১৫ মাস পর করোনায় মৃত্যুশূন্য জাপান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য সচেতন ও সভ্য হিসেবে পরিচিত জাপানিরা। তবে মহামারি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে পারেনি দেশটি। ২০২০ সালের ২ আগস্ট দেশটিতে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই বেড়েছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু।

অবশেষে প্রায় ১৫ মাস পর রোববার (৭ নভেম্বর) মৃত্যুহীন দিন দেখলো জাপানিরা। এদিন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর এনএইচকে।

বিজ্ঞাপন

জাপানভিত্তিক বার্তাসংস্থা এনএইচকে এর প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে শুরু করেছে জাপানের নাগরিকরা। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ‘স্বাস্থ্য প্যানেল পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে নতুন করে পাঁচটি ধাপে অগ্রসর হচ্ছে।

barta24

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে এন্টিভাইরাস ব্যবস্থাপনা প্যানেল চারটি ধাপে কাজ করছে। এটির কাজ হচ্ছে নতুন শনাক্ত ও হাসপাতালে ভর্তির হার নির্ণয় করা। এবার পাঁচটি ধাপে কাজ করার খসড়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

করোনার পারিপার্শ্বিক প্রকৃত অবস্থা নিরুপণের পাশাপাশি মেডিকেল সার্ভিস এবং টিকাদান কার্যক্রম এবং উপসর্গ খতিয়ে দেখার কাজ করা হবে এসব ধাপে।

চীনের উহানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ যখন চরমে, যখন শহরটির হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় তখনও জাপান তার সীমান্ত বন্ধ করেনি। মহামারি শুরুর প্রথম থেকেই জাপান এমনভাবে পদক্ষেপ নেয় যে করোনার আঁচ শুরুর দিকে খুব একটা পায়নি দেশটির মানুষ।

কিন্তু ২০২০ সালের আগস্টে হু হু করে বাড়তে থাকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা। আবারও করোনা ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যদিও দেশটির সাধারণ নাগরিকরা করোনার টিকা কার্যক্রমে ধীরগতির অভিযোগ তোলেন।

করোনার কারণে জাপানে অর্থনৈতিক সংকটও তৈরি হয়। এছাড়া করোনার মধ্যে অলিম্পিকের আয়োজন করে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী ৭১ বছর বয়সী ইউশিহিদে সুগা। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী এখন ফুমিও কিশিদা।