নিয়ন্ত্রণের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার দাবানল
দিন যতই গড়াচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে দাবানলের পরিমাণ। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর অঞ্চলটির দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেছে। অধিক তাপমাত্রা ও বাতাসের জন্য এই অবস্থা হয়েছে বলে ধারণা করছে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
দাবানল থেকে সাধারণ জনগণদের উদ্ধার করতে প্রায় তিন হাজার সেনা সদস্যকে মাঠে নামিয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকার। এছাড়া উপকূলে একটি জাহাজও মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিন্ডা রেইনল্ডস জানিয়েছেন, কোনো দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে আগে কখনো এমন কাজ করতে হয়নি।
আরও পড়ুন: মালাকোটায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে নেমেছে নৌবাহিনী
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত, ভিক্টোরিয়ায় জরুরি অবস্থার রেটিং ছিলো ১৪ এবং নিউ সাউথ ওয়েলসে জরুরি অবস্থার রেটিং ছিলো ১১। রাজ্যটির ১৫০টি স্থানে আগুন জ্বলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের দমকল বাহিনীর কমিশনার শেন ফিটসিমন্স শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ব্রিফিংকালে বলেন, খুব শক্তিশালী, বড় ও তীব্র আগুন একসঙ্গে এগিয়ে আসছে। আর এই আগুনের ফলে বজ্রপাত সৃষ্টি হচ্ছে।
দেশটির আবহাওয়া ব্যুরো (বিওএম) জানিয়েছে, দক্ষিণের বাতাসের কারণে দাবানল বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ধোঁয়ার ফলে নতুন করে ঝড় শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে ৫০ কোটি প্রাণীর মৃত্যু!
বিওএম আরও জানায়, সিডনিতে তাপমাত্রা ৪৮ দশমিক ১ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। আর অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি পৌঁছেছে।
এদিকে দাবানলের জন্য ভারত ও জাপান সফর বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
সেপ্টেম্বরের থেকে চলে আসা দাবানলে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৩ জন। এর মধ্যে বারজন এই সপ্তাহে মারা গেছে।
দাবানলের ফলে অস্ট্রেলিয়ার পুরো আকাশ লাল বর্ণের হয়ে গেছে। এমনকি এর প্রভাবে নিউজিল্যান্ডের কিছু এলাকায়ও পড়েছে।
এদিকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ায় সকল বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
দাবানলে এপর্যন্ত পুড়ে গেছে ১৩ মিলিয়ন হেক্টর বনাঞ্চল। মারা গেছে প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী।