, ছবি: সংগৃহীত

মিসরের কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা আইন সংস্কার বিল- ২০২০ সংসদে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মিসরের সরকার।

আল আহহারের গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল আজহার ডক্টর আহমদ তাইয়িব বিল উত্থাপনের দিন সংসদে ভাষণ দেওয়ার দাবি জানানোর পর এই সিদ্ধান্ত জানান স্পিকার।

বিজ্ঞাপন

মিসরের ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি কিছুদিন পূর্বে ‘দারুল ইফতা আইন সংস্কার বিল- ২০২০’ নামে একটি প্রস্তাব সংসদে পাঠায়। এতে দারুল ইফতাকে আজহারের পরিবর্তে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার সুপারিশ করা হয়। যার ফলে কেন্দ্রীয় মুফতি নির্বাচনসহ অন্যান্য বিষয়ে আল আজহারের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না।

বিলটি সংসদে উঠার পর থেকেই আজহারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, সংবিধানের ৭ম ধারা অনুযায়ী আল আজহার ‘ধর্মীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একমাত্র প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে স্বীকৃত। তাই দারুল ইফতাকে বিচ্ছিন্ন করা একটি ‘সমকক্ষ’ প্রতিষ্ঠানের জন্ম দেবে, যা সংবিধানবিরোধী।

আজহারসহ বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদ সত্বেও বিলের ওপর চূড়ান্ত ভোটাভুটির তারিখ ঘোষণা করা হয়। তখন শাইখুল আজহার স্বয়ং সংসদে উপস্থিত হওয়ার দাবি জানানোর ঘোষণা দেন। এতে ঊর্ধ্বতন মহলে অস্বস্তি দেখা দেয় এবং সবশেষে পর্যালোচনার নামে বিলটি ফেরত পাঠান স্পিকার।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত নতুন বিল অনুযায়ী আল আজহারের ফতোয়া বিভাগে মুফতি নিয়োগের অধিকার পেতেন দেশটির স্বৈরশাসক আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি। এতে সফল হলে মিসরে আবদুল ফাত্তাহ আল সিসির ক্ষমতা আরও দৃঢ় হতো।

আল আজহারের দারুল ইফতাকে আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং মুফতিদের মন্ত্রীপর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিলো প্রস্তাবিত বিলে।

কিন্তু আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফতোয়া বিভাগ মিসরের অন্যতম শক্তিশালী ধর্মীয় সংস্থা। যা মিসরের মন্ত্রীদের পরামর্শ প্রদান করে এবং সরকার বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে জড়িত যেকোনো বিষয়ে ফতোয়া প্রদান ও ইসলামিক ইস্যুতে সালিশি হিসেবে কাজ করে।

শাইখুল আজহারের বিপ্লবী ভূমিকার ফলে মিসরের ধর্মীয় অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা ও অনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার একটি চক্রান্ত নস্যাৎ হলো। যার সুফল আরও বহুদিন ভোগ করবে মিসরসহ পুরো মুসলিম বিশ্ব।