আত্মহত্যা প্রবণতা ছিলো অকালপ্রয়াত লিয়ামের
বিশ্বসংগীতের ভক্তদের কাছে অজানা নেই জনপ্রিয় ব্রিটিশ তারকা লিয়াম পাইন মারা গেছেন। গত বুধবার আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে একটি হোটেলের চতুর্থ তলা থেকে পড়ে মারা গেছেন লিয়াম। ৩১ বছর বয়সী এই তারকা দুনিয়াজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি পান আলোচিত ব্রিটিশ ব্যান্ড ‘ওয়ান ডিরেকশন’-এর সদস্য হিসেবে।
২০১৬ সালে ভেঙে যায় ‘ওয়ান ডিরেকশন’। অন্য সদস্যদের মতো লিয়ামও একক ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। গত কয়েক বছরে অবশ্য গানের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনা নিয়ে আলোচিত হয়েছেন তিনি। ২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানান তার পানাসক্তির কথা। মাদক সমস্যা ছাড়াও তার যে আত্মহত্যার প্রবণতা আছে, সে কথাও প্রকাশ্যে বলেছিলেন। গত বছর কিডনি সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
পরে জানান, তিনি মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন, শিগগিরই নতুন অ্যালবামের ঘোষণা দেবেন। তবে আলোচিত এই গায়কের পথচলা থেমে গেল মাত্র ৩১ বছর বয়সেই।
১৪ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থী লিয়াম ২০০৮ সালে রিয়েলিটি শো ‘দ্য এক্স ফ্যাক্টর’-এর অডিশন দিতে গিয়ে গান নিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা আমার স্বপ্ন, এই স্বপ্নের পেছনে ছুটতে চাই’। তবে অনেক স্বপ্ন সত্যি না করেই চলে গেলেন গায়ক। এখন তার অনেক টুকরা স্মৃতি নিয়ে আলাপ চলছে অন্তর্জালে।
১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট উলভারহ্যাম্পটনে জন্ম লিয়াম পাইনের। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন খেলাধুলার পোকা। নাম লিখিয়েছিলেন উলভারহ্যাম্পটন অ্যান্ড বিলস্টন অ্যাথলেটিকস ক্লাবে। রানার হিসেবে বেশি নাম করেছিলেন, বক্সিংয়েও সুনাম ছিল বেশ। তবে ১২ বছর বয়সে এক ফুটবল ম্যাচে ২৬ হাজার দর্শকের সামনে গান গাওয়ার পর লিয়ামের জীবনের গতিপথ বদলে যায়।
এরপর নাম লেখান জনপ্রিয় ব্রিটিশ টিভি শো ‘দ্য এক্স ফ্যাক্টর’-এ। এখানেই পরিচয় হয় নিয়াল হোরান, লুইস টমিলসন, হ্যারি স্টাইলস, জায়ান মালিকদের সঙ্গে। তাঁদের দল রিয়েলিটি শোতে তৃতীয় হয়। জন্ম হয় ওয়ান ডিরেকশনের। ‘আপ অল নাইট’, ‘টেক মি হোম’, ‘মিড নাইট মেমরিস’, ‘ফোর’, ‘মেড ইন দা এ.এম’-আলোচিত চার অ্যালবাম উপহার দিয়ে ২০১৬ সালে ভেঙে যায় ওয়ান ডিরেকশন।
এরপর একক শিল্পী হিসেবে দুনিয়ার নানা প্রান্তে পারফর্ম করছিলেন লিয়াম, ২০১৯ সালে মুক্তি দেন প্রথম একক অ্যালবাম ‘এলপিওয়ান’। প্রস্তুতি চলছিল দ্বিতীয় অ্যালবামের, তবে তার আগেই চলে গেলেন তিনি।