বুলবুলের মরদেহ শহীদ মিনার নেওয়া হবে বুধবার

  • বিনোদন ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

কিংবদন্তি এই তারকাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/22/1548136832000.jpg

বিজ্ঞাপন

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানান, মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর পিজি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে শিল্পী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মরদেহ। পরে বুধবার সকাল ১১টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে, সর্বস্তরের জনগণ জানাবেন শ্রদ্ধা। পর্বটি পরিচালনা করবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

বুলবুলের জানাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশিষ্ট কবি ও সুরকার শহিদুল্লাহ ফরাজী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে এফডিসিতে, সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে তাকে।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দুই বোনের একজন থাকেন বিদেশে। তিনি ফিরবেন বুধবার সকালে। এরপর জানাজা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/22/1548136906003.jpg

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। তিনি ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিক থেকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগীতে সক্রিয় হন। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন তিনি। সেই থেকে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।

সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপাসহ বাংলাদেশি প্রায় সব জনপ্রিয় শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন বুলবুল।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/22/1548136920291.jpg

১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বুলবুল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।