‘আমি বরাবরই পরিবার ও বাচ্চা চেয়েছিলাম। শিশু দত্তক নিয়েও যে এটা সম্ভব তা বুঝতে পেরেছি। আমাদের দেশে একা নারীদের দত্তক নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি এসব নিয়ে অনেক খোঁজ-খবর নেওয়ার পরই দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কথা বলেছি কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে যারা দত্তক নিয়েছেন।’ সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সন্তান দত্তক নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে এমনটাই জানালেন স্বরা ভাস্কর।
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের মতোই অনেকটা স্বরা ভাস্কর। যখন যা আসে তাই বলে ফেলেন। এ কারণে বহুবার সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। তবে সেসবকে মোটেও পাত্তা দেন না তিনি। বরং এই তারকা এখন ব্যস্ত মা হওয়ার জন্য!
বিজ্ঞাপন
সিঙ্গেল মাদার হতে চান স্বরা ভাস্কর। যার জন্য এবারের দিওয়ালিতে স্বারা অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন অ্যাডপশন সেন্টারের শিশুদের সঙ্গে। তারপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন দত্তক নেওয়ার। ইতিমধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথারিটি-র কাছে আবেদনও করে ফেলেছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জানি এই প্রক্রিয়ায় অনেকটা সময় লেগে যায়। দুই থেকে তিন বছরও লাগতে পারে শুনেছি। তবে আমি মা হওয়ার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’
প্রেম এবং সম্পর্কের গভীরতার অনন্য এক চিত্র ফুটে উঠবে নতুন নাটক ‘রোদের মায়ায়’-তে, যা ২০২৫ সালের ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাবে। নাটকটি লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন নবাগত নাট্যকার জয় চৌধুরী।
নাটকের গল্প একজন সিঙ্গেল ফাদার রিফাতের, যিনি তার মেয়েকে একান্ত ভালোবাসা দিয়ে বড় করে তোলেন। কিন্তু এক মর্মান্তিক ঘটনায় তার মেয়ের জীবন সংকটে পড়লে, রিফাতের জীবনে প্রবেশ করে এক নতুন চরিত্র অবন্তী। নাটকটি সিঙ্গেল ফাদারের জীবনযাত্রা, তার ভালোবাসা এবং সম্পর্কের নানা জটিলতা নিয়ে নির্মিত।
‘রোদের মায়ায়’ নাটকটি শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং একজন বাবা এবং তার সন্তানের সম্পর্কের অনুভূতির এক গভীর রূপ। নাটকটির মুক্তি ভালোবাসা দিবসে, প্রেম এবং ভালোবাসার উৎসবে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে, যা দর্শকদের হৃদয়ে এক দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলবে।
নাটকের অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জুনায়েদ বোগদাদী, সামিরা খান মাহি, রাজন্যা রাই, আশা মাজেদ রোজি, বাসর বাপ্পি এবং আরও অনেক জনপ্রিয় মুখ।
নাটকের পরিচালক জয় চৌধুরী বলেন, ‘এটি আমার প্রথম নাটক। প্রথম কাজ প্রথম সন্তানের মতোই , তাই খুব যত্ন করে বানিয়েছি। আমি চাই এটি মানুষের মনে এক বিশেষ স্থান করে নিক। ভালোবাসা দিবসের সময় এটি মুক্তি পাচ্ছে, যা এই আবেগপূর্ণ গল্পের জন্য উপযুক্ত সময়।’
‘রোদের মায়ায়’ নাটকটি দর্শকদের জন্য এক ভিন্ন ধরনের ভালোবাসা এবং সম্পর্কের গল্প নিয়ে আসছে, যা সব বয়সী দর্শকদের মন জয় করবে। নাটকটি ভালোবাসা দিবসে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হবে ।
বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের অনন্য নাম নকিব খান। ব্যান্ড সঙ্গীতের অঙ্গনে তিনি এখন দেশের অন্যতম সিনিয়র শিল্পী। সুরে সুরে পঞ্চাশটি বছর কেটে গেছে এই প্রখ্যাত শিল্পীর।
এবার তার এই বর্ণাঢ্য সঙ্গীতজীবনের ৫০ বছর উদযাপন করা হচ্ছে। ব্যান্ড সঙ্গীত বলতে আমরা যা বুঝি নকিব খানের গান তা থেকে বেশ স্বকীয়। তিনি তার গানে বরাবরই বাংলা মেলোডির ছোঁয়া রেখেছেন। তাইতো এই অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছে ‘‘সেলিব্রেটিং মেলোডিয়াস ৫০ ইয়ার’স অব নকিব খান’’। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করছে নূর’স ইভেন্ট । এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) তেজগাও ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপে।
আয়োজক সুমী নূর বলেন, ‘এটা আমাদের ষষ্ঠ আয়োজন। আমাদের প্রতিটি আয়োজনে কবিতাকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলা শিল্প-সাহিত্যকে তুলে আনার চেষ্টা তিনি করি। এবার কিংবদন্তি গায়ক-সুরকার নকীব খানের সঙ্গীতজীবনের ৫০ বছরের উদযাপন আয়োজন করতে পেরে নূর’স ইভেন্ট অত্যন্ত আনন্দিত ।’
যার জীবন ও কর্মকে উদযাপন করার জন্য এই চমৎকার আয়োজন সেই নকীব খান বলেন, ‘ইভেন্টিতে আমি আমার সুরকার জীবনের পথ চলার গল্প বলবো। সেই সাথে নিজের সব পছন্দের গান শোনাবো। একটা সুন্দর সন্ধ্যায় সকলকে আমন্ত্রণ জানাই।’
‘‘সেলিব্রেটিং মেলোডিয়াস ৫০ ইয়ার’স অব নকিব খান’’ ইভেন্টে থাকছে কবিতার সাথে গান। কবিতা পড়বেন নূর ইভেন্টের স্বত্বাধিকারী ও কবি সুমী নূর এবং কবি মেঘলা। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন গায়ক ও সুরকার আশফাকুল বারী রুমন।
টিকেট পাওয়া যাচ্ছে Noor’s Event আর Get Set Rock এর পেইজে। টিকেট মূল্য ১২০০ টাকা।
দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। মডেলিং এবং নাটকে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর বিগতে এক যুগের বেশি সময় তিনি শুধুই চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। দেশের এবং কলকাতার চলচ্চিত্রে তার সমান আধিপত্য। এর মাঝে একটি ভারতের বাংলা ওয়েব সিরিজ ‘পাঁচ ফোড়ন’ আর হিন্দি ওয়েব ফিল্মে ‘কড়ক সিং’-এ অভিনয় করেন জয়া। ‘কড়ক সিং’-এ জয়া সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠীর মতো প্রখ্যাত বলিউড অভিনেতাকে।
তবে দেশীয় কোন ওয়েব কনটেন্টে এতোদিন তিনি অভিনয় করেননি। সম্প্রতি অবশ্য চরকির ‘২ ষ’ ওয়েব সিরিজের ‘বেসুরা’ পর্বটিতে তাকে দেখা গেলেও সেটি ছিলো ক্যামিও চরিত্র। নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত এই সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু।
এরইমধ্যে খবর পাওয়া গেলো, জয়া আহসান তার প্রথম বাংলা ওয়েব সিরিজে (যেখানে তাকে পরিপূর্ণ চরিত্রে প্রথমবার দেখা যাবে) নাম লিখিয়েছেন। তাও আবার দেশিয় একটি ওয়েব সিরিজ সেটি। জয়া এ মুহূর্তে আছেন পাবনায়। সেখানে তিনি ‘জিম্মি’ নামের সেই ওয়েব সিরিজেরই শুটিং করছেন। আর এই কাজটির মাধ্যমেই তাকে প্রথমবার দেশিয় ওটিটি কনটেন্টে দেখা যাবে।
এতে তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যে শুটিং শেষে ঢাকায় ফিরবেন।
এদিকে, দেশের প্রেক্ষাগৃহে এখন চলছে জয়া আহসান অভিনীত ‘নকশী কাঁথা’র জমিন ছবিটি। আকরাম খান পরিচালিত ছবিটি মুক্তির পর হল ভিজিটে গিয়েছেন জয়া। ছবিটি দেখতে আসা দর্শকের কাছ থেকে নানান মন্তব্য শুনেছেন, যা তাকে উদ্দীপ্ত করেছে। বয়োজ্যেষ্ঠদের কেউ বলেছেন, তরুণ প্রজন্মের অবশ্যই এ ছবিটা দেখা উচিত। কারণ, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানো। তারা তো সে সময়ের মানুষ, কত কষ্টের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলাদেশ, এই ভূখণ্ড, এই পতাকা—এই প্রজন্মকে তা-ই দেখাতে ও বোঝাতে চান।
নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত সিরিজে অতিথি চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, ‘এটা আমার ক্যামিও চরিত্র। এই চরিত্র করতে গিয়েও অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেকবার শুটিং বাধার মুখে পড়েছে। কখনো বৃষ্টি, কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মাঝখানে আবার রাজনৈতিক অস্থিরতা। কিন্তু ফাইনালি আমরা শেষ করেছি। আমার কাজ অল্প ছিল; কিন্তু শুটিংয়ে যেতে হয়েছে অনেক দিন। আমার অংশের শুটিং হয়েছে রাউজান, সীতাকুণ্ডে। কাজটা করে খুব ভালো লেগেছে।’
জয়া আহসান অভিনয় করেছেন কলকাতার ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ চলচ্চিত্রেও। এই ছবিতে তার অভিনয়ের অভিজ্ঞতা অসাধারণ বলে জানান। জয়া বলেন, ‘এই ছবিতে যেসব শিল্পী কাজ করেছেন, সবার সঙ্গে কাজ করে ঋদ্ধ হয়েছি। কারণ, তারা সবাই অসাধারণ। শিল্পনির্দেশনা থেকে শুরু করে ক্যামেরার কাজ—সবই দুর্দান্ত। যে কারণে রটারড্যাম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মতো উৎসবে ছবিটির প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে, তা–ও আবার মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে।’
আজ মঙ্গলবার জয়া আহসান তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন রেড হল্টার নেক ইভিনিং গাউনের এই ছবিগুলো। ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ক্যাপশনে জয়া লিখেছেন, ‘সন্দেহের ছায়ায়’। জানা গেছে, এই ফটোশ্যুটটি তিনি কলকাতাতে গিয়ে করেছিলেন। ছবিগুলো তার ভক্ত অনুসারীরা খুব পছন্দ করেছে। এক ঘণ্টায় চার হাজারের মতো রিঅ্যাকশন পড়েছে। মন্তব্য পড়েছে পাঁচ শতাধিক।
জয়ের স্বপ্ন নিয়ে বিপিএলে দল কিনেছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। কিন্তু তার দল ঢাকা ক্যাপিটালস টানা পাঁচ ম্যাচ হেরেছে। তবে আশার আলো হয়ে ৬ষ্ঠ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে জ্বলে জয় ছিনিয়ে এনেছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
বিপিএলের ইতিহাসে ২৫৪ রানের নতুন রেকর্ড গড়ে এবং নাম্বার ওয়ান পার্টনারশিপে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। ১৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় শাকিব খানের দল। টানা হারের পর দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে রাজকীয় জয়ের দেখা পেল এবারের বিপিএলে অন্যতম হট ফেভারিট দল ঢাকা ক্যাপিটালস।
স্মরণীয় এ জয়ে দলটির মালিক শাকিব খান বেজায় খুশি হয়েছেন! মুম্বাই থেকে শনিবার রাতে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দেশে থাকলে তো অবশ্যই মাঠে চলে যেতাম। মাঠে থেকে আমাদের প্লেয়ারদের সঙ্গে এই জয় সেলিব্রেট করতাম।
শাকিব খান আরও বলেন, ‘শুরুতে ঢাকা ক্যাপিটালস যেমন খেলছিল শেষ দুই ম্যাচে প্লেয়ারদের পারফর্মেন্স পুরাই রিভার্স! এর আগের ম্যাচ হারলেও খেলার গতি চেঞ্জ হয়ে গেছে। যে হিস্ট্রি ক্রিয়েট করে ঢাকা ক্যাপিটালস জয় পেল, আমার বিশ্বাস এটি রেকর্ড হয়ে থাকবে। সাথে সাথে আগামীর ম্যাচগুলোতে সবার পারফর্মেন্স এবং এই বিজয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে ঢাকা ক্যাপিটালস চ্যাম্পিয়ন হবে ‘
আসন্ন ঈদের ছবি ‘বরবাদ’-এর শুটিংয়ে মুম্বাই আছেন শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ চলাকালীন আমি এখানে বসে অনলাইনে খেলা দেখছিলাম। কিন্তু রান যখন ২০০ ছাড়ায় আমাদের কোম্পানির চেয়ারম্যান স্যার নিজেই খুশিতে তার ফোন থেকে ভিডিও কলে টিভি স্ক্রিনে খেলা দেখাচ্ছিলেন। দূরে থেকেও ভিডিও কলে অফিসের অন্যদের সঙ্গে এই আনন্দ ভাগাভাগি করেছি।’
শাকিব খান ইঙ্গিত দিয়ে জানান, প্রথম রাউন্ড টপকাতে পারলে তারপর থেকে আরও প্লেয়ার যুক্ত হবেন। তিনি বলেন, এবারই প্রথম আমার বিপিএলে সরাসরি যুক্ত হওয়া। এবার অনেককিছু শিখলাম। হয়তো এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
হাসিমুখে শাকিব জানাচ্ছিলেন, আসলে তার দল ঢাকা ক্যাপিটালসের এমন কামব্যাকই কাম্য ছিল। এ কারণে প্রথম ব্যাট করে নয় উইকেটে ২৫৪ রানের পাহাড় গড়ায় তিনি তার ফ্যান পেজে পোস্টে লিখেছিলেন, ‘টাইগার যখন ঘুরে তাকায়, সব বরবাদ হয়ে যায়।’