আল আকসায় অগ্নিকাণ্ডের ৫১ বছর, আল আজহারের প্রতিবাদ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিমদের প্রথম কিবলা ও তৃতীয় সম্মানিত মসজিদ ফিলিস্তিনের আল আকসায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ৫১ তম বছর পার হয়েছে।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) অগ্নিকাণ্ডের ৫১ বছর পরও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আল আজহার প্রতিবাদ করেছে।

বিজ্ঞাপন

১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগ করেন অস্ট্রেলিয়ান পর্যটক ডেনিস মাইকেল রোহান। ওয়াল্ডওয়াইড চার্চ অব গড নামের এক উগ্রবাদী খ্রিস্টান গোষ্ঠীর সদস্য ছিল রোহান। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসলাইলের দখলদারিত্ব বিস্তারের অংশ হিসেবে অগ্নিসংযোগ করে সে।

অগ্নিকাণ্ডে মসজিদ আকসার দক্ষিণ প্রান্ত পুড়ে যায়। আকসা মসজিদের ছাদ, দৃষ্টিনন্দন মোজাইক পাথর ও নিচের ভূমিও পুড়ে যায়। তাছাড়া ভেতরে থাকা নানা সামগ্রী ভষ্ম হয় এবং ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে তা পুননির্মাণ করতে অনেক বছর অতিবাহিত হয়।

এই অগ্নিকাণ্ডের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ছিল, সুলতান সালাহুদ্দিন আইউবির হালব থেকে আনা ঐতিহাসিক মিম্বারটি পুড়ে যায়। ১১৮৭ সালে সালাহুদ্দিন আইউবি বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয়কালে তা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন।

এই ঘটনাকে "নিকৃষ্টতম অপরাধ" ঘোষণা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আল আজহারের অফিসিয়াল পেইজে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়- ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিতে ইবাদতগৃহে পরিচালিত এই হামলা দখলদার ইহুদিদের সন্ত্রাসী মনোভাবের নিকৃষ্টতম উদাহরণ। এই জঘন্য অপরাধের ঘটনা মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে বেদনার স্মৃতি হিসাবে জাগ্রত রবে বহুদিন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আল আজহার ফিলিস্তিনের ভূমি জবরদখল ও পবিত্রতা নষ্টের যেকোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং কুদসকে রাজধানী মেনে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মানবিক সকল সহায়তা করতে বদ্ধপরিকর রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন ইস্যুতে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সরব ভূমিকা রেখেছে এবং ট্রাম্প কর্তৃক কুদসকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে আল আজহার।