মণিপুরে পুলিশ সুপারের দপ্তরে আগুন, সংঘর্ষে নিহত ৩

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের মণিপুরে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের (আইআরবি) চৌকিতে হামলার পরে এবার হামলা হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারের সদর দপ্তরে।

গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে চূড়াচাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তরে হামলা চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। অবাধে ভাঙচুরের পাশাপাশি দপ্তরের সামনে রাখা বহু যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। একই সময় হামলা হয় এর পাশে অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও।

বিজ্ঞাপন

হামলার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ৩০। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ছিলেন কয়েকশো।

তারা পুলিশ সুপারের দপ্তরে মোতায়েন র‌্যাফ জওয়ানদের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার জন্য হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখতে গিয়ে মণিপুর পুলিশের এক জওয়ানকে শনাক্ত করা হয়েছে। সিয়ামলাল পাল নামে ওই জওয়ানও ছিলেন হামলাকারীদের দলে। তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩ মে উপজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতার সূত্রপাত হয়েছিল মণিপুরে।

মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দেয়। এরপরেই অন্য উপজাতি সংগঠনগুলো তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেদিন থেকেই মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জো-সহ কয়েকটি তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) মধ্যে সংঘাতের সূচনা হয়।

অশান্তি ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সহিংসতা মোকাবিলায় রাজ্যটিতে নামানো হয় একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু তারপরেও সহিংসতা থামেনি। এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে নিহত হয়েছে প্রায় ২০০ জন, আহত হাজারের বেশি।