করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আশাবাদী গবেষকরা!
করোনা ভাইরাসবর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের নাম নভেল করোনাভাইরাস। মহামারি ভাইরাসটি তার বিস্তার বেড়েই চলছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কারে সক্ষম হয়নি কেউ। ভাইরাসটির প্রতিষেধক উদ্ভাবনে কাজ করছে বিশ্বের বেশিরভাগ গবেষকরা। প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করা হলেও এখনও কেউ সঠিকভাবে তথ্য উপাত্ত দিতে পারেনি।
এবার ভাইরাসটির প্রতিষেধক উদ্ভাবনে আশারবাণী শুনিয়েছেন একদল গবেষকরা। তাদের মতে একটি পর্যায়ে গিয়ে ভাইরাসটি তার জিন পরিবর্তন করতে পারছে না। যার ফলে ভাইরাসটিকে যতটা মারাত্মক ধারণা করা হচ্ছিল ততটা প্রাণঘাতী হবে না বলে ধারণা করা যায়। আর এতে খুব দ্রুত ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ব্রাঞ্চের প্রধান ড. ভিনেট মেনাচেরি এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের থেকে ভাইরাসটি সম্পর্কে জেনেছি যে এটি তার জিনগত পরিবর্তন করছে না। আর এটিই আমাদের কাছে সুসংবাদ। আমরা আশাবাদী আমরা যে ভ্যাকসিনের আবিষ্কারের দিকে এগুচ্ছি তা ভাইরাসটির সব ধরণের জিনের বিরুদ্ধে কাজ করবে।
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সার্স ও করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন মেনাচেরি। তার বেশিরভাগ গবেষণায় কেন্দ্রবিন্দু কীভাবে ভাইরাসটি আক্রমণ করে ও আক্রান্তের অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে এটিকে প্রতিরোধ করে। এছাড়া বাদুড় দ্বারা সংক্রমিত ভাইরাস কীভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তা নিয়েও কাজ করছেন তিনি।
কীভাবে মারাত্মক করোনাভাইরাসটি প্রাদুর্ভাব ঘটায় তা বুঝার ক্ষেত্রে মেনাচেরির দলের গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লুএইচও) তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী গবেষকরা কমপক্ষে ২০টি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে বোস্টন ভিত্তিক বায়োটেক ফার্ম মোদারনার নেতৃত্বে সিয়াটলে ইতিমধ্যে মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভ্যাকসিনটি সম্পন্নরূপে বাজারে আসতে প্রায় ১৮ মাসের মত সময় লাগবে।