আর কোনও মসজিদের দখল ছাড়ব না : আসাদউদ্দিন ওয়েইসি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের বারাণসীর জ্ঞানবাপীর দখল কোনও অবস্থাতেই ছাড়বে না মুসলিম পক্ষ। এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

হায়দরাবাদের এই সাংসদ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বলেন, ‘আর কোনও মসজিদের দখল আমরা ছাড়ব না। অনেক হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এনডিটিভি জানিয়েছে, এর আগে বারানসি জেলা আদালত অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ করে হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে জ্ঞানবাপী চত্বরে পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে দায়ের আবদনের শুনানিতে সম্মতি দেওয়ার পরেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ওয়েইসি।

তখন তিনি বলেছিলেন, ‘অযোধ্যার রামমন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার মতো পরিণতির দিকেই বারনসির জ্ঞানবাপী মামলা এগোচ্ছে।’

গত ৩১ জানুয়ারি জেলা বারানসি আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বাস জ্ঞানবাপীর ‘সিল’ করা একটি তহখানায় হিন্দু ভক্তদের আরতি এবং পূজার্চনার অনুমতি দিয়েছিলেন। পরের দিন থেকেই দৈনিক পাঁচ দফা আরতি শুরু হয়েছে সেই ব্যাস কা তহখানায়।

মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে স্থগিতাদেশের আবেদন জানানো হলেও তা খারিজ হয়ে গেছে গত ২ ফেব্রুয়ারি। এরপর মসজিদ কমিটি দ্বারস্থ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের।

এই পরিস্থিতিতে ওয়েইসির দাবি, বারানসি জেলা আদালতের নির্দেশের ফলে দেশে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ পরিস্থিতির মতো নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় করসেবকদের হামলায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ যদি আর একবার ৬ ডিসেম্বর করতে চায়, তাহলে আমরাও দেখব কী করতে পারি। আমরা একবার প্রতারিত হয়েছি, আর প্রতারিত হব না।’

প্রসঙ্গত, বারানসির জ্ঞানবাপী মসজিদের কাঠামোর নীচে বড় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল বলে গত ২৫ জানুয়ারি বারানসি জেলা আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে জানিয়েছিল ভারতীয় পুরতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)।

আদালতের নির্দেশে হওয়া সমীক্ষার ৮৩৯ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছিল, জ্ঞানবাপী চত্বরে পাওয়া একটি লিপিতে উল্লিখিত রয়েছে মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব ১৬৬৯ সালের ২ নভেম্বর জ্ঞানবাপীতে মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের ফরমান দিয়েছিলেন।

রিপোর্টে বলা হয়, ‘মসজিদ তৈরির সময় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল কাঠামোতে। সামান্য পরিবর্তন এনে মন্দিরের স্তম্ভ এবং অন্যান্য অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই জ্ঞানবাপীতে পূজার্চনা এবং আরতির অনুমতি দেয় বারানসি জেলা আদালত।