বলিউড তারকাদের যমদূত সামির ওয়াংখেড়ে
শনিবার রাতে এক নাটকীয় কায়দায় মুম্বাইয়ের কাছে আরব সাগরে ভাসমান এক প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। রেভ পার্টিতে মাদক সেবনের অপরাধে তাকে আটক করে এনসিবি কর্মকর্তারা। তারপর টানা ১৬ ঘণ্টা জেরার পর রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান ও তার দুই বন্ধুকে।
আরিয়ান খান আটকের পর বারবার সামনে আসছে একটি নাম। আর সেই নামটি হলো সামির ওয়াংখেড়ে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (এনসিবি) ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা সামির ওয়াংখেড়ে। বলিউডের অন্ধকার জগতের পর্দা ফাঁস করার কাজে লেগে রয়েছেন দীর্ঘদিন থেকেই। মাদককাণ্ড থেকে শুরু করে কর ফাঁকি- সবকিছুতেই বলি-অভিনেতাদের কাছে সবার আগে পৌঁছে যান তিনি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে।
ওয়াংখেড়ের কাছে খবর ছিল মুম্বাইয়ের মাঝ সমুদ্রের ওই প্রমোদ তরীর হাই-প্রোফাইল পার্টিতে থাকতে পারেন বলিউডের কোনও এক স্টার কিড ও তার বন্ধুরা। তাই যাত্রী সেজে টিম নিয়ে নিজেই সেখানে হাজির হন ওয়াংখেড়ে।
এর আগে নিজের ‘দাবাং’ মেজাজের জন্য খবরে এসেছিলেন সুশান্ত-রিয়া কেসের সময়। এর আগেও তার হাতে ধরা পড়েছে একাধিক বলি তারকা।
এই ওয়াংখেড়ে ২০১১ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে বিশ্বকাপ ট্রফি পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, সোনায় মোড়া ট্রফিটির আমদানি শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই শুল্ক মিটিয়ে ট্রফি ছাড়াতে হয়।
২০১৩ সালে বিদেশি মুদ্রাসহ মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেন মিকা সিংকে। রিয়া চক্রবর্তীর ওপর তদন্তের দায়িত্বও ছিল তারই কাঁধে।
২০০৮ সালে ব্যাচের আইআরএস আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। সঙ্গে আবার তার সঙ্গে রয়েছে বলি যোগাযোগও। জানা যায়, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর এই অফিসার হলেন বলিউডের এক অভিনেত্রীর স্বামী।
২০০৩ সালে অজয় দেবগনের ‘গঙ্গাজল’ ছবিতে কাজ করেছেন সমীর ওয়াংখেড়ের স্ত্রী। তার নাম ক্রান্তি রেদকরে।
২০০৭ সালে বিয়ে হয় সমীর ওয়াংখেড়ে আর ক্রান্তি রেদকরের। একাধিক মারাঠি ছবিতেও অভিনয় করেছেন ক্রান্তি। মারাঠি সিনেমা ‘কাকন’-এর পরিচালনাও করেছেন তিনি।