নাগরিকত্ব আইন: সমর্থনের পর বিরোধিতা আসাম গণপরিষদের
শুরুতে নাগরিকত্ব আইনে সমর্থন দিলেও এখন বিরোধিতা করছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপির অন্যতম মিত্র আসাম গণপরিষদ (এজিপি)।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠকের পর আইনটির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে দলটি।
আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান জানাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এজিপি।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন আসাম জোট সরকারের অন্যতম শরিক এজিপি। রাজ্যের বিধান সভায় তিন মন্ত্রী রয়েছে দলটির।
পার্লামেন্টের দুই কক্ষে নাগরিকত্ব আইন পাসে বিজেপির অবস্থানকে সমর্থন দেয় এজিপি। তবে, এ অবস্থান দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কয়েকজন নেতা।
পদত্যাগকারীদের অভিযোগ, নতুন আইনের বিরুদ্ধে জনগণের মতামত বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে আইনটি সমর্থনকারী নেতারা।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে একই সঙ্গে আসাম বিজেপি শাখা থেকেও পদত্যাগ করছেন অনেকে। আসাম পেট্রোকেমিকেলস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান জগদিশ ভূঁইয়া শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আসাম চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অভিনেতা জতিন বোরা বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ ঘোষণার সময় তিনি বলেন, ‘আমি নাগরিকত্ব বিল (আইনের) বিরোধী। আসামের মানুষের কারণে আমার পরিচয় যতীন বোরা। এই নাগরিকত্ব আইন বিরোধী ইস্যুতে আমি তাদের সঙ্গে রয়েছি।’
২০১৪ সালে আসামের জনপ্রিয় এ চলচ্চিত্র অভিনেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এর আগে আরেক জনপ্রিয় আসামের চলচ্চিত্র অভিনেতা রবি শর্মা বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন। নাগরিকত্ব আইনবিরোধী জনবিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছেন রাজ্যের চলচ্চিত্র কর্মীরা।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। আসামের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ছয়জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮৫ জন বিক্ষোভকারী আটক হয়েছে বলে জানিয়েছে আসাম পুলিশ।