না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন প্রখ্যাত মার্কিন নির্মাতা ডেভিড লিঞ্চ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি এমফিসেমা রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ডেভিডের মৃত্যুর খবরের তথ্যটি প্রকাশ করে ইউএস ম্যাগাজিন ভ্যারাইটি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি যে ডেভিড আর নেই। আশা করছি, ভক্তদের হৃদয়ে স্থান রয়েছে ডেভিডের। তার মৃত্যুতে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সবার সহযোগিতাও চাওয়া হয়।
২০২৪ সালের আগস্টে ডেভিড জানিয়েছিলেন, তার এমফিসেমা ধরা পড়েছে। এরপর নভেম্বরে নিজের শ্বাসকষ্ট সম্পর্কে অনেক কথা শেয়ার করে বলেন, আমি ঘরের এক রুম থেকে অন্য রুমে হেঁটে যেতে পারি না। আপনার কাছে এমন মনে হবে যেন আপনি মাথায় প্লাস্টিকের ব্যাগ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
মূলধারার সিরিজে উদ্ভট, র্যাডিকাল এবং পরীক্ষামূলক বিষয় নিয়ে সফল নির্মাতা হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন ডেভিড। শুধু তাই নয়, ১৯৯০ সালে লেখক মার্ক ফ্রস্টের সঙ্গে ‘টুইন পিকস’ ড্রামা নির্মাণ করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকান টিভিতে বিপ্লব আনে এই সিরিজটি।
ড্রামায় এফবিআই এজেন্ট ডেইল কুপারের চরিত্রটি করেছেন কাইল ম্যাকলকলেন। বেস্ট টিভি সিরিজে অভিনয়ের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পান তিনি। এ দিকে, বেস্ট ডিরেক্টর হিসেবে চারবার অস্কারে মনোনীত হয়েছেন লিঞ্চ। এ ছাড়াও লাইফটাইম অনারারি অস্কার পেয়েছেন তিনি।
অবশেষে ঢাকার দর্শক দেখতে পেলো মৃণালরূপী চঞ্চল চৌধুরীকে। সৃজিত মুখার্জি বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম শক্তিমান নির্মাতা মৃণাল সেনকে নিয়ে ছবি করবেন আর তাতে অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী, তা জানার পর বাংলাদেশি দর্শকের মধ্যে দারুণ এক্সাইটমেন্ট কাজ করেছিলো।
একইসঙ্গে দুই দেশে ছবিটি মুক্তির কথা থাকলেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে সেটি আর সম্ভব হয়নি। এমনকি চঞ্চল নিজেও তার ছবি মুক্তির সময় কলকাতায় যেতে পারেননি ভিসা জটিলতার কারণে।
কিন্তু ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকার দর্শকের আকাক্সক্ষা পূরণ করলো। গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে প্রদর্শীত হলো চঞ্চলের ‘পদাতিক’। ছবিটি একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছে দর্শক।
চঞ্চল বরাবরই তার অভিনয় নিয়ে মুগ্ধ করেন। প্রতিটি চরিত্রে তিনি নিজেকে ভিন্নভাবে দর্শকের সামনে হাজির করেন। কিন্তু মৃণাল সেনের চরিত্রে যেন সহজাত অভিনয়টাই করলেন তিনি। মনে হয়, চরিত্রটি হয়ে উঠতে তার খুব বেশি এফোর্ট দিতে হয়নি। মৃণালের বিভিন্ন বয়সকে কী অনায়াসেই না ধারণ করেছেন তিনি। বিশেষ করে অতি বার্ধক্যকালে চঞ্চলের বাচিক ও আঙ্গিক অভিনয় ছিলো দেখার মতো। সাদাকালো ছবিটিকে নির্মাণশৈলীর যাদুতে দারুণ গ্ল্যামারাস করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন সৃজিত মুখার্জি।
এবার আসা যাক ছবির গল্পে। ‘আমি যে ধরনের ছবি করতে চাই, তাতে বাধা প্রচুর। পাহাড় প্রমাণ বাধা, পদে পদে বাধা। টাকাওয়ালা প্রোডিউসারকে আমার পছন্দ মতো ছবি করতে রাজি করানো দুঃসাধ্য ব্যাপার। ৪-৫ বছর আগেও দেখেছি, আমি এক একটা ছবি করেছি, তাতে হয়তো আমার মন ভরেছে, কিন্তু পরের ছবি করবার সুযোগ ততই কমে আসছে, কারণ সে ছবিও ফ্লপ করেছে। প্রোডিউসার শিউরে ওঠেন, গুটিয়ে যান। আমি যে বই করতে চাই, সত্যি বলতে কী, তা সকলের ভাল লাগবে না। আমার ছবির নির্বাচিত দর্শক আছে। সারা পৃথিবীর সেই নির্বাচিত দর্শককে একত্রিত করতে পারলেই আমার ছবি করা সার্থক।’
নিজের ফিল্ম মেকিং নিয়ে এমন কথাই অতীতে লিখেছিলেন কিংবদন্তি মৃণাল সেন। একদিনে তিনি কিংবদন্তি হয়ে যাননি। এই কাজের সামান্য পরিচিতি আর ঠিকঠাক প্রযোজক পেতেই তাকে অনেক ঘাম, রক্ত ঝরাতে হয়েছিল। মৃণাল সেনের ফরিদপুরের ছাত্রজীবন থেকে কলকাতা শহর তথা বিশ্বব্যাপী এক কিংবদন্তি হয়ে ওঠার জীবন্ত-দলিল সৃজিত মুখোপাধ্যায় তুলে ধরেছেন তার ‘পদাতিক’ ছবিতে।
সৃজিতই প্রথম পরিচালক, যিনি প্রথম মৃণাল সেনকে মূলস্রোতে আনলেন। ‘পদাতিক’ সর্বস্তরের মানুষকেই ভাল লাগা দেবে। যারা মৃণাল সেনের ছবি দেখতে আগ্রহ পান না, তাদেরও মৃণাল সেনের ছবি ভালবাসতে শেখাবে সৃজিতের ‘পদাতিক’। মানুষ মৃণাল সেনকে চেনাবে। শুধুই এক নাকউঁচু পরিচালক হিসেবে নয়, এক স্ট্রাগলার হিসেবেও।
হেরে যেতে যেতে জিতে যাওয়ার গল্প ‘পদাতিক’। কখনও প্রেমিক মৃণাল সেন, কখনও বা স্বামী মৃণাল, বাবা মৃণাল, বন্ধু মৃণাল কখনও বা পরিচালক মৃণাল। সব রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি এই ছবিতে। সৃজিত নিজেই এই ছবির সংলাপ লিখেছেন।
মৃণাল সেনের স্ট্রাগল থেকে একের পর এক উত্থানও উঠে এসেছে ছবিতে। উত্তম ভক্তরা বলে থাকেন, উত্তমকুমার মৃণাল সেনের শাপে-নেউল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু উত্তমকে ভিলেন বানাননি সৃজিত। মৃণাল সেন একমাত্র পুত্র কুণালের জন্মের সময়ও উত্তম-সাবিত্রীর ‘রাতভোর’ ছবির শুটিং করছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনায়। উত্তম নিজের স্টারডম দূরে সরিয়ে সেদিন কাজ প্যাক আপ করিয়ে নিজের গাড়ি মৃণাল সেনকে দিয়ে দেন স্ত্রীর কাছে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য।
তরুণ মৃণাল কোরক সামন্ত যতটা সাবলীল, পরিণত ও ঝকঝকে, বৃদ্ধ মৃণালের ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরীও তেমনই অনন্য। পরিণত বয়সের চঞ্চল হাঁটা, চলা সবটাই যেন মৃণাল সেন। এমনকি তিনি নিজকণ্ঠেই চলচ্চিত্রের পদাতিক হয়ে উঠেছেন। ততটাই তার পাশে উজ্জ্বল মনামী ঘোষ। কে বলবে, এই মনামীই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন! মনামীর জীবনে গীতা সেন চরিত্রটি বড় দামি এক মাইলস্টোন।
মানিক্য রায় অর্থাৎ সত্যজিত রায়ের ছবিতে তরুণ জিতু কমল যুবক ও বৃদ্ধ দুই রূপেই ধরা দিয়েছেন। জিতুর বয়স্ক সত্যজিৎ মেক আপ এই প্রথম। জিতু সৃজিতের পরিচালনাতেও অনবদ্য। ‘পদাতিক’ একটা বিশাল সময়কে ধরেছে ছবিতে। বহু বিখ্যাত মানুষের বহু ঘটনা ও তারা স্বয়ং ছবিতে উপস্থিত।
প্রথমেই বলতে হয় রবীন্দ্রনাথের (অলোকেশ ভট্টাচার্য) শোকমিছিল, সঙ্গে সাহানা বাজপেয়ীর কণ্ঠে অনবদ্য গান ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা’। দেখানো হল রবীন্দ্রনাথের দাড়ি ছিঁড়ে নেওয়ার ঘটনাও। জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, নিমাই ঘোষ, তরুণ অমিতাভ বচ্চন, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, শর্মিলা ঠাকুর, রঞ্জিত মল্লিক, সাবিত্রী চ্যাটার্জিসহ অনেক বড় বড় তারকা এসেছেন পুরনো দিনের ছবির দৃশ্যে। ছবির কিছু দৃশ্য দাগ কাটে গভীরে, যেমন মৃণাল-গীতার সংসারে হঠাৎই শেষ অবস্থায় ঋত্বিক ঘটকের (সত্রাজিৎ সরকার) লুচি-আলুরদম খেতে চলে আসা।
চলচ্চিত্রের তিন দেবতাকেও মেলালেন সৃজিত। একটি দৃশ্যে দেখা যায়, ঋত্বিক ঘটক মারা গেছেন, হাসপাতালে তার খাটের দু’দিকে দাঁড়িয়ে মৃণাল ও সত্যজিৎ। মৃণাল-সত্যজিতের শেষ বেলার আড্ডাটিও মন ছুঁল, দেখে মনে হচ্ছিল, মৃণাল সেন পূর্ণ জীবন বেঁচেছেন। আর ক’বছর বাঁচলেই তিনি শতায়ু হতেন। বেশিদিন বাঁচার কারণে তাকে বন্ধুদের মৃত্যু, সহকর্মীদের মৃত্যু, শালা অনুপ কুমারের মৃত্যু, স্ত্রী গীতার মৃত্যু- সব যন্ত্রণা দেখতে হয়েছে।
‘পদাতিক’ ছবির শক্তিশালী আরেকটি দিক হলো আবহ সঙ্গীত। এই প্রথম সোনু নিগম ও অরিজিত সিং- দু’প্রজন্মের বিখ্যাত গায়ক দ্বৈত সঙ্গীত গাইলেন সলিল চৌধুরীর ‘তু জিন্দা হে’ হিন্দি গণসঙ্গীতে। এই গানের দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় গায়ে কাঁটা দেয়। ছবির শেষেও রক্ত গরম করে দেয় কবীর সুমনের কণ্ঠে ‘জনতার হাতে হাতে’। রূপঙ্করের কণ্ঠে ‘ও আলোর পথযাত্রী’ বহুদিন মানুষের মনে থাকবে। আবহ সংগীতায়োজনে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
গত বুধবার গভীর রাতে বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা সাইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক দুর্বৃত্ত। বেশ কয়েকবার সাইফ আলিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার দেয়াল ভেদ করে বিলাসবহুল ওই ফ্ল্যাটে কীভাবে ঢুকল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা নিয়েও। এমনকি উঠে আসছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার কথাও।
জানা গেছে, দুই ছেলে ও স্ত্রী কারিনা কাপুরকে নিয়ে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অবস্থিত ‘সৎগুরু শরণ’ ১২ তলায় বসবাস করেন নবাব পরিবারের সদস্য সাইফ আলি খান। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ ঘরের ভেতর দেখা যায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে। একপর্যায়ে সাইফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্ত।
দ্রুত অটোরিকশায় করে সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে অভিনেতাকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে।
হামলার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। প্রকাশ করা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। হামলা নাকি ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে গিয়েছিল দুর্বৃত্ত সে প্রশ্ন আসছে বারবার।
নবাব পতৌদি সদস্য সাইফের সম্পত্তির মোট পরিমাণ ১২০০ কোটি টাকারও বেশি। সঙ্গে রয়েছে স্ত্রী কারিনা কাপুরের আনুমানিক ৪৮৫ কোটির আয়। শোনা যায়, একটি সিনেমায় সাইফ পারিশ্রমিক নেন ১০-১৫ কোটি টাকা। এছাড়াও বিজ্ঞাপন বাবদ নিয়ে থাকেন ১-৫ কোটি করে। বিপুল সম্পদের মালিক সাইফের বাড়িতে অর্থ লুটপাটের জন্য ওই দুর্বৃত্ত ঢুকেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে বিষয়টিকে আদৌ সে ভাবে দেখতে রাজি নন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ এবং প্রশাসন। কিন্তু তা বলে মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়।
এদিকে সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রায় ২৬ বছর আগে সালমান খানের সঙ্গে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সাইফ। রাজস্থানে ছবিটির শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে।
সেই ঘটনায় সালমান ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর একের পর এক হুমকি ও হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। ফলে সাইফের ওপর হামলায় অনেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন।
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান পরিচালনার করে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন সাত সদস্যের দল গঠন করে চিরুনি অভিযান শুরু করে। এদিকে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনে অভিযানের সময় অভিযুক্ত যুবককে ইতস্তত অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অনুপ্রবেশকারী খান পরিবারের কোনও গৃহকর্মীর সঙ্গে পরিচিত ছিল। সম্ভবত সে কারণেই লবির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা না পড়েই সে বাড়িতে প্রবেশ করে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে সাইফের ওপর হামলা হয়। অভিযুক্ত যুবক সাইফকে ছুরি দিয়ে একাধিক বার আঘাত করেন। সাইফ তাকে বাধা দিতে গেলে তার ওপর হামলা হয়।
গুরুতর জখম অবস্থায় অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাইফের মেরুদণ্ডের খুব কাছে ছুরির আঘাত লেগেছে। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
দেশের অন্যতম অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন জনপ্রিয় সব শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন এবং প্রতিভাবানদের নিয়ে কাজ করছে। এতে একজন প্রতিভাবান যেমন নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পেরেছেন, সেই সঙ্গে দেশে সংগীতাঙ্গন পেয়েছে নতুন কণ্ঠশিল্পী। সেই ভাবনা থেকেই ব্যতিক্রমী এক প্রভিভা অন্বেষনের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তুমুল মেধাবী যারা একসঙ্গে লিখতে পারে, সুর করতে পারে এবং গাইতেও পারে, সংগীতের এমন অলরাউন্ডারদের তুলে আনার জন্য আয়োজন করে ‘ধ্রুব মিউজিক আমার গান’ প্রতিযোগিতার।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে আসছে ‘ধ্রুব মিউজিক আমার গান’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের গানগুলো। যা প্রকাশের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন।
ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি বিজয়ী প্রতিযোগীদের সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গান প্রকাশের উদ্বোধনী আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সঙ্গীতশিল্পী ধ্রুব গুহ জানিয়েছেন আগামী ১৬ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) থেকে পর্যায়ক্রমে গানগুলো ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি প্রকাশ পাবে দেশি ও আর্ন্তজিাতিক একাধিক অ্যাপে।
‘ধ্রুব মিউজিক আমার গান’ প্রতিযোগিতায় বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন দেশের কিংবদন্তি থেকে শুরু করে এই প্রজন্মের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীরা। এই তালিকায় আছেন কুমার বিশ্বজিৎ, বাপ্পা মজুমদার, ইমরান মাহমুদুল, তরুণ মুন্সী, মিলন মাহমুদ, শাওন গানওয়ালা, কিশোর দাস, কাজী শুভ ও বেলাল খান।
বিচারকদের স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১০ হাজার গানের মধ্য থেকে নির্বাচিত হয় এক হাজার গান। সেখান থেকে নির্বাচিত হয় সেরা ১০০। এরপর চূড়ান্ত ফলাফলে সেরা-২০ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই সেরাদের তালিকায় আছেন, অনিরুদ্ধ শুভ , সৌরভ অধিরাজ, স্বর্ণা দাস তৃষা, আহমেদ সজীব, অজয় দেব, বেলাল হোসেন রিজু, বাউল রাসেল , এহসান রানা, পায়গাম রাব্বানী, জ্যোতি, নিশান্ত আর রহমান জোনেক্স, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সম্রাট আহমেদ, এস কে বিপুল সরকার, নাহিদ হাসান, জয়ন্ত কুমার, দৃপ্ত, অংশুক রায়, এহেতেশাম রোমেল এবং জয়।
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার সঙ্গীতশিল্পী ধ্রুব গুহ এই আয়োজন নিয়ে বলেন, অডিও অঙ্গনকে আরও সরব করতে এবং সংগীতের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই আয়োজন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি সঙ্গীতের একঝাক অলরাউন্ডার পেতে যাচ্ছে। আমরা শুরু থেকেই প্রতিভার মূল্য দিয়ে আসছি, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।