এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি ছবির কাজ রয়েছে অক্ষয় কুমারের হাতে। এরইমধ্যে শোনা গেলো- বলিউডের এই অভিনেতা আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি নতুন ছবিটির নাম। এটি পরিচালনা করবেন রাজ মেহতা এবং প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন।
বিজ্ঞাপন
চমকপ্রদ তথ্য হলো- নাম ঠিক না হওয়া কমেডি থ্রিলার ছবিতে অক্ষয়ের পাশাপাশি দেখা যাবে ইমরান হাশমিকে। সব ঠিক থাকলে এবারই প্রথম একসঙ্গে দেখা যাবে এই দুই তারকাকে।
মালায়ালাম ছবি ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’র রিমেক হতে যাচ্ছে নাম ঠিক না হওয়া নতুন ছবিটি। আগামী বছর শুরু হবে এর শুটিং। কেননা বর্তমানে পরিচালক ব্যস্ত আছেন ‘যুগ যুগ যিও’র শুটিং নিয়ে।
মেধাবী অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সোহানা সাবা বরাবরই নিজের মতামত প্রকাশ করতে পছন্দ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছাত্র আন্দোলনে নিজের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে নিদারুণ কটাক্ষের শিকার হলেও সাবা কখনোই কোন বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ থেকে বিরতি থাকেননি।
আজও নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। তিনি লেখাটা শুরু করেছেন সদ্য প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী মনি কিশোরকে নিয়ে।
সাবার ভাষ্য, ‘জানতে পারলাম, মনি কিশোর নামে একজন গায়ক মারা গেছেন আজ সকালে। তার গানগুলো শুনে শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু তিনি যে বেঁচে আছেন বা কোথাও আছেন সে সম্পর্কে কখনো কোন কৌতুহল তৈরি হয়নি। তার মত একজন গুণী গায়ক সে রকম কোন সুযোগ সুবিধা চেয়েছেন বা পেয়েছেন বলেও আমার জানা নেই। ভালো হয়েছে যে তিনি লোক চক্ষুর আড়ালে ছিলেন।’
সাবা আরও লিখেছন, ‘‘তিনি যদি সবার সামনে থাকতেন, অনেক শিল্পীদের জন্য অথবা অনেক অযোগ্য শিল্পীদের জন্য তিনি থ্রেট হিসেবে থাকতেন! তখন সে অশিল্পীরা বা অযোগ্য লোকরা এসে কোন একটা দুর্বলতার মুহূর্তে বলে উঠতেন, ‘ওর কি কোন বেল আছে? ও কি শিল্পী হওয়ার যোগ্য? একটা দুইটা গান গেয়ে ফেমাস হয়ে নিজের শিল্পী হিসেবে সত্তাকে বেচে দিয়েছেন!’’
এরপর ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে লিখেছেন সাবা, ‘‘কদিন আগে একটা চমৎকার পর্যালোচনা পড়ছিলাম, কি করে একটি অপ্রতুল দ্বীপে বড় মাংসাশী প্রাণীগুলো সাইজে ছোট হতে থাকে এবং কি করে ছোট প্রাণী যেমন টিকটিকি গিরগিটি সাইজে বড় হতে থাকে। কি করে আমাদের দেশে আবদুল্লাহ আবু সাইদের মতো পণ্ডিত ব্যক্তি থাকতে, কিছু মাথামোটা মানুষ সবার জাতীয় পণ্ডিতে পরিণত হয়! কি করে চমৎকার কিছু সিনেমায় চমৎকার অভিনয়ের পরেও কিছু মানুষ নিজের নামের পূর্বে ‘হিরো’ লাগিয়ে জাতীয় হিরোতে পরিণত হয়।’’
সবশেষে সোহানা সাবা লিখেছেন, ‘ডিজিটাল যুগে ভুলভাল কাণ্ড করে অথবা সেলিব্রেটিদের সাথে নিজের পিআর বাড়িয়ে নিজেদেরকে সেলিব্রেটি ভাবলেই কি আপনি সত্যিকারের শিল্পী হয়ে উঠলেন? একবার ভাবুন, মাথাটা খাটান। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন। অবশ্য মাথা এবং আয়না পরিষ্কার থাকলে পরিষ্কার দেখতে পাবেন, না হলে কিছুই দেখতে পাবেন না। এই ভুল ধারণা নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেবেন।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী সোমনূর মনির কোনাল এবার আসছেন ‘দুষ্টু হাসি’ নিয়ে। না বাস্তবে তিনি মিষ্টি হাসির ভীষণ মিষ্টি মেয়ে। তবে গানে গানে তিনি এবার বলেছেন দুষ্টু হাসির কথা। তার নতুন গানের শিরোনাম ‘দুষ্টু হাসি’। নতুন এই দ্বৈত গানটিতে কোনালের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় শিল্পী মোহাম্মদ মিলন। জামাল হোসেনের কথায় এটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমরান মাহমুদুল। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন সৈকত রেজা। এতে মডেল হয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী মেধা। রঙ্গন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশ হয়েছে।
কোনাল বলেন, ‘‘মিলনের সঙ্গে আমার গাওয়া আগের গানটি শ্রোতারা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। সে বিষয়টি মাথায় রেখে ‘দুষ্টু হাসি’ গানটি করা হয়েছে। এই সময়ে শ্রোতারা যে ধরনের গান শুনেতে চান এটি তেমনই। গানের কথা অসাধারণ। সুরও ভালো হয়েছে। গানটিতে শ্রোতাদের বেশ সাড়া পাচ্ছি।’’
গীতিকার জামাল হোসেন বলেন, মিলন-কোনালের ‘পাই না তোকে’ গানটির সাফল্য আমাকে তাদের নতুন গান করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে। আমি আগের গানটির চেয়ে ভালো কিছু কথায় এটি সাজালাম। এখন সস্তা কথায় গান বেশি হচ্ছে। আমাদের অনেক গানেই শৈল্পিকতা পাই না। সব ঠিক রেখে সুন্দর একটি গান করতে আমি চেষ্টা করেছি।
গত বছর প্রহেলিকা সিনেমার ‘মেঘের নৌকা’, প্রিয়তমা সিনেমার ‘প্রিয়তমা’ ও রাজকুমার সিনেমার ‘রাজকুমার’ গানগুলো দিয়ে শ্রোতাদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছেন মেধাবী শিল্পী কোনাল।তিনি বর্তমানে একক গান ও প্লেব্যাক নিয়েও ব্যস্ত। গতকাল সন্ধ্যায় ‘চলছে বিয়ের লগন’ শিরোনামে আরও একটি নতুন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়া নতুন সিনেমায় প্লেব্যাকও করেছেন জনপ্রিয় এই গায়িকা।
বিশ্বে বিভিন্ন দেশ মাতিয়ে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘তুফান’ এবার মুক্তি পাচ্ছে পাকিস্তানে। উর্দু ভাষাতেই সেখানে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। আর এ খবর শোনার পর থেকেই পাকিস্তানি সিনেমাবিষয়ক ফেসবুক পেজসহ দেশটির বেশিকিছু ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে চলছে দারুণ উন্মাদনা । ‘বাংলা সিনেমার কিং, অভিনন্দন পাকিস্তানে’, ‘স্বাগত শাকিব খান’, ‘সাপোর্ট ঢালিউডের শাকিব খান’, ‘বাংলাদেশের সুপারস্টারের অপেক্ষায়’-এমনই নানা মন্তব্য দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সিনেমাটির প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানান, সিনেমাটি ইতিমধ্যে উর্দুতে ডাব করা শেষ। পাকিস্তানের দর্শকদের আগ্রহ থেকেই সিনেমা পাকিস্তানে মুক্তি পাচ্ছে উল্লেখ করে শাকিল বলেন, ‘আমরা আগামী নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে পাকিস্তানে বড় পরিসরে আমাদের “তুফান” মুক্তি দিচ্ছি। পাকিস্তানের দর্শকদের বাংলা সিনেমা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে, সেটা বুঝতে পারছি। আশা করছি, সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৭ জুন দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’। মুক্তির পরপরই সিনেমাটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন দর্শক। স্টার সিনেপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, জুন-জুলাইয়ে টিকিট বিক্রির হিসাবে প্রথমে ছিল ‘তুফান’। দর্শক চাহিদার কারণে এখনো সিনেপ্লেক্সসহ দেশের বেশ কিছু হলে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমাটি।
পাকিস্তানে মুক্তির আগে সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইডেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, পর্তুগাল, আবুধাবি, বাহরাইন, কাতার, মালয়েশিয়ায় ও ওমানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং প্রবাসী দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়।
‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খানকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের মিমি চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা।
আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, শহীদুজ্জামান সেলিম, সুমন আনোয়ার, গাউসুল আলম শাওনসহ অনেকে। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেড, ডিজিটাল পার্টনার চরকি এবং ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে আছে এসভিএফ। বর্তমানে সিনেমাটি ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি ও হইচইতে দেখা যাচ্ছে।
রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় ‘কী ছিলে আমার বলো না তুমি.. গানের কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
রামপুরা থানার ওসি মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, উনি বাসায় একাই থাকতেন। গত কয়েকদিন ধরে ঘর থেকে বের হননি। ধারণা করা হচ্ছে ঘুমের মাঝে মারা গেছেন। শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। দরজা ভেঙ্গে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত, অডিওতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তাঁর সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তাঁরই সুর করা, তাঁরই লেখা।
২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন মনি কিশোর। প্রসঙ্গত, মনি কিশোর তাঁর পোশাকি নাম। প্রকৃত নাম মনি মণ্ডল। কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়েছিলেন।