ইন্দোনেশিয়ায় ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে নিহত ৩৮৪

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দুর্যোগ আক্রান্ত এক নারী। ছবি: বিবিসি নিউজ

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দুর্যোগ আক্রান্ত এক নারী। ছবি: বিবিসি নিউজ

ইন্দোনেশিয়ার সুলাবেসি দ্বীপের শহর পালুতে ২৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে অন্তত ৩৮৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

উদ্ধারকর্মীদের দেওয়া তথ্যমতে জানা গেছে, ভূমিকম্প ও সুনামিতে শতাধিক বাসিন্দা আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ২৯ জন। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ওই এলাকায় ধ্বংস হয়েছে হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/29/1538213396757.png

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রতিরোধ অধিদপ্তরের মুখপাত্র সুতপ পুরো নুগ্রহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১.৫ মিটার সুনামি যে এলাকায় আঘাত হেনেছে, সেখানে উদ্ধারকর্মীরা এখনও পৌঁছাতে পারেনি। তেমনই একটি এলাকা হলো- দ্বীপটির তীরবর্তী শহর ডংগালা।

তিনি আরও বলেন, সমগ্র এলাকার বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যার ফলে উদ্ধার তৎপরতা ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/29/1538213374257.jpg

‘ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে স্থানীয় হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় মেডিকেল কর্মকর্তারা আহত বাসিন্দাদের বিল্ডিং এর বাইরে চিকিৎসা প্রদান করছেন’ বলেও জানান সুতপ।

৭.৫ মাত্রার এই ভূমিকম্পের পর আরও বেশ কয়েকটি ছোটমাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। যার মাঝে একটি ছিল ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে সুনামি আক্রান্ত এলাকার ছবি প্রকাশ হলে দেখা যায়, পুরো এলাকা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। রাস্তা ভাঙ্গা, ধ্বসে পড়া স্থাপনার মধ্যে আছে হাসপাতাল ও শপিং মল। সুনামির আঘাতে ডংগালার একটি বড় সেতু সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

মূলত ইন্দোনেশিয়ার ভৌগলিক অবস্থানের জন্য এটি অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ একটি দেশ। শুক্রবারের ৭.৫ মাত্রার এই ভূমিকম্প, বিগত জুলাই ও আগস্টে ইন্দোনেশিয়াত হানা দেওয়া ভূমিকম্পের চাইতেও শক্তিশালী ছিল।