‘লোকসভা নির্বাচনের আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর’

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ভারতে লোকসভা নির্বচনের আগেই দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তিনি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকরের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সিএএ পাশ করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই আইনানুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তাহলে আশ্রয় দেবে ভারত।

সংসদের দুই কক্ষে পাশের পরে প্রেসিডেন্টও অনুমোদন দিয়েছেন সিএএ বিলে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আইনের ধারা তৈরি হয়নি।

গত জানুয়ারি মাসে ওই আইনের ধারা তৈরির জন্য সপ্তমবার সময় বৃদ্ধিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল সংসদীয় সচিবালয়। সরকারি সূত্রের খবর, সেই কাজ শেষ হতে চলেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে সাড়ে চার বছর ধরে বিষয়টি ঝুলে থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে হিন্দু উদ্বাস্তু সমাজের একাংশের মধ্যে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তা প্রশমনের উদ্দেশ্যে সিএএ কার্যকরে সক্রিয় হচ্ছে মোদি সরকার।

শনিবার দিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় অমিত শাহই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সিএএ দেশের একটি আইন। তা অবশ্যই কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে কোনও সংশয় থাকা উচিত নয়।’

তবে, পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলো ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সিএএ কার্যকরের বিরোধী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই গোটা প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা ন্যূনতম করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। ভাবা হয়েছে, নাগরিকত্ব পাওয়ার সামগ্রিক পরিকল্পনা অনলাইনের মাধ্যমে রূপায়ণের কথা।

ওই সূত্রের মতে, একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ইচ্ছুকেরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী কোন সালে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, সেই তথ্য পোর্টালে দিতে হবে। ওই আবেদন খতিয়ে দেখে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।