হ্যারি-মেগানের জন্য ‘ব্যথিত’ রানি এলিজাবেথ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রিন্স হ্যারি-মেগান দম্পতির অভিযোগের বিষয়ে অবশেষে নীরবতা ভাঙল ব্রিটিশ রাজপরিবার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) রানি এলিজাবেথের পক্ষে বাকিংহ্যাম প্রাসাদ এক বিবৃতিতে দিয়েছে। বিবৃতিতে রানি গত কয়েক বছর প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল যে সমস্যার মধ্যে ছিলেন, তা জানতে পেরে পুরো রাজ পরিবার ব্যথিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হ্যারি-মেগান দম্পতির ছেলে আর্চির গায়ের রং কত কালো হতে পারে, এ নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রানি। তবে তিনি বলেছেন, আর্চি সবসময়ই রাজপরিবারের ভালোবাসা নিয়ে থাকবে।

বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস বলেছে, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের জন্য গত কয়েক বছর কতটা সমস্যাপূর্ণ ছিল, তা পুরো পরিবার জানতে পেরে দুঃখ পেয়েছে।

প্রিন্স হ্যারি-মেগান দম্পতির সাক্ষাৎকারটি ১৯৯৭ সালে হ্যারির মা ডায়ানার মৃত্যুর পর এই প্রথম এতো বড় সংকটের মধ্যে পড়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার। বর্ণবৈষম্য নিয়ে বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে পরিবারটি।

বর্ণ বৈষম্যের বিষয়ে ডিউক অব সাসেক্স হ্যারি ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগানের বোঝার ভুলও হয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে বিবৃতিতে।

তারপরও এটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দেখার কথা জানিয়ে রানি পারিবারিকভাবেই তা মিটিয়ে ফেলার কথা বলেছেন।

যুক্তরাজ্যের রাজ পরিবারে মিশ্র বর্ণের প্রথম বধূ হয়ে আসা মেগান গত রোববার (০৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে সিবিএস টিভিতে জনপ্রিয় মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। ওই সাক্ষাৎকারে কয়েকশ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে অপ্রিয় কথা বলেন হ্যারি ও মেগান দম্পতি। ‘অপরাহ উইথ মেগান অ্যান্ড হ্যারি: এ সিবিএস প্রাইমটাইম স্পেশাল’ শিরোনামের বিশেষ টিভি শোটি যুক্তরাজ্যের আইটিভিতেও স্থানীয় সময় সোমবার রাতে প্রচার করা হয়।

ওই সাক্ষাৎকারে বাকিংহাম প্যালেসের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন বলে অভিযাগ করেন মেগান। তার ছেলে আর্চির গায়ের রং কত কালো হতে পারে, সে অনুমান করা থেকে শুরু করে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে কতবার মধ্যাহ্নভোজে গেছেন, সবকিছুতে নাক গলাত রাজ প্রাসাদ।

ওই সাক্ষাৎকার প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, তার ও স্ত্রী মেগান মার্কেলের যুক্তরাজ্য ছাড়ার পেছনে ট্যাবলয়েড পত্রিকার বর্ণবাদী আচরণ বড় ভূমিকা রেখেছে। হ্যারির কথায়, যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েড গণমাধ্যম সংকীর্ণতাবাদী। ট্যাবলয়েড গণমাধ্যমগুলো ভয় এবং নিয়ন্ত্রণের বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করেছিল বলে জানায়।

রাজ প্রাসাদের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রিন্স হ্যারি-মেগান দম্পতির বিষয়টি পারিবারিক ঘটনা হিসেবেই দেখছে রাজ পরিবার এবং তা ঘরোয়াভাবেই মিটিয়ে ফেলতে চাইছে তারা।