এবার নরওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী প্লেন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আজারবাইজান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডার পর এবার নরওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে যাত্রীবাহী প্লেন। তবে এ ঘটনায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) নরওয়ে থেকে নেদারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে উড়ে যায় রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সেরেএকটি যাত্রীবাহী প্লেন। তবে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই কোনো কারণে এটি আবার নরওয়ের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এ সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে উড়োজাহাজটি।

বিমানটিতে ১৮২ জন যাত্রী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার পরও তারা সবাই অক্ষত আছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই নরওয়ের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ কোরিয়ার ঘটনায় বেশিরভাগ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ফ্লাইট নম্বর কেএল১২০৪ উড়োজাহাজটি অসলো টর্প সানডেফজর্ড বিমানবন্দরে অবতরণের পর রানওয়ে ১৮-এর ডান দিকে ছিটকে পড়ে যায়। উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই আবারও সেখানে ঘুরে আসে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এপিসেভেনএম বলেছে, পাইলটরা জরুরি অবতরণের জন্য অসলো থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে স্যান্ডেফজর্ড টর্প বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটিকে ডাইভার্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করে, তবে কিছুক্ষণ পরই এটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং রানওয়ে সংলগ্ন একটি ঘাসযুক্ত এলাকায় থেমে যায়।

ঘটনার কারণ হিসাবে একটি হাইড্রোলিক সিস্টেমের ব্যর্থতা উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এতে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজে থাকা ১৭৬ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু সদস্যের সবাই অক্ষত আছেন। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে অবতরণের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহী নিয়ে জেজু এয়ারে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি সবাই নিহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার অবতরণের সময় কানাডার হালিফাস্ক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

গত ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে কাজাখস্তানের ওপর। জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন পাইলট। কিন্তু উড়োজাহাজ তার নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। ওই উড়োজাহাজে ৬৭ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৯ জনকে।