থামছেই না অস্ট্রেলিয়ার দাবানল
দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। যার কোন থামার নাম নেই। দাবানলে এ পর্যন্ত কুইন্সল্যান্ড ও নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দাবানলের ফলে প্রদেশ দুটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ১৫০টির বেশি স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার নিউ সাউথ ওয়েলসের সরকারি কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবানলে ৫০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। তবে এতে প্রাণহানীর কোন ঘটনা ঘটেনি। আর নতুন করে দাবানলটি সিডনি শহরের উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পরার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনী ম্যাককুরি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ তুররামুর শহরের সিডনি অ্যাডভেন্টিস্ট হাসপাতালের মধ্যবর্তী অঞ্চলে গোলাপী অগ্নি প্রতিরোধক ফেলেছে।
এ দিকে দাবানলে কুইন্সল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। আর বুধবার বাতাসের তীব্রতার কারণে আরও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রদেশটির প্রায় ৬০টি স্থানে আগুণ জ্বলতে দেখা গেছে। আর এই দাবানলের কারণ হিসেবে তীব্র গরম ও দমকা বাতাসকে দায়ী করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুইন্সল্যান্ডের প্রধান আননাস্টেসিয়া প্যালাস্কজুক বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমরা সচেতন রয়েছি।
দাবানলের কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। আর দাবানল নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, দুই রাজ্যে এক হাজার ৩০০ জন দমকল বাহিনীর সদস্য কাজ করছেন। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে আগুন নেভানোর জন্য মাঠে নামানো হবে।
এ দিকে ধোঁয়ায় আছন্ন গেছে প্রদেশ দুটি। এর মধ্যে অনেক জায়গায় স্থানীয় লোকজন তাদের বাড়িঘরে আটকে পড়েছেন এবং ভয়ানক আগুনের কারণে উদ্ধারকর্মীরা তাদের উদ্ধারে যেতে পারছে না।