উচ্চ আদালতের রায়, হিজাব পরতে পারবেন জার্মান শিক্ষিকারা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উচ্চ আদালতের রায়, হিজাব পরতে পারবেন জার্মান শিক্ষিকারা, ছবি: সংগৃহীত

উচ্চ আদালতের রায়, হিজাব পরতে পারবেন জার্মান শিক্ষিকারা, ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে হিজাব একটি ফরজ বিধান। একটি ইবাদত। নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় শরয়ি হাতিয়ার। এটিকে পালন করার জন্য রয়েছে সুনির্ধারিত পদ্ধতি। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কথিত ইসলাম ফোবিয়ার দরুণ আইন করে হিজাব পরিধানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়ে নিজেদের ধর্মীয় অধিকার অনেকে দেশে ফিরে পেয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় এবার জার্মানির বার্লিনের স্কুলে মুসলিম শিক্ষিকাদের হিজাব পরিধানের অধিকার দিয়েছে জার্মানির আদালত। এক নারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়েক বছর ধরে চলমান মামলায় ওই রায় দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) আলোচিত ওই মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। এত দিন পর্যন্ত মুসলিম শিক্ষিকারা স্কুলে হিজাব পরে যেতে পারতেন না।

নিরপেক্ষতার আইন রয়েছে জার্মানিতে। যার অর্থ, স্কুলে বা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় চিহ্ন ব্যবহারকারী কোনো পোশাক পরা যাবে না। সে কারণেই স্কুলে হিজাব বা স্কার্ফ পরে যেতে পারতেন না মুসলিম শিক্ষিকারা।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু বার্লিনে বসবাসকারী এক মুসলিম নারী এই নিয়মের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। দীর্ঘদিন সেই শুনানি চলার পরে ২০১৮ সালে বার্লিনের নিম্ন আদালত ওই নারীর পক্ষে রায় দেন। বলা হয়, হিজাব পরে স্কুলে যেতে পারবেন মুসলিম নারীরা। একই সঙ্গে ওই নারীকে পাঁচ হাজার ১৫৯ ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারপক্ষের উকিল এরপর উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত রায় জানিয়েছে।

মামলার রায়ে বলা হয়েছে, হিজাব পরে কোনো মুসলিম নারী যদি স্কুলে যান এবং তাতে যদি শান্তি ভঙ্গ না হয়, তাহলে এতে কোনো অন্যায় নেই। হিজাব পরা এক ধরনের অধিকার। তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। ফলে মুসলিম শিক্ষিকারা চাইলে স্কুলে হিজাব পরে যেতে পারেন। নিম্ন আদালতের রায়ের সঙ্গে কোনো অংশেই দ্বিমত পোষণ করেননি উচ্চ আদালত।

বার্লিনে বসবাসকারী মুসলিম নারীদের বক্তব্য, এটি তাদের বড় জয়। বেশ কয়েক বছর ধরে স্কুলে হিজাব পরা নিয়ে জার্মানির আরও কয়েকটি রাজ্যে গোলযোগ দেখা গিয়েছিল। বেশ কিছু রাজ্য স্কুলে হিজাব, বোরখা পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তখনও ধর্মীয় অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রশ্ন উঠেছিল। বার্লিন আদালতের রায় এ বার দেশের অন্য আদালতগুলোকেও প্রভাবিত করবে বলে অনেকে মনে করছেন।