দেব-মিতুর ‘কমান্ডো’র সব সম্ভাবনা শেষ!
২০২০ সালে কলকাতার সুপারস্টার দেব প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন। শাপলা মিডিয়া প্রযোজিত শামীম আহমেদ রনীর পরিচালনায় ‘কমান্ডো’ নামের সেই ছবিতে দেবের বিপরীতে ছিলেন জাহারা মিতু। তখন সিনেমাটির শুটিং ৩০ শতাংশ হয়ে টিজার প্রকাশের পর তুমুল বিতর্কে পড়ে। এরপর বন্ধ হয়ে যায় দেবের প্রথম বাংলাদেশের সিনেমাটি! এমনকি প্রকাশিত টিজারটিও ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
কিছুদিন পর শোনা যায়, আবার শুরু হবে ‘কমান্ডো’র শুটিং। তবে শেষ সম্ভাবনাও নষ্ট হয়ে গেল সিনেমার প্রযোজকের মৃত্যুর কারণে।
শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান তার এলাকায় চেয়ারম্যান হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরই চাঁদপুরে একদল দুর্বৃত্ত তাকে ও তার ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খানকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হয়েছেন ছবিটির পরিচালক রনীও। নিউ ইয়র্ক থেকে তিনি বলেন, ২০২২ সালে দেব দাদাসহ আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হই যে, এই প্রজেক্টটি আর হবে না। আর আমি এখন ফিল্মের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নই। আমি শিগগির দেশেও ফিরব না। তাই এই প্রজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
‘কমান্ডো’ সিনেমা বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে শামীম আহমেদ রনী বলেন, ‘৩০ পার্সেন্ট শুটিং হওয়ার পরে ২০২০ সালে পৃথিবীতে কোভিড আসে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার শুটিংয়ে নামি। ওই বছরের ডিসেম্বরে টিজার প্রকাশের পর একটি মহল এই সিনেমাটি বন্ধে আন্দোলনে নামে। তারা টিজার দেখে ভেবেছিল ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে আমার ছবির গল্প। কিন্তু আমি একজন মুসলিম সেটা কেন করব? শান্তির ধর্ম ইসলাম সেটাই ছিল সিনেমাটির উপজীব্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনাটি একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্নভাবে লাইফ থ্রেড আসে। আমি, দেব দা সবাই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ি। বিশেষ করে আমি নিজে জীবনের ঝুঁকিতে পড়ি। তখন দেব দাদার পারিশ্রমিক বাদে অলমোস্ট ২ কোটি খরচ হয়ে যায়। এটা ছিল দেব দাদার প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা। এ কারণে প্রযোজক সেলিম ভাই আনলিমিটেড বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। ফলে অনেক চেষ্টা করেছিলাম কাজটি হোক। মানুষ জানুক আসলে কী বানাতে চেয়েছি। কিন্তু কাজটি আর হয়নি।’