ভারতের সঙ্গে বিরোধে কানাডাকে সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

ভারত থেকে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন। কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জেরে চলমান দ্বন্দে ভারত থেকে কূটনৈতিক উপস্থিতি কমানোর জন্য জোর না দেওয়ার দেশ দুটি নয়াদিল্লিকে অনুরোধ করেছে।

শনিবার (২১ অক্টোবল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন নয়াদিল্লিকে এ অনুরোধ করে।

বিজ্ঞাপন

গত জুনে কানাডার নাগরিক এবং শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে ভ্যাঙ্কুভার শহরতলিতে হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত থাকার অভিযোগ করে কানাডা। ভারত এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ভারত থেকে কানাডার কূটনীতিকদের চলে যাওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন, ভারতে কানাডার কূটনৈতিক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার জন্য ভারত সরকারের দাবির প্রতিক্রিয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন।

ওয়াশিংটন বলছে, তারা কানাডার অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। তারা ভারতকে এ হত্যার তদন্তে কানাডকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ভারতের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না। তারা তাদের প্রধান এশিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের মোকাবিলায় ভারতকে সব সময় পাশে চায়।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, বেশ কয়েকজন কানাডিয়ান কূটনীতিক ভারত ত্যাগ করেছে। ভারত সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের সাথে আমরা একমত নই।

নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কানাডার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে নয়াদিল্লি অটোয়াকে তার কূটনৈতিক উপস্থিতি কমাতে বলে। এর ফলে কানাডা ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে।

কানাডা শুক্রবার জানায়, অস্থায়ীভাবে বেশ কয়েকটি ভারতীয় শহরে কনস্যুলেটগুলোতে ব্যক্তিগত কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এ সময় ভিসা প্রক্রিয়াকরণে বিলম্বের বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে, মতপার্থক্য নিরসনের জন্য প্রত্যেক দেশে কূটনীতিকদের প্রয়োজন আছে। আমরা ভারত সরকারকে কানাডার কূটনৈতিক উপস্থিতি হ্রাস করার জন্য এবং কানাডার চলমান তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য জোর না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। ভারতকে ১৯৬১ ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলতে হবে।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরও ভিয়েনা কনভেনশনের উদ্ধৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা প্রদানকারী সুযোগ-সুবিধা এবং অনাক্রম্যতা একতরফাভাবে অপসারণ করা ভিয়েনা কনভেনশনের নীতি বা কার্যকর কার্যকারিতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।