জামদানি নিয়ে ওঠা নিজের বিতর্কে মুখ খুললেন জয়া

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ জয়ার এই সাজ নিয়ে উঠেছে বিতর্ক

ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ জয়ার এই সাজ নিয়ে উঠেছে বিতর্ক

সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ভারতের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এ জামদানি পরে উপস্থিত হয়েছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। জামদানিকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেত্রী।

ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এর আসরে জয়া আহসান

জামদানির এমন উপস্থাপনা পছন্দ করেননি অনেকেই। যেটি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিতর্ক চলছে। অনেকেই বলছে, জামদানির ১২টা বাজিয়েছেন জয়া! সেটাও কানে গেছে জয়ার। তবে চলমান সমালোচনাকে তিনি গায়েই মাখছেন না, বরং ভবিষ্যতে জামদানি নিয়ে আরও বেশি বেশি ফিউশন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন
ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এর আসরে জয়া আহসান

এ বিষয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘আমি দেখেছি অনেকে এটা নিয়ে কথা বলছেন। আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফিউশন করে খেতে পারি, যেমন পিঠা বা মাছ তো আমরা ফিউশন করে খাই। তাহলে আমাদের দেশের কস্টিউম কেন ফিউশন করে পরতে পারবো না? কেউ তো দাসখত দেয়নি যে, জামদানি এভাবে পরা যাবে না, ওভাবে পরা যাবে না।’

ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এর আসরে জয়া আহসান

তিনি আরও বলেন, ‘জামদানি যদি স্কার্ট হয়, জ্যাকেট হয় তাহলে এভাবে পরলে সমস্যা কোথায়? আমরা যত ফিউশন করবো ততো বাইরের দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পারবো। এটার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এসব ভেবেই আমি জামদানির এই ফিউশন করেছি।’

বিজ্ঞাপন
ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এর আসরে জয়া আহসান

অভিনেত্রীর ভাষ্যে, ১ ডিসেম্বর আমি যখন মঞ্চের পেছনে বসেছিলাম, সবাই আমাকে দেখে প্রশংসা করেছে। ‘কাড়াক সিং’-এর সহকর্মীরা আলাদা আলাদা করে আমার হাত, চুল, গয়নার ছবি তুলছিলো। এমনকি ‘হীরামান্ডি’র একজন অভিনেত্রীও পুরস্কার দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, ‘তোমার জামদানিটা এত সুন্দর। আমি কি এটা একটু ছুঁয়ে দেখতে পারি?’ উনি জামদানির টেকচার ছুঁয়ে দেখছিলেন। আমার কাঁথার জ্যাকেটটা ধরে দেখছিলেন। এসবই তো আসলে ভালো লাগার বিষয়।‘

ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এর মঞ্চে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন জয়া আহসান

এরপর জয়া বলেন, ‘আমি মনে করি, জামদানি, মসলিন এমনকি আমাদের গামছাকেও একবার ব্যবহার করে ঘরবন্দী করে না রেখে যত বেশি ফিউশন করে পরতে পারি, বিশ্বে ততোই এর চাহিদা বাড়বে।’