আশি ও নব্বইয়ের দশকের সাড়া জাগানো শিল্পী মুজিব পরদেশি। তার একাধিক গান শুনে এখনো মানুষের মুখে মুখে। তার মধ্যে অন্যতম ‘মন তোরে পারলাম না’ গানটি। কালজয়ী এই গানের অবেদন একটুও কমেনি। তাইতো এবার লিভিং রুম সেশান-এ আবারও তৈরী হলো এই গানটি। প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার হাসান মতিউর রহমানের অনবদ্য সৃষ্টি ‘মন তোরে পারলামনা বোঝাইতে’ গানটির নতুন সংগীতায়োজন করলেন পাভেল আরিন। নতুন আঙ্গিকে করা গানটিও গেয়েছেন মুজিব পরদেশি।
বাংলা গানের পুরোধা ব্যক্তিত্বদের গানে ক্রমেই সমৃদ্ধ হচ্ছে লিভিং রুম সেশান। যাত্রা শুরু থেকেই শেকড় ও শুদ্ধতার মেলবন্ধনে এগিয়ে যাচ্ছে সংগীত পরিচালক পাভেল আরিনের এ মিউজিক্যাল প্রজেক্ট। হয়ে উঠছে বাংলা গানের নতুন এক অপ্রতিদ্বন্দী প্লাটফর্ম।
লিভিং রুম সেশান-এ মুজিব পরদেশির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে পাভেল বলেন, ‘অত্যন্ত বিনয়ী স্বভাবের শিল্পী তিনি। বাংলা ফোক মিউজিককে নতুন রূপে তিনিই উপস্থাপন করেছেন। তার গানের সাথে অনেক আগে থেকে পরিচিত হলেও ২০১৫ থেকে তার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয়। আমাদের ব্যান্ড চিরকুট এর জাহিদ নিরবের মামা হওয়ার সুবাদে আমরাও মামা বলে ডাকি। তারই ধারবাহিকতায় আমার অনুষ্ঠানে মামাকে আমন্ত্রণ জানাই। আমার এক ডাকেই বিনাবাক্যে মামা আসলেন, গাইলেন, আর সারারাত আড্ডা দিলেন। শুনলাম তার বর্ণাঢ্য জীবনের গল্প।’
বিজ্ঞাপন
হাসান মতিউর রহমানের ‘মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে’ গানটিকে কেন বেছে নিলেন লিভিং রুম সেশানে? পাভেলের উত্তর, ‘অনেক আগে থেকেই গানটা আমার পছন্দ। কী সহজে কত সুন্দর উপস্থাপন। সুর এবং কথার অনবদ্য মেলবন্ধন। অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিলো যে এই গানটিকে যদি নতুন সাউন্ডে কিছু করা যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ গানটি যিনি তৈরি করেছেন। তার লেখা ও সুরে হাজারো গান এদেশের মানুষ ধরে ধারণ করছে। আমি বিনয়ের সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই দেশের গুণী গীতিকার সুরকার ও চেনাসুরের কর্ণধার শ্রদ্ধেয় হাসান মতিউর রহমান আঙ্কেলকে। তিনি আমাদের এ গানটি উপস্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন। আমাদের ভালোবাসা দিয়েছেন।’
লিভিং রুম সেশানের প্রথম সিজনে গানগুলোর মধ্যে রয়েছে আটটি রিমিক্স ও একটি মৌলিক গান। প্রখ্যাত গুণী শিল্পী ও তরুণ শিল্পীদের সমন্বিত এ প্লাটফর্মে এর আগে প্রকাশিত গানগুলোতে দেখা গেছে জনপ্রিয় শিল্পী কনা, ইমরান, কাজল দেওয়ান, জাহিদ নীরব ও ইন্নিমাকে।
বলিউডের মেথড অ্যাাক্টর রণদীপ হুদা হলিউডে পা দিয়েছেন বেশ অনেকদিন হলো। ২০২০ সালে প্রকাশিত ‘এক্সট্র্যাকশন’ সিনেমা করোনা মহামারির মধ্যেও সারাবিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সেই সিনেমার এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলেন রণদীপ হুদা। ‘এক্সট্র্যাকশন’-এর পরিচালক ছিলেন স্যাম হারগ্রেভ। দীর্ঘ ৫ বছর পর আবারও পরিচালক হারগ্রেভের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন রণদীপ।
পরিচালক স্যাম হারগ্রেভের সঙ্গে ‘ম্যাচবক্স’ সিনেমায় কাজ করবেন রণদীপ। হলিউড তারকা জন সিনা ইতোমধ্যেই এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। মার্ভেলের সুপারহিরো ফোটন চরিত্রের জন্য সম্প্রতি জনপ্রিয় তারকা তেয়োনা প্যারিসও থাকবেন এই সিনেমায়। এছাড়া জেসিকা বিয়েল, স্যাম রিচার্ডসনের মতো তারকারাও অভিনয় করবেন।
এই সিনেমায় কাজ করা নিয়ে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন রণদীপ। ৪৮ বছর বয়েসি এই তারকা বলেন,‘ স্যামের সাথে আবার কাজ করতে পেরে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। এক্সট্র্যাকশনে আমাদের প্রথম কাজ করার সময় স্যামের সহযোগিতা পেয়েছি। একসঙ্গে আমরা দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। স্যাম গল্প বলার ধরন এবং অ্যাকশনে মাস্টার। বুদাপেস্টে চলমান শ্যুটিংয়ে যোগ দিয়ে আনন্দ লাগছে।’
‘ম্যাচবক্স‘ সিনেমায় কিছু বাল্যকালের বন্ধুদের গল্প বলা হয়েছে। ছোটবেলার বন্ধুরা বড় হওয়ার পর আবার একত্রিত হয়। অ্যাকশনধর্মী এই সিনেমায় এই বন্ধুর দলই বিশ্বব্যাপী ঘটতে যাওয়া কোনো বড় সমস্যার মোকাবিলা করবে। একই সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব খুঁজে পাবে নতুন মাত্রা। একইসঙ্গে ঘটমান এই ঘটনাগুলো সিনেমার গল্পকে রোমাঞ্চকর করে তুলবে।
রুশো ব্রাদার্সের মতো বিখ্যাত হলিউড ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন রণদীপ হুদা। ক্রিস হেমসওয়ার্থের মতো গ্লোবাল স্টারের সঙ্গে স্ক্রিনশেয়ার করেছেন। আরও একবার হলিউডের নামকরা তারকা এবং পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন রণদীপ। বলিউডে একরকম আন্ডাররেটেড তারকা রণদীপ অভিনয় প্রতিভার জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন বিশ্বব্যাপী।
চেক জালিয়াতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পরিচালক রামগোপাল ভার্মা। গত মঙ্গলবার চেক জালিয়াতির মামলায় মুম্বাইয়ের আন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ‘সত্য’ পরিচালককে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, এই মামলায় জামিনও পাবেন না রামগোপাল। কারণ, আদালত পরিচালকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে। তবে কি এবার সত্যিই জেলে যেতে হবে পরিচালককে? খবর এনডিটিভির
জেল থেকে বাঁচার একটি উপায় অবশ্য আছে। চেক বাউন্স মামলায় আগামী ৩ মাসের মধ্যে অভিযোগকারীকে ৩ লাখ ৭০ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরিচালক এই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে তিন মাসের জেল খাটতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার পরিচালককে আদালতে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে তিনি সেদিন আদালতে হাজির হননি। আর তাই আদালত অবমাননার জন্য পরিচালককে পরিচালকে ১৩৮ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত রামগোপালের বিরুদ্ধে এ মামলাটি ২০১৮ সালের। সেসময় ছবি তৈরির জন্য মহেশচন্দ্র মিশ্র ‘শ্রী’ নামক একটা সংস্থা তৈরি করেন। যেটি কিনা রামগোপাল ভার্মার কোম্পানির ‘ভার্মা করপোরেশন কোম্পানি’র সঙ্গে জুড়ে ছিল। সে সময় মহেশচন্দ্র মিশ্র নামে ওই ব্যক্তি পরিচালকের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগ আনেন।
জানা গিয়েছিল, পরিচালক আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। যে কারণে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো ছবিও তৈরি করেননি। তার আগের ছবিগুলোর বক্স অফিসে বিশেষ ব্যবসা করতে পারেনি। যে কারণে নিজের অফিসও বিক্রি করে দিতে হয় রামগোপালকে।
এ মামলাটি একাধিকবার স্থগিত হয়েছে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও পরিচালক বারবার শুনানির দিন উপস্থিত হননি। এদিকে এই মামলাতেই ২০২২ সালের জুন মাসে ৫ হাজার রুপির বিনিময়ে জামিন পেয়েছিলেন পরিচালক। তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় পরোয়ানা জারি হয়েছে। এদিকে সাজা ঘোষণার পরের দিনই নতুন ছবি ‘সিন্ডিকেট’-এর কথা ঘোষণা করেছেন পরিচালক।
গোল্ডেন গ্লোব ও বাফটার পর এবার অস্কারেও সর্বোচ্চ মনোনয়ন পেল জ্যাক অঁদিয়ারের মিউজিক্যাল সিনেমা ‘এমিলিয়া পেরেজ’। ছবিটি ১৩টি মনোনয়ন পেলেও এই ছবির অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ মনোনয়ন পাননি। এ ছবির জন্য গত বছর কান উৎসবে তিনি সেরা অভিনেত্রী হয়েছিলেন।
অন্যদিকে ‘মারিয়া’ ছবিতে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির অভিনয় আলোচিত হলেও তিনি সেরা অভিনেত্রীর দৌড়ে নেই। একইভাবে বলা যায় ডেনজেল ওয়াশিংটন, টিলডা সুইনটন আর পামেলা অ্যান্ডারসনের কথাও। ‘গ্ল্যাডিয়েটর ২’, ‘দ্য রুম নেক্সট ডোর’ ও ‘দ্য লাস্ট শোগার্ল’-এর জন্য অনেকেই ভেবেছিলেন যে তারা সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পাবেন, কিন্তু কেউই পাননি। ‘কুইয়ার’ ছবিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে আলোচনায় ছিলেন ড্যানিয়েল ক্রেগ। তিনিও অস্কারে নেই।সমালোচকদের মতে গত বছরের অন্যতম সেরা ছবি ছিল ‘বেবিগার্ল’। অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন যে এ ছবির জন্য নিকোল কিডম্যান সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পাবেন, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রীও নেই অস্কারে।
অনুমিত অনেক নাম যেমন নেই, তেমনই আবার আছে চমক জাগানিয়া নামও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরুণ বয়সের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ নিয়ে কেউই তেমন আশাবাদী ছিলেন না। কিন্তু অস্কারে গুরুত্বপূর্ণ দুই বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ছবিটি (সেরা অভিনেতা ও সেরা পার্শ্ব অভিনেতা)।
গত বছর অন্যতম আলোচিত সিনেমা ছিল ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’। এ ছবির জন্য গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেত্রী হন ডেমি মুর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এটাই ছিল তার প্রথম বড় কোনো পুরস্কার। এ ছবির জন্য অস্কারেও সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
গতকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হয়েছে ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের মনোনয়ন। লস অ্যাঞ্জেলেসের বেভারলি হিলসের স্যামুয়েল গোল্ডউইন থিয়েটারে এ মনোনয়ন ঘোষণা করেন অভিনেত্রী র্যাচেল সেনট ও অভিনেতা বোয়েন ইয়াং। গত বছরের আলোচিত দুই সিনেমা ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ ও ‘উইকেড’। এ দুটি ছবিও বাগিয়েছে ১০টি করে মনোনয়ন। বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’ ও ভ্যাটিক্যান থ্রিলার ‘কনক্লেভ’ পেয়েছে ৮টি করে মনোনয়ন।
অস্কারে মনোনীত হয়েছে ভারতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘অনুজা’। ছবিটি মনোনয়ন পেয়েছে সেরা লাইভ অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম বিভাগে। অ্যাডাম জে গ্রেভস পরিচালিত এ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। দিল্লির এক পোশাক কারখানায় কাজ করা দুই বোনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি।
চলতি মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের কারণে দুইবার পিছিয়েছে অস্কার মনোনয়ন। আগামী ২ মার্চ (বাংলাদেশ সময় ৩ মার্চ) অস্কার আয়োজনে থাকবে দাবানলের প্রসঙ্গও। একাডেমির প্রধান নির্বাহী বিল কারমার এএফপিকে জানিয়েছেন, অস্কারে দাবানলের উদ্ধার তৎপরতায় ভূমিকা রাখা সাহসী যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানানো হবে।
নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। তার গানের ভক্ত সবাই। কিন্তু যারা তাকে ফেসবুকে অনুসরন করেন তারা জানেন, মনের কথা সুন্দর শব্দ-বাক্য বিন্যাসে ব্যক্ত করতেও তার জুড়ি নেই।
ফেসবুক যেন ফাহমিদার নিজস্ব ডায়েরি। তাই খুব বড় বিষয়ে যে লিখতে হবে না নয়, একেবারেই মনের সুক্ষ অনুভূতির কথা, দৈনন্দিন যাপনের ঘটনা তিনি লিখে ফেলেন ফেসবুকে। তার সেই লেখাগুলো সবাই খুব পছন্দ করেন।
তবে এবার আর ফেসবুকে নয়, ফাহমিদা নবীর লেখা আসছে মোড়কে বন্দী হয়ে! অর্থাৎ বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কণ্ঠশিল্পীর। বলা প্রয়োজন, এটিই তার প্রথম বই। যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘ফাহমিদা নবীর ডায়েরি’। একুশে বইমেলায় শব্দশিল্প প্রকাশনী থেকে বইটি বের হচ্ছে।
এ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ফাহমিদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সেই যে প্রথম গানের ক্যাসেট বেরিয়েছিল, তখন যেমন অনুভব করেছিলাম এখন প্রথম বই প্রকাশের লগ্নে একইরকম লাগছে। একটা নতুন জিনিস করতে যাচ্ছি, পাঠকরা কিভাবে নেবে সেটা নিয়ে ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে এই অন্তর্জালের যুগে একটা ছাপা বই ধরে দেখার অনুভূতিটাও অণ্যরকম সুন্দর। সুন্দর আয়োজনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করতে চাই একুশে বইমেলার প্রথম সপ্তাহে। আশা করি বইটি পাঠকদের ভালো লাগবে।’
বইটির প্রচ্ছদ ফেসবুকে প্রকাশ করে এই শিল্পী লিখেছেন, ‘লিখতে ভালো লাগে সেই ছোটবেলা থেকেই। আমার বাবার লেখা, কথার ভঙ্গী, গান গাইবার অনুভব আমাকে অনুপ্রাণিত করতো। আম্মাকে দেখতাম বই পড়তেন, ডায়েরি লিখতেন, ভীষণ ভালো লাগতো। আমিও লেখার চেষ্টা করতাম, এখনও করছি।'
তিনি আরও বলেন, ‘‘গানের কথা থেকে যে জীবনবোধ তৈরি হয় আর চারপাশের যাপিত জীবন যে অভিজ্ঞতা হয় তার কোনটাই জীবন দর্শনের বাইরে নয়। তাই যা দেখি তাই নিজের মতো করে ইতিবাচকভাবে সমাধানের পথ খুঁজি আর লিখে ফেলি উপলব্ধি। চলতি পথে জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা; সেগুলোকে উপলব্ধি, অনুভব ও অনুধাবনের মাধ্যমে তুলে ধরি। দর্শন নিয়ে পড়েছিলাম বলেই জীবনের দর্শনে নিজেকে চেনা, জানা ও বোঝার নানান দিকগুলো আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে, প্রশ্ন জাগায় সহজ সমাধানের লক্ষ্যে। অন্যের গল্প আর সেই সাথে নিজের উপলব্ধির ব্যাখ্যাগুলোর মাধ্যমে নিজেও যেমন সহজ হতে চেষ্টা করি, তেমনি চাই মানুষও সহজ হোক, আপন উপলব্ধিতে বাঁচতে শিখুক। জীবনকে জয় করুক সাহসী বিশ্বাসের মর্যাদায়।
সে কারনেই ফেসবুক পেইজে ফাহমিদা নবী’স ডায়েরিতে নিয়মিত লিখি। যারা নিয়মিতভাবে পেইজটির লেখা পড়েন, তারা আমার গানের পাশাপাশি লেখারও ভক্ত। তাদের অনেকেরই চাওয়া, আমার লেখাগুলোর একটি বই হোক, যেখানে সব লেখা একসাথে থাকবে। তাদের চাওয়ার ইচ্ছে পূরন করতেই এই বই। পাঠকের প্রতি ভালোবাসা রইলো আমাকে উৎসাহিত করবার জন্য। স্বপ্ন, সত্য এবং ইতিবাচকতায় যে বাস্তব চিন্তাগুলোকে আমি ডায়েরিতে তুলে ধরেছি, তা আজ সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় একটি বই আকারে রূপ নিতে পারলো। ধন্যবাদ শব্দশিল্প প্রকাশনীকে। সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে, উপলব্ধি করলে সার্থক হবে আমার ডায়েরি।’’
এমন কি কিছু আছে যা করা বাকী রয়ে গেলো? জানতে চাইলে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘আমি গান আর লেখিলেখি নিয়েই আছি। গানের স্কুল ‘কারিগরী’ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এখন আমার একটা ইচ্ছে আছে দেশে এবং দেশের বাইরে বাচ্চাদের নিয়ে কিছু কাজ করতে চাই। কারণ তারাই তো আসলে ভবিষ্যতে আমাদের দেশের সংস্কৃতিকে নিয়ে যাবে সামনের দিকে।’