নভেম্বর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তন শুরু করবে পাকিস্তান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া আফগান শরণার্থীদের একাংশ। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া আফগান শরণার্থীদের একাংশ। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানে থাকা লাখ লাখ আফগান নাগরিকসহ অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ২ নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু করা হবে বলে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জানিয়েছেন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি।

তিনি রেকর্ড করা এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের জন্য মাত্র দুই দিন বাকি আছে এবং স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বুধবার (১ নভেম্বর) শেষ হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘ অভিযান নিশ্চিত করবে যে, আমরা কোনও শরণার্থীকে বিতাড়িত করছি না। শুধুমাত্র যারা সম্পূর্ণ অবৈধ তারাই পাকিস্তান ছেড়ে যাবে।’

এদিকে, পাকিস্তানে ৪০ লাখেরও বেশি আফগান অভিবাসী এবং উদ্বাস্তু রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার নথিভুক্ত নয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এদের মধ্যে অনেকেই পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই বসবাস করছেন।

ইসলামাবাদ এই মাসের শুরুর দিকে ঘোষণা করেছিল যে, তারা ১ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত অবৈধ অভিবাসীদের চলে যাওয়া দেখতে চায়।

ইসলামাবাদ আরও জানিয়েছে, আফগান নাগরিকরা অপরাধ এবং চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়াও আফগানরা চলতি বছরের ২৪টির মধ্যে ১৪টি আত্মঘাতী বোমা হামলার সঙ্গেও তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পাকিস্তান অভিযোগ করেছে যে, সন্ত্রাসীরা তাদের যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনা করার জন্য আফগানিস্তানকে ব্যবহার করছে।

কাবুল অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

বুগতি বলেন, ‘যারা স্বেচ্ছায় চলে যাবে তাদের সরকার অভিবাসীদের থাকার জন্য অস্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে সহায়তা করবে। আমরা তাদের হোল্ডিং সেন্টারে দুই থেকে তিন দিনের জন্য খাবার ও স্বাস্থ্য সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

প্রসঙ্গত, যুদ্ধ এবং সংঘাত থেকে বাঁচতে লক্ষাধিক আফগান পাকিস্তানে চলে এসে নিজেদের সরকার ও জাতিসংঘ সংস্থার কাছে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত করেছে।

পাকিস্তান বলেছে, ১৯৭৯ সালে কাবুলে সোভিয়েত আক্রমণের পর থেকে তাদের মাটিতে সবচেয়ে বেশি আফগান শরণার্থী পা রেখেছে ।