সাংবাদিকদের ভিসাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে চীন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কর্মরত বিদেশি সাংবাদিকদের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য ভিসাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে এশিয়ার দেশ চীন। দেশটিতে অবস্থান করা বিদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ক্লাব অফ চীনা থেকে এ বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

গত মাসে চীনা সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তিন সাংবাদিকের ভিসা প্রত্যাহার করে। সংবাদ মাধ্যমটি 'রিয়েল সিক ম্যান অফ এশিয়া' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যার প্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমটির তিন প্রতিবেদকের ভিসা বাতিল করে চীন।

বিজ্ঞাপন

১১৪ জন সাংবাদিকের ওপর করা জরিপ তুলে ধরে সংগঠনটি থেকে জানানো হয়, ২০১৩ সালে শি জিনপিং চীনের প্রধান ক্ষমতায় বসার পর থেকেই তারা নয়জন বিদেশি সাংবাদিকদের ভিসা রদ করে দেয়। আর মার্কিন সংস্থা ফেডারেল কমিনিকিউশনস কমিশন (এফসিসি) আশঙ্কা করছে যে চীন আরও সাংবাদিকদের তাদের দেশ থেকে বের করে দিবে।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি থেকে আরও জানানো হয়, চীনা সরকার ভিসাকে অস্ত্রের মত ব্যবহার করছে যা আগে কখনো করেনি। ২০১৯ সালে চীনে বিদেশি সাংবাদিকদের কাজের অবস্থার উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে। চীন যেমন অর্থনৈতিক দিকে উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে তেমনি তাদের বিরুদ্ধে বা কোনো সত্য প্রতিবেদন করতে গেলে রাষ্ট্রীয় শক্তিও বেশি ব্যবহার করছে।

জরিপের দ্বিতীয় বছরের কথা উল্লেখ এফসিসিসি বলেছে, সমীক্ষায় জবাবদিহিদের মধ্যে কেউই বলেনি যে চীনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮২ শতাংশ সাংবাদিক জানিয়েছে, তারা রিপোর্টিংয়ের সময় হস্তক্ষেপ, হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হয়েছে। এছাড়া সমীক্ষায় অংশ নেওয়া এক চতুর্থাংশ সাংবাদিক জানিয়েছে, তারা এক বছরের চেয়েও কম মেয়াদের ভিসা পেয়েছে। কিন্তু চীনা বেসড সাংবাদিকদের এক বছরের ভিসা দেওয়ার কথা।

তবে সংগঠনটির এসব অভিযোগ মানতে নারাজ চীন। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহো লিজিয়ান বলেন, এফসিসি যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা অসঙ্গত এবং চীন এরকম সংস্থার কথা আগে শোনেনি।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লিজিয়ান আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে ৬০০ বিদেশি সাংবাদিক রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা চীনের কোনো আইন লঙ্গ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের প্রতিবেদন নিয়ে চিন্তা করার কোনো দরকার নেই।

বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য স্বাধীনতা সীমাবদ্ধের অভিযোগকে আগে থেকেই অস্বীকার করে আসছে বেইজিং। এছাড়া সংখ্যালঘু উইঘুর, হংকং ও চীনের নেতৃত্বের কোন্দলের কথা প্রচার করায় বিদেশি মিডিয়ার সমালোচনা করে আসছে দেশটি।