পরীমণিকেই কি খোঁচা দিয়ে লিখলেন সোহানা সাবা!

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সোহানা সাবা ও পরীমণি

সোহানা সাবা ও পরীমণি

জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা গেছে ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে। অন্যদিকে, আওয়ামীপন্থি তারকা হিসেবে পরিচিত সোহানা সাবা। বিশেষ করে ‘আলো আসবেই’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তার সম্পৃক্ততার ফলে আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দারুণ সমালোচনার শিকার হন সাবা।

এবার সোহানা সাবা পরীমণিকে খোঁচা দিয়ে স্ট্যাটাস দিলেন! যদিও তার স্ট্যাটাসের কোথাও পরীমণির নাম উল্লেখ নেই। তবুও পরীর গতকাল রাতে দেওয়া স্ট্যাটাসের হুবহু লাইন কোট করা হয়েছে সাবার স্ট্যাটাসে। তা দেখে বোঝার বাকী থাকে না যে, স্ট্যাটাসটি সাবা পরীর উদ্দেশ্যেই দিয়েছেন!

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি কট্টরপন্থি মুসলিমদের বাধার মুখে পড়ে টাঙ্গাইলে শো রুম উদ্বোধণ করতে না পেরে গত রাতে পরীমণি ফেসবুকে লেখেন, ‘এতো চুপ করে থাকা যায় নাকি! পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এতো বাধা কেন আসবে? ইনসিকিউর ফিল হচ্ছে! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা! মেহজাবীন, পড়শী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা? কি বলার আছে আর.. এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে! তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।’

পরীমণি

সেই স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে সোহানা সাবা আজ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আপ্পিটা (নাম নিলাম না) স্ট্যাটাসে সংশয় প্রকাশ করসেন এই বইলা, ‘আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম বা হচ্ছি?’ ওহ, প্লিজ। আপনি ও আপনার মতো যারা পাঁচ মাস পরে হেঁচকিকান্না কানতাসেন, তারা ইমোশনের দোহাই দিয়ে নিজেদের গাধামি, বোকামি, ফাত্রামি ইত্যাদি আড়ালের চেষ্টা কইরেন না। ইমোশনের মূল্য অনেক। আপনাদের ইমোশনের উত্থানে অনেক প্রাণ ঝরে গেছে। হাসিনা পতনের পর মাস্টারমাইণ্ডের, প্রধানের (নাম নিলাম না) বক্তব্য শুইনা, ‘ওমা একি শুনছি গো, কী দারুণ বলছে’, মিহিসুরে এসব বলে বলে মিডিয়া জগতের অনেকেরই আনন্দ হয়েছিলো। এখন হুশ ফেরায় তারা পালনবাদ নিয়ে মজা লয়। আপ্পিটার মতো অন্যান্য সকল ইমোশনালদের কই, মাথায় কোনোকালেই এক ছটাক বুদ্ধি ছিল না, এখন আইসে ইমোশন ফালাইতে। মিডিয়ায় কাজ করলেই, ডিরেক্টর ক্যামেরাম্যান আর্টিস্ট হইলেই যে আপনি সবচেয়ে বেশি বুঝেন, এমনটা না। যা হোক, নিজের ভুল বুঝতে পারায় আপাতত স্বাগতম। তবে ভবিষ্যতে যাবতীয় বুঝতে পারাটা যুক্তি দিয়া বুইঝেন, ইমোশন অন্য কাজে লাগায়েন।’

বিজ্ঞাপন
সোহানা সাবা