হাসিমুখে জয়শঙ্কর ও শেহবাজের করমর্দন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাসিমুখে জয়শঙ্কর ও শেহবাজের করমর্দন। ছবি: সংগৃহীত

হাসিমুখে জয়শঙ্কর ও শেহবাজের করমর্দন। ছবি: সংগৃহীত

চিরশত্রু মনোভাবাপন্ন দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের কোনো নেতার মধ্যে অনেক বছর পর হাসিমুখে করমর্দনের ঘটনা ঘটেছে।

সেই বিরল দৃশ্য দেখা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দ্য সাংহাই কো-অপরাশেন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর ২৩তম সম্মেলনে উপলক্ষে পাকিস্তানে যাওয়ার পর।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলন উপলক্ষে যাওয়া পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য মঙ্গলবার রাতে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

সেখানে আমন্ত্রক হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সব দেখভালের কাজ করছিলেন। সে সময় তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের কাছে যান এবং তারা হাসিমুখে করমর্দন করেন। এই বিরল মুহূর্তে দুইজনকেই হাসিমুখে দেখা যায়।

বিষয়টি উপস্থিত কারো চোখ এড়ায়নি। সে দৃশ্য ধরা পড়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরাতেও। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমেও আলোচনা হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এ বিষয়ে একটি সংবাদও প্রকাশ করেছে। তারা এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই বিবেচনা করছে।

দ্য ডন লিখেছে, প্রায় এক দশক পর ভারতের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানে এলেন। নৈশভোজে উপস্থিত থাকার সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ হাসিমুখে করমর্দন করেন।

এসসিও’র ২৩তম সম্মেলন বুধবার শুরু হওয়ার পর তাতে চেয়ারের দায়িত্ব পালন করবেন আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এয়ারবেসে অবতরণ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তাকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ডিরেক্টর জেনারেল ইলিয়াস মাহমুদ নিজামি ও পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

পাকিস্তানে অবস্থানকালে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না। এ বিষয়ে জানা যায়, কোনো প্রতিনিধি এ রকম দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন না।

পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-এর চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেছেন, দ্য সাংহাই কো-অপারেশন (এসসিও)-এর নিয়মানুযায়ী, সম্মেলনে কোনো দেশের প্রতিনিধি দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারেন না। সে কারণে জয়শঙ্করে সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না।

তিনি আরো বলেন, এ জন্য আরো ফোরাম আছে, যেখানে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করা যায়।

এদিকে, আগত অতিথিদের নিরাপত্তা বিধানে ইসলামাবাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, কমিউনিটি সেন্টার, ব্যায়ামগার, জনসভা ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।