কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রে করোনা চিকিৎসায় ক্লোরোকুইন

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় ক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমোদন দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওপর ক্লোরোকুইন ওষুধের ব্যবহার শুরু করেছে কানাডা।

শুক্রবার (২০ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কানাডার মন্ট্রিয়ল হাসপাতালে রোগীদেরকে ক্লোরোকুইন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অবশেষে একটু হলে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি আমরা। করোনা প্রতিরোধে ক্লোরোকুইনের ব্যবহার শুরু করেছি।

বিজ্ঞাপন

একইসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ক্লোরোকুইনকে করোনভাইরাসের চিকিৎসা হিসেবে পরীক্ষা করার জন্য এফডিএ দ্বারা অনুমোদিত করা হবে।

এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট বায়ার ঘোষণা করেছে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়েক মিলিয়ন ইউনিট ক্লোরোকুইন অনুদান দেবে।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে ক্লোরোকুইনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যেখানে ভ্যাসকিন পরীক্ষায় ১৮ মাস সময় লেগে যাবে। এর বাইরে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভারত করোনা নিরাময়ে ক্লোরোকুইন ব্যবহার করছে। আশানুরূপভাবে এর ব্যবহার এসব দেশে মৃত্যুর হার কমিয়ে দিয়েছে।

মার্চের শুরুতে নিউইয়র্ক পোস্ট ক্লোরোকুইনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা রোগীদের উপর একটি জরিপ চালায়। সেখানে নিউ জার্সির জেমস কাই নামে এক চীনা-আমেরিকান বাসিন্দা বলেন, আমার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। আমি বেঁচে গেছি কারণ আমার পরিবার উহানের মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। যারা আমেরিকান ডাক্তারকে ক্লোরোকুইন ওষুধ ব্যবহার করে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিল।

নিউইয়র্ক পোস্টের জরিপে উঠে এসেছে ইতালির নাম। দেশটিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে রোগীদের চিকিৎসার জন্য ক্লোরোকুইনকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এতে দেশটিতে এখন সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার বিরাজ করছে।

এর আগে টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক এক টুইটে বলেন, ক্লোরোকুইন নামে ওষুধ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। এটি কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। ওই টুইটের সঙ্গে ওই গবেষণাপত্রের গুগল ডকস লিংকও শেয়ার করেন তিনি।

ক্লোরোকুইন মূলত ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। ক্লোরোকুইন অন্ত্রের বাইরে ঘটছে এমন অ্যামোনিয়ার সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন- লুপাস ও রুমেটয়েড আর্থথ্রিটিস।