করোনায় আক্রান্ত ৯০ হাজার!

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে দাবি করছে এক নার্স। সুরক্ষা স্যুট ও মাস্ক পরিহিত এক নার্সের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল।

ভিডিওটিতে দেখা যায় সুরক্ষিত স্যুট ও মাস্ক পরিহিত একজন নার্স বলেন, চীনা সরকার আক্রান্তের যে সংখ্যা বলছে তা সত্য নয়। যেখানে করোনা ভাইরাস উৎপত্তি হয়েছে আমি সেখানেই রয়েছি। আমি আপনাদের সত্য বলতে চায়। এই মুহূর্তে হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ও পুরো চীন জুড়ে ৯০ হাজার আক্রান্ত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভিডিওটিতে ওই নার্স মানুষদের সতর্ক করে বলেন, যারা এই ভিডিও দেখছেন আমি তাদের সবাইকে বলতে চায় বাড়ি থেকে বের হবেন না। পার্টি করার কোনো দরকার নেই। বাইরের খাবার পরিহার করুন। আমরা প্রতিবছর চীনের নববর্ষ উদযাপন করি। যদি আপনি এখন সুরক্ষিত থাকেন তাহলে পরিবারসহ সামনে আরও নববর্ষ উদযাপন করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, সরকার কি বলছে তা আমরা তোয়াক্কা করি না। সবাইকে অনুরোধ, দয়া করে উহানকে মাস্ক, গ্লাস ও পোশাক দান করুন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। দয়া করে নিষ্পত্তিযোগ্য চশমা, মাস্ক ও কাপড় দান করুন। বর্তমানে আমাদের কাছে এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই।

ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে ভিডিওটি ২০ লাখ বার দেখা হয়েছে।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পরার পর থেকে সমালোচনার মুখে পড়েছে চীনা সরকার। নেটিজেনরা দাবি করছে, চীনা সরকার সত্যিকারের পরিস্থিতি প্রকাশ করেনি। কিন্তু প্রথম দিকে পরিস্থিতি মোকাবেলা ও স্বচ্ছতার জন্য চীন প্রশংসিত হয়েছিল।

এদিকে শনিবার করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠকে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের ফলে চীন মারাত্মক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। আর এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চীনের হুবেই প্রদেশের শহর উহান থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি। শহরটির কোনো একটি বাজার থেকে এটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে চীনের পর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্কটল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদিকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমাতে নববর্ষ উদযাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া চীনের কয়েকটি শহরের গনপরিবহন বন্ধ ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

চীনের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত ৫৬ জন মারা গেছে। আর দুই হাজারের অধিক আক্রান্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে।