উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কিম জং-উন ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : সংগৃহীত

কিম জং-উন ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : সংগৃহীত

চার বছরের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের পর কিম জং-উনের উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, রাশিয়া সফরের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন জোটকে শক্তিশালী করতে তাদের ক্রমবর্ধমান সমর্থনকে ফের বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন উত্তর কোরিয়ার এই নেতা।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়াও পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণে মস্কোর সহযোগিতা কাম্য করেছেন কিম। কিম পুতিনকে একটি সুবিধাজনক সময়ে উত্তর কোরিয়া সফর করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

দুই নেতা বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চার ঘন্টারও বেশি সময় আলাপ-আলোচনা করেন এবং ভোস্টোচনি কসমোড্রোম মহাকাশ কেন্দ্রে ভ্রমণ করেন।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকারি নামের সংক্ষিপ্ত নাম ‘ডিপিআরকে’ ব্যবহার করে বলেছে, ‘পুতিন আনন্দের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণটি গ্রহণ করেছেন এবং রাশিয়া-ডিপিআরকের বন্ধুত্বের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে অবিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তার ইচ্ছা পুনর্নিশ্চিত করেছেন।’

এদিকে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনা যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, কিম মস্কোর কাছে সম্ভবত প্রযুক্তির বিনিময়ে ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য অস্ত্র বিক্রি করতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে, যা তার সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা মস্কোর একটি বিমান কারখানা পরিদর্শন করবেন এবং ভ্লাদিভোস্টক ভ্রমণ করবেন, যেখানে তিনি রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর দেখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

রাশিয়া সফরে কিমের প্রতিনিধি দলে তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তার শীর্ষ সামরিক কমান্ডার এবং দেশটির যুদ্ধাস্ত্র বিভাগের পরিচালকও রয়েছেন।

সিউলের ইওয়া ওমেনস ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক লেইফ-এরিক ইজলি বলেছেন, ‘কিমের প্রতিনিধি দলের গঠনই বলে দেয় যে, উত্তর কোরিয়া সামরিক প্রযুক্তির বিনিময়ে রাশিয়ার কাছে অস্ত্র পাঠাতে পারে। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় মহাকাশ বন্দরে বৈঠক করা পুতিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশনেকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সমতুল্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সফরের কারণে পিয়ংইয়ংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে প্রধাণ বিষয় হওয়া উচিত।’

কেসিএনএ তার প্রতিবেদনে বলেছে, দুই নেতা সাম্রাজ্যবাদীদের সামরিক হুমকি, উস্কানি ও অত্যাচার মোকাবেলায় কৌশলগত সহযোগিতা আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন।

এদিকে, পুতিন দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্ব জোরদার করার প্রশংসা করে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার সম্ভাবনা দেখছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু, যিনি জুলাই মাসে পিয়ংইয়ংয়ে কোরিয়ান যুদ্ধে যুদ্ধের অবসান ঘটানো অস্ত্রবিরতির ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ছিলেন, তিনিও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় জড়িত ছিলেন।