লস অ্যাঞ্জেলেস সফরে গেলেন ট্রাম্প

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর নিজের প্রথম সফরে দাবানলে পুড়ে যাওয়া ক্যালিফোর্নিয়ায় গেছেন। শুক্রবার ( ২৪ জানুয়ারি) দাবানলে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করতে সেখানে যান ট্রাম্প। লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল নিয়ন্ত্রণে অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউসম একজন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি। ট্রাম্পের সঙ্গে তার অতীত সম্পর্ক বিরোধপূর্ণ ছিল। তবুও লস অ্যাঞ্জেলেসের বিমানবন্দরে ট্রাম্পকে স্বাগত জানান নিউসম। নিউসমের সঙ্গে করমর্দনের পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে গভর্নর আমার সাথে দেখা করেছেন।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিক দাবানলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস। এখনো এ অঞ্চলে তিনটি দাবানল জ্বলছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চান নিউসম। যদিও আগে দাবানল নিয়ন্ত্রণে ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প।

বিজ্ঞাপন

নিউসম ট্রাম্পকে বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমাদের আপনার সাহায্য প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, কোভিডের সময় আপনি আমাদের পাশে ছিলেন, আমি তা ভুলিনি। আমরা প্রত্যাশা করছি যে এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারব।

এরপর ট্রাম্প তার স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকার ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করেন এবং তারপর স্থানীয় নেতাদের সাথে একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন। যার মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাসও ছিলেন। এ সময় তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দেন যা রাজ্যের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে পানি সরবরাহ করবে।

ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেস যাওয়ার আগে নর্থ ক্যারোলাইনায় হারিকেন হেলেনের আঘাতে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন । গত সেপ্টেম্বরে চার মাত্রার ঘূর্ণিঝড়টি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তাণ্ডব চালায়। এতে অন্তত ৪৩ জন মারা গিয়েছিল।

চলতি মাসের ভয়াবহ দাবানলে ব‍্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে লস অ্যাঞ্জেলেস। দাবানলের এমন ভয়াবহতা অনেক বছর ধরে দেখেনি দেশটির নাগরিকেরা। লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলে প্রাণ যায় অন্তত ২৮ জনের এবং ১৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়।