সম্প্রতি ১৫ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন আমির খান ও কিরণ রাও দম্পতি। আর তাদের সংসার ভাঙার জন্য সকলে দায়ী করছেন বলিউড অভিনেত্রী সানা শেখকে।
কেননা আমির-ফাতিমার প্রেমের গুঞ্জন বেশ কয়েকবার চাউর হয়েছিলো ইন্ডাস্ট্রি। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেউ কখনও মন্তব্য করেননি এই তারকা জুটি।
বিজ্ঞাপন
এর মাঝেই নতুন করে চর্চায় আমির-ফাতিমার সম্পর্ক। সৌজন্যে মিস্টার পারফেকশানিস্টের একমাত্র মেয়ে ইরা খান।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফটোশুটের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন ফাতিমা সানা শেখ। যেখানে ক্রপ টপ আর ডেনিম পরে খোলা মাঠে লোহার জালের ওপর ভর করে একের পর এক পোজ দিয়েছেন এই বলি সুন্দরী।
ফাতিমার এই ছবিতে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তবে সকলের নজর আটকে গিয়েছে আমির খানের মেয়ে ইরা খানের মন্তব্যে। ফাতিমার শেয়ার করা ছবির কমেন্ট বক্সে আমির কন্যা লিখেছেন, ‘ওহ সুন্দরী।’
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা নাগা চৈতন্য আর বলিউড অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালা নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। তবে বিয়ের দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি।
আজ সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের প্রাথমিক রীতি রেওয়াজের কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন শোভিতা নিজেই। তবে ছবিতে নাগা চৈতন্যকে দেখা যায়নি। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘গম, পাথর এবং হলুদ একসাথে পেষা এবং এটা শুরু হলো।’
তেলেগু বিয়েতে এই রীতির তাৎপর্য রয়েছে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী আচার যেখানে নববধূ এবং বর যৌথভাবে গম, হলুদ এবং কখনও কখনও অন্যান্য উপাদান পাথরে পিষে। এই কাজটি তাদের একসাথে জীবনের শুরুর প্রতীক। যেখানে তারা দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে একসাথে কাজ করে এবং জীবনের একটি নতুন পর্বের জন্য প্রস্তুত হয়।
শোভিতা এদিন পরেছেন পিচ গোল্ড এবং সবুজ সিল্ক শাড়ি। অভিনেত্রীর আশেপাশে তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের দেখা গেছে। শোভিতার ভক্তরা কমেন্টে শুভকামনা জানিয়েছেন। অনেকেই লিখেছেন, ‘শোভিতাকে দারুণ দেখাচ্ছে।’
গত ৮ আগস্ট হায়দরাবাদে নাগা-শোভিতার বাগদান সম্পন্ন হয়। তারপর থেকেই জল্পনা চলছে, কবে বিয়ে করছেন যুগল!
বিদেশের মাটিতে জাদু প্রদর্শনী করে দেশে ফিরলেন জাদুশিল্পী আলীরাজ। গত চার মাসের অধিক সময় এই শিল্পী আলীরাজ স্পেন, রাশিয়া, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান এবং চীনের ভ্যালেন্সিয়া, খাবারস্ক, ডালিয়ান, হারবিন,বেইজিং, সাংহাইসহ প্রায় ২০টির অধিক শহরে তার জাদু প্রদর্শনী করে মাতিয়েছেন হাজার হাজার বিদেশি দর্শক।
বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আমন্ত্রিত প্রতিনিধি হয়ে ডিসকভারি ওয়ার্ল্ড বিনোদন সংস্থা কতৃক আয়োজিত চীন এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে রাশিয়া, রোমানিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ এবং ফ্রান্সের শিল্পীদের সমন্বয়ে সুবিশাল প্রমোদতরী, বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল, পার্ক এবং নাইটক্লাবে বিদেশী দর্শকদের জাদুপ্রদর্শনী করে মুগ্ধ করেছেন আলীরাজ। তার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন রাশিয়ান শিল্পীরা।
এ প্রসঙ্গে আলীরাজ বলেন, 'সবাই দেশের টাকা বিদেশে ব্যয় করে কিন্তু আমি জাদুর মতো অবহেলিত এই শিল্পের মাধ্যমে বিদেশের অর্থ বৈধভাবে রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে নিয়ে এসেছি। সেক্ষেত্রে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এক বিন্দু হলেও অবদান রাখতে পেরেছি। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে আমার লক্ষতা, উপস্থাপনা কৌশল এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশের অবহেলিত এই শিল্পকে ভিন্ন আঙ্গিকে প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের নাম সুনামের সঙ্গে তুলে ধরতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।’
মেজবাউর রহমান সুমন বা তার মেধা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। টেলিভিশন নাটক যখন করতেন, তখনই তা সিনেমার স্বাদ দিতো। এরপর ‘হাওয়া’ সিনেমা দিয়ে বড়পর্দার নির্মাতা হিসেবে অভিষেক হয় এই মেধাবীর। চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি অভিনীত ‘হাওয়া’ ২০২২-এর অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি হয়ে ওঠে।
এরপরই সুমনের নতুন ছবির ঘোষণা আসে। ‘রইদ’ নামের সেই ছবিটি সরকারি অনুদানও পায়। ছবিটি প্রযোজনা ও অভিনয় করার কথা ছিলো দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের। বলে রাখা ভালো, জয়া আর সুমনের একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। তারা উপহার দিয়েছেন একাধিক নন্দিত নাটক। ফলে ‘রইদ’-এ আবার এই নির্মাতা-অভিনেত্রী জুটি একসঙ্গে কাজ করবেন দেখে অনেকেই দারুণ এক্সাইটেড ছিলেন।
কিন্তু এ বছরের শুরুতেই জানা যায় ভিন্ন কথা। জয়া আহসান তার পাওয়া সরকারি অনুদানের টাকাগুলো সরকারি তহবিলে ফেরত দেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবির একটি নীতিমালা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করতে হয়। যেমন, আমার ‘দেবী’ ছবিটি আমি ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করে মুক্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু ‘রইদ’-এর ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। তাই অনুদানের টাকা ফেরত দিয়েছি।
তবে শোবিজে এ নিয়ে ভিন্ন গুঞ্জন রটেছিলো। জয়া আর সুমনের মধ্যে মত পার্থক্যের জন্যই ছবিটি শেষ পর্যন্ত হয়নি বলে শোনা যায়। অবশেষে সেই ছবিটি হচ্ছে, তবে নতুন প্রযোজকের সঙ্গে। বেঙ্গল ক্রিয়েশনসের প্রযোজনায় এই ছবিতে অভিনয়শিল্পীও বদলে গেছে। এখন জয়ার বদলে ‘রইদ’ ছবির নায়িকা চরিত্রে দেখা যাবে ‘হাওয়া’খ্যাত নাজিফা তুষিকে।
শোবিজে এও গুঞ্জন রয়েছে, সুমন আর তুষির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এখন জয়ার চরিত্রটি তুষির ঝুলিতে যাওয়ায় সেই গুঞ্জনের পালে আরও হাওয়া লেগেছে।
যদিও ছবিটি নিয়ে এখনই কিছুই বলতে চায় না পরিচালক কিংবা কলা কুশলীরা। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে ছবিটির বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন লোকেশনে এর শুটিং হয়েছে। তুষি ছাড়াও ছবিটিতে দেখা যাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নিজের মেধার পরিচয় দেওয়া অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরানকে। তিনি লাক্স তারকা অর্ষাকে বিয়ে করেও আলোচনায় এসেছিলেন গত বছর।
তবে তার জন্য তাকে কম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। মনির খান, বেবি নাজনিন, কনকচাঁপা, ন্যানসির মতো তিনিও ক্যরিয়ারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তুঙ্গে থাকা সঙ্গীত ক্যারিয়ার অনেকটাই দ্যূতিহীন হয়ে পড়েছিলো।
ফলে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে তিনি যে সোচ্চার থাকবে সেটা অনেকটা অনুমেয় ছিলো। আন্দোলনের সময় সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখির পাশাপাশি রাজপথেও ছিলেন সক্রিয় আসিফ। শুধু তাই নয়, ছাত্রহত্যার প্রতিবাদ জানাতে নিজের ছেলেকে নিয়েও হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
এদিন গণআন্দোলনে লাখও জনতার জমায়েতে আসিফ তার ছেলেকে সামনে এগিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এই প্রজন্ম হারবে না। আমি আমার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। তোমরা ওকে মেরে ফেলবে, মেরে ফেলো। যেভাবে ছাত্রদের মারা হচ্ছে, তা মানা যায় না। আমাদের একটাই দাবি, স্বৈরশাসকের পদত্যাগ চাই।’
বিষয়টি নিয়ে তখন অনেকেই আসিফের প্রশংসা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন আলোচিত-সামলোচিত উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ও। যিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নীরব থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
আসিফের সেই ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে জয় লিখেছেন, ‘আমি ভিতু, আসিফ ভাই সাহসী। এ জন্যই চিরকাল আসিফ ভাই আমার চেয়ে অনেক বেশি সম্মান প্রাপ্য। আসিফ ভাই স্যালুট।’ তবে জয়ের এই পোস্টও নেটিজেনদের মন ভরাতে পারেনি। কেউ কেউ অভিনেতাকে উপদেশও দিয়েছেন। তাদের মন্তব্যগুলো অনেকটা এমন যে, চাটুকারিতা না করলে জয়ও সাহসী হতে পারতেন। তাই এগুলো বাদ দিয়ে জয়কে দেশ ও মানুষের কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন মন্তব্যকারীরা।
তবে এ কথা বলতেই হবে, শাহরিয়ার নাযিম জয়ই একমাত্র শিল্পী যিনি আন্দোলনে চুপ থাকার জন্য নিজের ভুল জনসম্মুখে তুলে ধরে ক্ষমা পর্যন্ত চেয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোন আওয়ামীপন্থী তারকাকে এখনো এভাবে নিজের ভুল নিয়ে অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি।