পুষ্টিহীনতায় মৃত্যুঝুঁকিতে ১০ লাখের বেশি আফগান শিশু
আফগানিস্তানে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটিতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আসা সব ধরনের সহায়তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এমন সংকটে সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে দেশটির শিশুরা।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ৩০ লাখের বেশি শিশু অপুষ্টির সঙ্গে লড়ছে। দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হলে অন্তত ১০ লাখ শিশুর মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। খবর সিএনএন ও বিবিসির।
অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড সিভিক এনগেজমেন্টের চিফ অব কমিউনেকেশন স্যাম মার্ট বলেছেন, চলতি বছর ইউনিসেফ আফগানিস্তান বিশ্ব শিশু দিবস পালন করেনি। এ মুহূর্তে আফগানিস্তানে শিশু হওয়াটা অভিশাপ। দেশটিতে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত। তিন লাখের বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের মধ্যে ১০ লাখের বেশি শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের মৃত্যুঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘাত কবলিত দেশটির হাজার হাজার শিশুকে বিপজ্জনক কাজ করানো হচ্ছে। তাদের মধ্যে নয় বছর বয়সী সোনিয়া কাবুলে জুতার কারখানায় কাজ করে।
শিশুটি জানিয়েছে, তাদের অর্থ দেয়ার মতো কেউ নেই। কোনো নিকটাত্মীয় তাদের খেতে দেয় না। আগে তার মা বাইরে কাজ করতো। এখন তার মা আর বাইরে বের হতে পারেন না। ফলে শিশুটি জুতার কারখানায় কাজ নিয়েছে।
যুদ্ধে বাবাকে হারিয়েছে ১০ বছর বয়সী আব্দুর রহমান। তার পরিবারের সাতজনের মধ্যে একমাত্র ‘উপার্জনক্ষম’ এখন শুধুই সে। রহমান বলেন, ‘বাবা যুদ্ধে মারা গেছেন। ভাইয়েরা কাজ করতে পারে না। আমিই কাজ করছি, যে অর্থ রোজগার করি তা দিয়ে সংসার চলে।’
ইউনিসেফ বলছে, আফগানিস্তানে জরুরি সহায়তা না দেওয়া হলে শিশুদের পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নেবে। এমন বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।