টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)-এর ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৯ মার্চ। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন প্রযোজক-অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন প্রযোজক-নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।
নির্বাচন সামনে রেখে কর্মক্ষেত্র, নিরাপত্তা, বিনিয়োগ, মর্যাদা ও প্রাপ্তি নিয়ে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে একগুচ্ছ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তারা। বুধবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহারে টেলিপ্যাবের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন রোকেয়া প্রাচী ও দোদুল।
রোকেয়া প্রাচী বলেন, আমরা ইশতেহারে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়েছি তা টেলিপ্যাব প্রতিষ্ঠা হওয়ার এত বছরেও কেউ দেয়নি। আমরা প্রযোজকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতে চাই। আমরা নির্বাচিত হলে যেসব ইশতেহার দিয়েছি তা সবগুলোই পূরণ করব। এগুলো পারবো বলেই দিয়েছি। যে ইশতেহার দেওয়া হয়েছে সেটা দুই বছরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সম্মানিত ভোটাররা আমাদের সুযোগ দিলে বাস্তবায়ন করব। যতটুকু আমরা পারব ততটুকুই ইশতেহারে দিয়েছি।
সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, তথ্য মন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি জানতেন না যে, টেলিপ্যাব নামে একটি সংগঠন আছে। আমরা তাকে জানিয়েছি। এক যুগেও টেলিপ্যাবের অফিস হয়নি। তাতেই বোঝা যায় এতদিনে কি হয়েছে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টেলিপ্যাবের নিবন্ধন করেছি। যে ইশতেহার দিয়েছি তা নির্বাচিত হলে এক বছরে বাস্তবায়ন করে দেখাবো।
এই নির্বাচনে কোনো প্যানেল না থাকলেও সমমনা প্রার্থীদের একাংশ জোট হয়ে নির্বাচন করছেন। রোকেয়া প্রাচী ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের নেতৃত্বে মোট ২৭ জন প্রার্থী এক হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনে ২৭টি পদে ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সদস্য পদে নির্বাচন করছেন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রোকেয়া প্রাচী ও মনোয়ার হোসেন পাঠান। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সাজু মুনতাসির।
দূর্গা দেবী, তবে তার স্থান কি শুধুই মন্দিরে? গত বছরের দূর্গা পূজার সময়েও বিশেষ ফটোশুটের মাধ্যমে এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন মেধাবী অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।
তিনি মনে করেন, দূর্গা কেবল মন্দিরে পূজনীয় দেবী নয়! তিনি প্রতিটি নারীর আত্মার প্রতিফলন। দূর্গা শান্তি ও বিজয়ের প্রতীক।
এবারের দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যেও বিশেষ ফটোশুট ও ভিডিওচিত্র নির্মাণ করেছে নওশাবার ‘টুগেদার উই ক্যান’ ও ফটোগ্রাফি এজেন্সি ‘মোমেন্টওয়ালা’। পরিচালনা ও ফটোগ্রাফি করেছেন এমডি নাজমুল হোসাইন। নওশাবাকে দেবী দূর্গার বেশে সাজিয়েছেন ইমন হোসেন। ভিডিওর সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইজাজ ফারাহ। সিনেমাটোগ্রাফি ও এডিটিং-এ ছিলেন ইমরানুজ্জামান সোহাগ। এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার অমিত সিনহা।
গত বছর নওশাবা দূর্গার ভূমিকাকে দেখিয়েছিলেন ব্যস্ত রাজধানীর প্রেক্ষাপটে। এবার তার ফটোশুটের থিম ‘দূর্গার সমুদ্র’। তাই তার এবারের ছবিগুলোতে সমূদ্র বড় ভূমিকা পালন করেছে।
প্রতিটি ছবিতে উঠে এসেছে সমূদ্র বিষয়ক কার্যক্রম।
তবে এবারের ফটোশুটটির সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো, এতে সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়কে দেবী রূপে নারী শক্তির ঢেউয়ে প্লাবিত করার প্রয়াস করা হয়েছে।
নওশাবা মনে করেন, ‘দূর্গা ভালোবাসা আর সম্প্রীতির আধার। সমুদ্রের মতো তিনিও সর্বব্যাপী, সবকিছুকে আলিঙ্গন করেন।’
নওশাবা দূর্গার বেশে হাজির হয়ে তুলে ধরেছেন ধর্মীয় সম্প্রীতি, সমূদ্রের পরিবেশ দূষণ ইস্যু, দূর্গার মাতৃরূপ, সাহায্যকারী রূপ, ত্রাণকর্তার ভূমিকা ইত্যাদি।
বিচ্ছেদের ঘোষণা এসেছিল এক মাস আগেই। দাম্পত্য জীবনের ইতি কেন টানছেন? তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। তারপরও হলিউডের এই আলোচিত তারকা দম্পতিকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। আর সেসব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন জেনিফার লোপেজ।
বিশ্বনন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী কেন তার সংসার টিকিয়ে রাখতে পারছেন না? চতুর্থবার বিয়ে করেও কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হলো? এ প্রশ্ন এখন অনুরাগীদের অনেকের। তাই বিচ্ছেদ নিয়ে এবার সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন লোপেজ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘২৬ বছরের অভিজ্ঞতায় একটা বিষয়ই আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমি চ্যালেঞ্জিং যে কোনো কিছু তখনই করতে পারব, যখন আমি মুক্ত থাকব। যে সত্যিকার অর্থে আকাশে উড়ার মতো। আমি কী এবং কিসে আমার সক্ষমতা, তা প্রমাণ করার জন্য আলাদা হয়ে যাওয়া জরুরি ছিল। তাই বিচ্ছেদের পথে হাঁটা ছাড়া আর কোনো উপায় আছে বলে মনে হয়নি।’
লোপেজ আরও বলেছেন, ‘একজীবনে অনেক মানুষের দেখা মেলে, যাদের সঙ্গে পথ চলতেও ভালো লাগে। মনে হয়, দু’জনে মিলে গেলে জীবনটা আরও আনন্দময় হয়ে উঠবে। আমার বেলায়ও সেটাই হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই দেখা গেছে, সম্পর্ককে পরিণয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার পর সেটা এলোমেলো হয়ে গেছে। কারণ, একটাই উভয়ের চিন্তাধারা বিস্তর তফাৎ। তাই একসঙ্গে একই ছাদের নিচে বসবাসও এক সময় বিষাদী হয়ে উঠেছে। ওজানি নোয়া, ক্রিস জাড, মার্ক অ্যান্থনি থেকে বেন অ্যাফ্লেক কেউই দাম্পত্য জীবনের গল্পে নতুন কিছু সংযোজন করতে পারেননি। বিবাহিত জীবনের গল্পে তাই ঘুরে ফিরে তাই একই দৃশ্যের অবতারণা।’
জেনিফার লোপেজ তার সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট করার পাশাপাশি এও স্বীকার করেছেন যে, প্রতিবারই বিচ্ছেদের পর মানসিক আঘাত পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় আঘাতটা এসেছে বেনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা নিয়ে।
অভিনেত্রীর কথায়, পুরোনো প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দিতেই দুই দশক পর এক হয়েছিলাম আমি আর বেন। ভেবেছিলাম, এবার জীবন সুখের স্রোতে বইতে থাকবে। কিন্তু সেই ভুল ভেঙেছে তখনই, যখন বুঝতে পেরেছি, আমি আর বেন আসলে দুই মেরুর বাসিন্দা।
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাট অভিনীত ছবি জিগরা। প্রথমদিন বক্স অফিসে মুভিটি আয় করেছে ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মাঝেই এক নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন এই অভিনেত্রী। জানালেন বলিউড অভিনেতা রাম চরণ তার মেয়ের নামে হাতি পুষছেন।
সম্প্রতি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে একথা জানান আলিয়া। তিনি বলেন, আরআরআর ছবিতে একসঙ্গে কাজ থেকে রাম চরণের সঙ্গে আমার দারুণ বন্ধুত্ব। রাহার (আলিয়ার মেয়ে) জন্মের পর রাম একটা হাতি পাঠিয়েছিল। রাম চরণের এই কাজটা আমার খুব ভালো লেগেছ।
আলিয়া জানান, রাম চরণ তার জন্য একটি বিশেষ কাজ করেছেন যা দেখে তিনি ভীষণ খুশি এবং খুব ভালো লেগেছে।
কী সেই কাজ এমন প্রশ্নে অভিনেত্রী জানান, রাহার জন্মের পর রাম চরণ তার বাড়িতে একটি হাতি পাঠান। আর সেটা দেখেই মুগ্ধ হন আলিয়া। তিনি এই স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি যখন জানতে পারেন বা তাকে যখন জানানো জয় যে রাম চরণ রাহার জন্ম উপলক্ষ্যে হাতি পাঠিয়েছেন তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি। বিশ্বাস করতে পারেননি যে তার বাড়িতে একটা আস্ত হাতি হেটে চলে ঘুরে বেড়াবে।
তবে এখানেই ছিল চমক। রাম চরণ যে হাতিটি আলিয়াকে পাঠিয়েছিলেন সেটা সত্যিকারের হাতি নয়। কাঠের হাতি ছিল। কিন্তু অভিনেতা নিজে সত্যিই একটি বন্য হাতিকে অ্যাডপ্ট করেছিলেন রাহার নামে। রাম চরণের এই কাজটা আলিয়ার খুব ভালো লেগেছিল।
তবে যে কাঠের হাতি রাম চরণ পাঠিয়েছিলেন সেটা এখনও কাপুর বাড়ির পাঁচ তলায় খাবার জায়গায় রাখা আছে সেটার নাম এলি দেওয়া হয়েছে বলেও আলিয়া জানান। রাহা নাকি সেটায় চড়তে দারুণ ভালোবাসে।
আলিয়া আরও জানান যখন তারা একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তখন তাদের সম্পর্ক খুব একটা গড়ে ওঠেনি। কারণ খুব ব্যস্ত শিডিউল থাকত তাদের। কিন্তু ছবিটি প্রচার করতে গিয়ে তাদের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সুসম্পর্ক তৈরি হয়।
সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে মঞ্চ নাটকে অভিনয় শুরু করেন জামালউদ্দিন হোসেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে মঞ্চে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে তারকা হয়ে উঠেছেন টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে। জামালউদ্দিনের স্ত্রী অভিনয়শিল্পী রওশন আরা হোসেন। তার ছেলে কানাডায় এবং মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনি গত এক দশক ধরে ছেলেমেয়েদের কাছেই থাকতেন। এজন্য তাকে অভিনয়ে খুব একটা দেখা যায়নি।
কানাডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৮১ বছর বয়সী এই অভিনেতা। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ খবর জানা গেছে।
চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘জামাল আঙ্কেল শেষ সময়টা তার ছেলের কাছে ছিলেন কানাডার ক্যালগেরি শহরে। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় বেশ কয়েকদিন আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মাঝে ক্ষণিকের জন্য অবস্থা ভাল হলেও শেষাবধি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।’
স্থানীয় সময় আজ শনিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে ক্যালগেরি শহরেই তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
তিন সপ্তাহের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেলেন অভিনয়শিল্পী জামালউদ্দিন হোসেন। এর মধ্য দিয়ে অভিনয়শিল্পী রওশন আরা হোসেনের সঙ্গে তার ৫৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটেছে। বেশ কিছুদিন ধরে ভালো নেই রওশন আরা হোসেনও। তিনি পারকিনসনস রোগে ভুগছেন। ছেলে তাশফিন হোসেন কানাডার ক্যালগ্যারি থেকে আজ শনিবার গণমাধ্যমকে বললেন, ‘বাবা মৃত্যুর সময় মা হাসপাতালেই ছিলেন। তার অবস্থাটা এখন এমন, এই মনে থাকে তো এই মনে থাকে না। তাকে নিয়ে তো আমাদের চিন্তার শেষ নেই। বাবা যেমন রোগে খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন, মা–ও আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছেন।’
তাশফিন হোসেন আরও জানালেন, শুক্রবার এখানকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় তার বাবা মারা যান। এই সময়ে তাদের সবার সঙ্গে মা–ও ছিলেন। তিনি বেশ কিছুক্ষণ বাবার দিকে অপলক তাকিয়ে ছিলেন। কাঁদলেনও কিছুক্ষণ। বুঝতে পেরেছেন, আব্বা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।
তাশফিন বললেন, ‘ওই যে বললাম, আম্মার অবস্থা এখন এমন, এই কিছু মনে থাকে তো পরক্ষণে মনে থাকে না। তাই হাসপাতালের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে আম্মাকে নিয়ে আমরা বাসায় চলে আসি। এরপর কিছু সময় আমরা ভাইবোন মায়ের সঙ্গে কথা বলি। এরপর রাত নয়টার সময় খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
অভিনয়শিল্পী দম্পতি রওশন আরা হোসেন ও জামালউদ্দিন হোসেন একসঙ্গে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন জামালউদ্দিন হোসেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের এই সদস্য পরে টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। গত ১৫ বছর অভিনয়ে একেবারেই অনিয়মিত ছিলেন তিনি। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। মাঝেমধ্যে যখন দেশে আসতেন, টুকটাক অভিনয় করতেন। তবে সাত-আট বছর ধরে একেবারেই অভিনয়ে নেই। জামালউদ্দিন হোসেনের ছেলে তাশফিন হোসেন কানাডার মাউন্ট রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক। মেয়ে তার পরিবার নিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।
১৯৪৩ সালের ৮ অক্টোবর ভারতের চব্বিশ পরগনায় জন্মগ্রহণ করে জামালউদ্দিন হোসেন। দেশভাগের সময় পরিবারের সবাই চট্টগ্রামে আসেন। ওখানেই বসবাস শুরু করেন। জামালউদ্দিন হোসেনের স্কুলে কেটেছে চট্টগ্রামের সেন্ট ক্ল্যাসিক স্কুলে। এরপর চট্টগ্রাম কলেজে এইচএসসি শেষ করে তিনি বুয়েটে ভর্তি হন। বুয়েটের শিক্ষাজীবন শেষে তিনি রেলওয়েতে চাকরি শুরু করেন। এরপর আস্তে আস্তে অভিনয়েও ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
জামাল ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ‘নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল’ নামে আরেকটি নাট্যদল গড়ে তোলেন।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বেতার টেলিভিশন শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘রাজা রাণী’, ‘চাঁদ বণিকের পালা’, ‘আমি নই’, ‘বিবি সাহেব’, ‘যুগলবন্দী’সহ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি একুশে পদক পান।