ফের উত্তপ্ত মণিপুর, সংঘর্ষে আহত ৫০

  • ziaulziaa
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মণিপুরে সংঘর্ষের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

মণিপুরে সংঘর্ষের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

দুই ছাত্রের হত্যাকাণ্ড ঘিরে নতুন করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সংঘর্ষ কবলিত ভারতের রাজ্য মণিপুর। এদিকে, দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মণিপুর যাচ্ছে সিবিআই।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগরের নেতৃত্বাধীন দল বিশেষ বিমানে করে বুধবার ইম্ফল পৌঁছবে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার তদন্তভার আগেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সরকার।

বিজ্ঞাপন

কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে গত কয়েক মাস ধরেই অশান্তির চাদরে ঢাকা পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। এ পর্যন্ত বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।

গত সোমবার নিহত দুই ছাত্রের মৃতদেহের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তারপর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মণিপুরে।

সূত্রের খবর, গত ৬ জুলাই থেকে ওই দুই পড়ুয়া নিখোঁজ ছিল। ছবিতে দেখা গেছে, দুই সশস্ত্র আততায়ীর সঙ্গে বসে রয়েছে দুই পড়ুয়া। অন্য একটি ছবিতে দেখা গেছে, তাদের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই দুই পড়ুয়ার মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা হয়নি। ওই দুই পড়ুয়াকে শেষবার দেখা গিয়েছিল বিষ্ণুপুর জেলায়। অভিযোগ, ওই দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে মণিপুর সরকার। এক্স হ্যান্ডলে (টুইটার) মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, অপরাধীদের ধরতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানান বীরেন সিং।

অন্যদিকে, দুই পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় ইম্ফলে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এর আগে মণিপুরে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো এবং গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ভারতজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। গত ৪ মে ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কঙ্গপোকপি জেলায় দুই নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়।

ওই ঘটনার পরে ৭৮ দিন চুপ থাকার পর মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা যেকোনও সভ্য সমাজের জন্য লজ্জার।’

সে সময় মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব হয়ে ওঠেন বিরোধীরা। এই নিয়ে মুলতবি হয় সংসদের বর্ষা অধিবেশন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া।’