হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৫ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেনঅভিনেত্রী সুরেখা সিকরি। বলিউডের বর্ষীয়ান এই তারকা মৃত্যুতে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন। তবে বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা শোক প্রকাশের পাশাপাশি প্রয়াত এই তারকার একটি আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আয়ুষ্মান খুরানা তার পোস্টে লিখেছেন, “প্রতিটি ছবিতে আমাদের একটি পরিবার থাকে এবং আমরা আমাদের নিজস্ব পরিবারের থেকেও সেই ফিল্ম পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করি। এমনই একটি সুন্দর পরিবার ছিলো ‘বাধাই হো’তে। আমার সমস্ত চলচ্চিত্রের মধ্যে এটি ছিলো নিখুঁত অভিনেতার সঙ্গে নিখুঁত পরিবার। সুরেকা সিকরি ছিলেন আমাদের সেই পরিবারের প্রধান। তিনি পুরো পরিবারের কাছে গাছের চেয়ে বেশি প্রগতিশীল ছিলেন। আপনারা কি জানেন, বাস্তব জীবনেও এমন ছিলেন তিনি। ছিলেন আন্তরিক এবং মনের দিক থেকে একদম তরুণ।”
সুরেখা সিকরির আক্ষেপের কথা জানিয়ে আয়ুষ্মান খুরানা আরও লিখেছেন, “আমার মনে আছে যখন তিনি যখন আমাদের চলচ্চিত্রের স্ক্রিনিংয়ের পরে অটোরিকশায় উঠছিলেন তখন তাহিরা (আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী) এবং আমি তাকে বাসায় ফিরিয়ে দিয়েছিলাম এবং আমরা সেসময় বলেছিলাম ‘ম্যাম আপনি আমাদের চলচ্চিত্রের আসল তারকা’ এবং তিনি জবাব দিয়েছিলেন ‘যদি আরও কাজ পেতাম।’ তার এই উত্তর তাহিরা এবং আমাকে নির্বাক করে দিয়েছিলো। আর এটাই তার আমার শেষ স্মৃতি।”
বিজ্ঞাপন
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জুস পান করতে গিয়ে ব্রেইন স্ট্রোক করেছিলেন সুরেখা সিকরি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় জুহুর ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে। ছিলেন আইসিইউতে।
পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও বেশিরভাগ সময়ই অসুস্থ ছিলেন প্রয়াত এই অভিনেত্রী।
১৯৪৫ সালে উত্তরপ্রদেশে জন্ম সুরেখা সিকরির। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার ছাত্রী সুরেখা। কিন্তু কখনও সিনেমার নায়িকা হতে চাননি। চেয়েছিলেন শুধু অভিনেত্রী হয়ে চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে। তাই করেছেন ‘কিসসা কুর্সি কা’, ‘তামস’, ‘সমীর ল্যাংড়ে পে মত রো’, ‘সর্দারি বেগম’, ‘মাম্মো’, ‘জুবেইদা’ থেকে ‘বাধাই হো’র মতো সিনেমায়।
টেলিভিশনেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন ‘সাঞ্ঝা চুলাহ’, ‘সিআইডি’, ‘বালিকা বধূ’, ‘সাত ফেরে’র মতো একাধিক ধারাবাহিকে।
সুরখাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল জোয়া আখতার পরিচালিত নেটফ্লিক্সের অ্যান্থলজি ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’-এ। লকডাউনে সরকার যখন ৬৫-এর উপরের অভিনেতাদের কাজ করার কথা মানা করেন তখন প্রতিবাদ করেছিলেন প্রয়াত এই অভিনেত্রী। বরাবর নিজের মূল্যবোধে অনড় থেকেছেন তিনি।
অস্কারে কারা মনোনয়ন পাবেন কিংবা জিতবেন সেই ইঙ্গিত পাওয়া যায় বাফটা অ্যাওয়ার্ডসে তাকালে! গত বছর দুটি আয়োজনেই সামনের সারির ছয়টি বিভাগের বিজয়ী তালিকা ছিল একই। এগুলো হলো সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা ও সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী। এবারও এর পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অস্কারের মনোনয়ন ঘোষণার আগে চোখ রাখা যাক ৭৮তম বাফটা অ্যাওয়ার্ডসে কারা মনোনীত হলেন।
গত ১৫ জানুয়ারি মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস।
এবারের আসরে সেরা চলচ্চিত্রসহ সর্বাধিক ১২টি মনোনয়ন পেয়েছে পোপ নির্বাচনের থ্রিলার ‘কনক্লেভ’। নতুন পোপ নির্বাচন করতে রোমে সমবেত হওয়া কার্ডিনালদের চক্রান্ত তুলে ধরা হয়েছে এতে। ব্রিটিশ লেখক রবার্ট হ্যারিসের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবিটির জন্য এডওয়ার্ড বার্গার সেরা পরিচালক, র্যালফ ফাইনস সেরা অভিনেতা ও ইজাবেলা রসেল্লিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে মনোনীত হয়েছেন। এডওয়ার্ড বার্গারের পরিচালনায় জার্মান ভাষার ছবি ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ ২০২৩ সালে বাফটায় সাতটি পুরস্কার জিতেছে।
গানের প্রাধান্য
সেরা চলচ্চিত্রসহ ১১টি মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছে স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ‘এমিলিয়া পেরেজ’। এর গল্পে মেক্সিকান এক মাদক সম্রাট অপরাধ জগত ছেড়ে নতুন জীবনের আশায় নিজের ভুয়া মৃত্যু দেখিয়ে পুরুষ থেকে ট্রান্সজেন্ডার নারীতে রূপান্তর হয়। তাকে সহায়তা করেন একজন নারী আইনজীবী। নেটফ্লিক্সের সংগীতনির্ভর ছবিটির জন্য ফ্রান্সের জ্যাক অঁদিয়ার সেরা পরিচালক, কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন সেরা অভিনেত্রী, সেলিনা গোমেজ ও জোয়ি সালদানিয়া সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন।
জনপ্রিয় মঞ্চনাটক অবলম্বনে নির্মিত সংগীতনির্ভর ‘উইকেড’ সাতটি মনোনয়ন পেয়েছে। ছবিটির জন্য সিনথিয়া এরিভো সেরা অভিনেত্রী, আরিয়ানা গ্রান্ডে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। বব ডিলানের বায়োপিক ‘অ্যা কমপ্লিট আননোন’ ও আইরিশ হিপ-হপ ত্রয়ীর উত্থান নিয়ে সাজানো ‘নিক্যাপ’ পেয়েছে সেরা চলচ্চিত্রসহ ছয়টি করে মনোনয়ন। বব ডিলানের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য টিমোতি শালামে সেরা অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী পিট সিগারের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য এডওয়ার্ড নর্টন সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে মনোনীত হয়েছেন। তাদের অভিনীত ছবিতে ষাটের দশকে বব ডিলানের উত্থান দেখা গেছে।
‘উইকেড’ ছাড়াও অন্য দুই ব্লকবাস্টার ছবি ‘ডুন: পার্ট টু’ সাতটি ও ‘গ্ল্যাডিয়েটর টু’ তিনটি মনোনয়ন পেয়েছে।
সংগীতনির্ভর আরেক ছবি ‘আনোরা’ সেরা চলচ্চিত্রসহ সাতটি মনোনয়ন পেয়েছে। এর গল্পে একজন যৌনকর্মী এক রুশ ধনকুবেরের ছেলের সঙ্গে উদ্দাম প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। কানে স্বর্ণপাম জয়ী ছবিটির জন্য মাইকি ম্যাডিসন সেরা অভিনেত্রী, ইউরা বরিসভ সেরা পার্শ্ব অভিনেতা, শন বেকার সেরা পরিচালক ও সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যকার বিভাগে মনোনীত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মাইকি ম্যাডিসন উদীয়মান তারকা হিসেবেও মনোনয়ন পেয়েছেন। দর্শক ভোটে দেওয়া হবে এই পুরস্কার।
সেরা চলচ্চিত্রসহ ৯টি মনোনয়ন পেয়েছে গোল্ডেন গ্লোবস জয়ী ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’। এতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হাঙ্গেরির এক স্থপতি অভিবাসী আমেরিকায় পাড়ি দিয়ে জীবনকে নতুনভাবে সাজানোর স্বপ্ন দেখে। ছবিটির জন্য অ্যাড্রিয়েন ব্রডি সেরা অভিনেতা, গাই পিয়ার্স সেরা পার্শ্ব অভিনেতা, ফেলিসিটি জোন্স সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী ও ব্র্যাডি কর্বেট সেরা পরিচালক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
ভৌতিক ঘরানা
সেরা অভিনেতা বিভাগে ভৌতিক ছবি ‘হেরেটিক’-এর জন্য হিউ গ্র্যান্টের মনোনয়ন পাওয়া বড় চমক। ‘দ্য আউটরান’ ছবিতে আসক্তিতে ভোগা এক তরুণীর ভূমিকায় অভিনয়ের সুবাদে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে সার্শা রোনান মনোনীত হয়েছেন, এটি আরেক চমক। সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ‘দ্য লাস্ট শোগার্ল’ ছবির জন্য মনোনয়ন পেয়েছে নিজেই হয়তো চমকে গেছেন জেমি লি কার্টিস! ‘হার্ড ট্রুথস’ ছবিতে বিষণ্ণতায় ভোগা এক খিটখিটে নারীর চরিত্রে কাজের জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন ব্রিটিশ তারকা ম্যারিয়ান জন-বাপ্টিস্ট।
‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ পাঁচটি মনোনয়ন পেয়েছে। শরীর সংক্রান্ত ভৌতিক ছবিটির জন্য ডেমি মুর সেরা অভিনেত্রী ও ফ্রান্সের কোরালি ফারজাঁ সেরা পরিচালক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। আরেক ভৌতিক ছবি ‘নসফেরাটু’ পাঁচটি মনোনয়ন পেয়েছে।
বাফটা মনোনয়নে শীর্ষ চলচ্চিত্র
১২-কনক্লেভ
১১-এমিলিয়া পেরেজ
৯-দ্য ব্রুটালিস্ট
৭-আনোরা, ডুন: পার্ট টু, উইকেড
৬-অ্যা কমপ্লিট আননোন, নিক্যাপ
৫-নসফেরাটু, দ্য সাবস্ট্যান্স
ভারতীয়দের অর্জন
ভারতের পায়েল কাপাডিয়া পরিচালিত ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ বিশ্বমঞ্চে অবিরাম আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। গোল্ডেন গ্লোবসের পর এবার ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অ-ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে এটি। তবে সেরা পরিচালক বিভাগে জায়গা পাননি পায়েল। যদিও গোল্ডেন গ্লোবসে সেরা পরিচালক বিভাগে প্রথম ভারতীয় নির্মাতা হিসেবে মনোনীত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি।
বাফটায় এর আগে ভারতের ছয়টি চলচ্চিত্র মনোনয়ন পেয়েছে। এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছিল ২০১৩ সালে রিতেশ বাত্রার ‘দ্য লাঞ্চবক্স’। বাফটায় মনোনয়ন পাওয়া বাকি ভারতীয় ছবিগুলো হলো মীরা নায়ারের ‘সালাম বোম্বে’ (১৯৮৮), ‘মনসুন ওয়েডিং’ (২০০১), সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘দেবদাস’ (২০০২), আসিফ কাপাডিয়ার ‘দ্য ওয়ারিয়র’ (২০০২) ও রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘রঙ দে বাসন্তী’ (২০০৬)।
৭৮তম বাফটা অ্যাওয়ার্ডসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কয়েকজন মনোনয়ন পেয়েছেন। এরমধ্যে অসাধারণ নতুন ব্রিটিশ গল্পকার, পরিচালক অথবা প্রযোজক বিভাগে জায়গা করে নিয়েছেন তিন পরিচালক দেব প্যাটেল (মাঙ্কি ম্যান), সন্ধ্যা সুরি (সন্তোষ) ও করণ কান্ধারি (সিস্টার মিডনাইট)।
সেরা অ-ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
এবারের বাফটায় সেরা অ-ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে আরও মনোনীত হয়েছে ‘এমিলিয়া পেরেজ’, ব্রাজিলের ওয়াল্টার সালেস পরিচালিত ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’, আয়ারল্যান্ডের রিচ পেপিয়াট পরিচালিত ‘নিক্যাপ’, ইরানের মোহাম্মদ রাসুলফ পরিচালিত ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’।
নতুন বিভাগ
বাফটায় প্রথমবার যুক্ত হয়েছে শিশুতোষ ও পারিবারিক চলচ্চিত্র বিভাগ। এতে মনোনয়ন পেয়েছে ‘ফ্লো’, “কেনসুকে’স কিংডম”, ‘ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রমিট: ভেনজ্যান্স মোস্ট ফাউল’ ও ‘দ্য ওয়াইল্ড রোবট’। এরমধ্যে সংলাপবিহীন ‘ফ্লো’ গোল্ডেন গ্লোবসে সেরা অ্যানিমেটেড ছবির পুরস্কার জিতে চমকে দিয়েছে।
সেরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র বিভাগেও মনোনীত হয়েছে লাটভিয়ার ‘ফ্লো’, নেটফ্লিক্সের ‘ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রমিট: ভেনজ্যান্স মোস্ট ফাউল’ ও ইউনিভার্সেল পিকচার্সের ‘দ্য ওয়াইল্ড রোবট’। এই বিভাগে এগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী ডিজনির ‘ইনসাইড আউট টু’।
আপসেট
‘কুইয়ার’ ছবির জন্য ড্যানিয়েল ক্রেগ, ‘বেবিগার্ল’ ছবির জন্য নিকোল কিডম্যান ও ‘গ্ল্যাডিয়েটর টু’র জন্য ডেনজেল ওয়াশিংটনের মনোনয়ন না পাওয়া বাফটার এবারের আসরের বড় আপসেট। এছাড়া ‘দ্য লাস্ট শোগার্ল’ ছবিতে লাস ভেগাসের বয়স্ক পারফর্মারের চরিত্রের জন্য প্যামেলা অ্যান্ডারসন জায়গা পাননি সেরা অভিনেত্রী বিভাগে। হলিউড তারকা জেন্ডেয়া অভিনীত ‘চ্যালেঞ্জার্স’ কোনও বিভাগেই জায়গা পায়নি।
সেরা প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা না পাওয়া ‘সুপার/ম্যান: দ্য ক্রিস্টোফার রিভ স্টোরি’ আছে বাফটার মনোনয়নে। এই বিভাগে আরও মনোনীত হয়েছে ‘ব্ল্যাক বক্স ডায়েরিস’, ‘ডটার্স’, ‘নো আদার ল্যান্ড’, ও ‘উইল অ্যান্ড হারপার’।
বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এনে বছরের শুরুতে আলোচনায় আসেন তাহসান। মেকাপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে এই বিয়ে ঘিরে ছিল তুমুল আলোচনা। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনার পরপরই তাহসান উড়াল দেন। ৭ জানুয়ারি মালদ্বীপে হানিমুনের উদ্দেশে যান তাহসান ও রোজা। গতকাল বৃহস্পতিবারও রোজা মালদ্বীপের স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন। আর তাহসানের ফেসবুক পেজে চোখ রাখতেই জানা গেল, গতকাল তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ছিলেন। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শনের একাধিক স্থিরচিত্র তাহসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন।
আজ শুক্রবার সকালে এসব স্থিরচিত্র পোস্ট করে ক্যাপশনে তাহসান লিখেছেন, ‘গতকাল আমি কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেছি, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত আশ্রয়শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনাতীত। জীবন বাঁচানোর কাজে নিয়োজিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে উদ্ধারকাজের গল্প শুনে ভীষণ রকম অনুপ্রাণিত হয়েছি। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মানুষজন ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নতুন করে তাদের জীবনের পথচলা শুরু করেছে, এতে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন মানবিক সংস্থা। শরণার্থীরা বারবার ভয়াবহ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে, তাদের ধৈর্য ও সহনশীলতা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে।’
মালদ্বীপে হানিমুনের স্থিরচিত্র তাহসানের স্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘জীবনবুননে সুতা আমাদের অসীমগ্রথিত। এ প্রেম সুদৃঢ় স্বর্গমথিত।’ এমন একটি ক্যাপশন দিয়ে কয়েকটি স্থিরচিত্র ও একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন রোজা। তাহসানের স্ত্রীর পোস্ট করা সেসব স্থিরচিত্র ভক্তদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়। তাহসান ও রোজা দুজনই নিজেদের পছন্দের কথা একে অন্যকে জানান। পরে পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
তাহসানের স্ত্রী রোজা আহমেদ নিউইয়র্কের ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট। দুই বছরের বেশি সময় তিনি সেখানে ব্রাইডাল মেকআপ নিয়ে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি মেকআপ নিয়ে শিক্ষা দেন। সেগুলো প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রোজা থাকেন নিউইয়র্কের জ্যামাইকাতে। তবে বাংলাদেশেই তাহসান খানের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। গত বছর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। রোজার সঙ্গে কীভাবে পরিচয়, তা তাহসান জানালেন এভাবে, ‘বেশ আগেই আমাদের পরিচয়। সেখানে থেকেই কথা হতো। পরে গত বছর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।’
অবশেষে ঢাকার দর্শক দেখতে পেলো মৃণালরূপী চঞ্চল চৌধুরীকে। সৃজিত মুখার্জি বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম শক্তিমান নির্মাতা মৃণাল সেনকে নিয়ে ছবি করবেন আর তাতে অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী, তা জানার পর বাংলাদেশি দর্শকের মধ্যে দারুণ এক্সাইটমেন্ট কাজ করেছিলো।
একইসঙ্গে দুই দেশে ছবিটি মুক্তির কথা থাকলেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে সেটি আর সম্ভব হয়নি। এমনকি চঞ্চল নিজেও তার ছবি মুক্তির সময় কলকাতায় যেতে পারেননি ভিসা জটিলতার কারণে।
কিন্তু ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকার দর্শকের আকাক্সক্ষা পূরণ করলো। গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে প্রদর্শীত হলো চঞ্চলের ‘পদাতিক’। ছবিটি একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে দেখেছে দর্শক।
চঞ্চল বরাবরই তার অভিনয় নিয়ে মুগ্ধ করেন। প্রতিটি চরিত্রে তিনি নিজেকে ভিন্নভাবে দর্শকের সামনে হাজির করেন। কিন্তু মৃণাল সেনের চরিত্রে যেন সহজাত অভিনয়টাই করলেন তিনি। মনে হয়, চরিত্রটি হয়ে উঠতে তার খুব বেশি এফোর্ট দিতে হয়নি। মৃণালের বিভিন্ন বয়সকে কী অনায়াসেই না ধারণ করেছেন তিনি। বিশেষ করে অতি বার্ধক্যকালে চঞ্চলের বাচিক ও আঙ্গিক অভিনয় ছিলো দেখার মতো। সাদাকালো ছবিটিকে নির্মাণশৈলীর যাদুতে দারুণ গ্ল্যামারাস করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন সৃজিত মুখার্জি।
এবার আসা যাক ছবির গল্পে। ‘আমি যে ধরনের ছবি করতে চাই, তাতে বাধা প্রচুর। পাহাড় প্রমাণ বাধা, পদে পদে বাধা। টাকাওয়ালা প্রোডিউসারকে আমার পছন্দ মতো ছবি করতে রাজি করানো দুঃসাধ্য ব্যাপার। ৪-৫ বছর আগেও দেখেছি, আমি এক একটা ছবি করেছি, তাতে হয়তো আমার মন ভরেছে, কিন্তু পরের ছবি করবার সুযোগ ততই কমে আসছে, কারণ সে ছবিও ফ্লপ করেছে। প্রোডিউসার শিউরে ওঠেন, গুটিয়ে যান। আমি যে বই করতে চাই, সত্যি বলতে কী, তা সকলের ভাল লাগবে না। আমার ছবির নির্বাচিত দর্শক আছে। সারা পৃথিবীর সেই নির্বাচিত দর্শককে একত্রিত করতে পারলেই আমার ছবি করা সার্থক।’
নিজের ফিল্ম মেকিং নিয়ে এমন কথাই অতীতে লিখেছিলেন কিংবদন্তি মৃণাল সেন। একদিনে তিনি কিংবদন্তি হয়ে যাননি। এই কাজের সামান্য পরিচিতি আর ঠিকঠাক প্রযোজক পেতেই তাকে অনেক ঘাম, রক্ত ঝরাতে হয়েছিল। মৃণাল সেনের ফরিদপুরের ছাত্রজীবন থেকে কলকাতা শহর তথা বিশ্বব্যাপী এক কিংবদন্তি হয়ে ওঠার জীবন্ত-দলিল সৃজিত মুখোপাধ্যায় তুলে ধরেছেন তার ‘পদাতিক’ ছবিতে।
সৃজিতই প্রথম পরিচালক, যিনি প্রথম মৃণাল সেনকে মূলস্রোতে আনলেন। ‘পদাতিক’ সর্বস্তরের মানুষকেই ভাল লাগা দেবে। যারা মৃণাল সেনের ছবি দেখতে আগ্রহ পান না, তাদেরও মৃণাল সেনের ছবি ভালবাসতে শেখাবে সৃজিতের ‘পদাতিক’। মানুষ মৃণাল সেনকে চেনাবে। শুধুই এক নাকউঁচু পরিচালক হিসেবে নয়, এক স্ট্রাগলার হিসেবেও।
হেরে যেতে যেতে জিতে যাওয়ার গল্প ‘পদাতিক’। কখনও প্রেমিক মৃণাল সেন, কখনও বা স্বামী মৃণাল, বাবা মৃণাল, বন্ধু মৃণাল কখনও বা পরিচালক মৃণাল। সব রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি এই ছবিতে। সৃজিত নিজেই এই ছবির সংলাপ লিখেছেন।
মৃণাল সেনের স্ট্রাগল থেকে একের পর এক উত্থানও উঠে এসেছে ছবিতে। উত্তম ভক্তরা বলে থাকেন, উত্তমকুমার মৃণাল সেনের শাপে-নেউল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু উত্তমকে ভিলেন বানাননি সৃজিত। মৃণাল সেন একমাত্র পুত্র কুণালের জন্মের সময়ও উত্তম-সাবিত্রীর ‘রাতভোর’ ছবির শুটিং করছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনায়। উত্তম নিজের স্টারডম দূরে সরিয়ে সেদিন কাজ প্যাক আপ করিয়ে নিজের গাড়ি মৃণাল সেনকে দিয়ে দেন স্ত্রীর কাছে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য।
তরুণ মৃণাল কোরক সামন্ত যতটা সাবলীল, পরিণত ও ঝকঝকে, বৃদ্ধ মৃণালের ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরীও তেমনই অনন্য। পরিণত বয়সের চঞ্চল হাঁটা, চলা সবটাই যেন মৃণাল সেন। এমনকি তিনি নিজকণ্ঠেই চলচ্চিত্রের পদাতিক হয়ে উঠেছেন। ততটাই তার পাশে উজ্জ্বল মনামী ঘোষ। কে বলবে, এই মনামীই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন! মনামীর জীবনে গীতা সেন চরিত্রটি বড় দামি এক মাইলস্টোন।
মানিক্য রায় অর্থাৎ সত্যজিত রায়ের ছবিতে তরুণ জিতু কমল যুবক ও বৃদ্ধ দুই রূপেই ধরা দিয়েছেন। জিতুর বয়স্ক সত্যজিৎ মেক আপ এই প্রথম। জিতু সৃজিতের পরিচালনাতেও অনবদ্য। ‘পদাতিক’ একটা বিশাল সময়কে ধরেছে ছবিতে। বহু বিখ্যাত মানুষের বহু ঘটনা ও তারা স্বয়ং ছবিতে উপস্থিত।
প্রথমেই বলতে হয় রবীন্দ্রনাথের (অলোকেশ ভট্টাচার্য) শোকমিছিল, সঙ্গে সাহানা বাজপেয়ীর কণ্ঠে অনবদ্য গান ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা’। দেখানো হল রবীন্দ্রনাথের দাড়ি ছিঁড়ে নেওয়ার ঘটনাও। জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, নিমাই ঘোষ, তরুণ অমিতাভ বচ্চন, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, শর্মিলা ঠাকুর, রঞ্জিত মল্লিক, সাবিত্রী চ্যাটার্জিসহ অনেক বড় বড় তারকা এসেছেন পুরনো দিনের ছবির দৃশ্যে। ছবির কিছু দৃশ্য দাগ কাটে গভীরে, যেমন মৃণাল-গীতার সংসারে হঠাৎই শেষ অবস্থায় ঋত্বিক ঘটকের (সত্রাজিৎ সরকার) লুচি-আলুরদম খেতে চলে আসা।
চলচ্চিত্রের তিন দেবতাকেও মেলালেন সৃজিত। একটি দৃশ্যে দেখা যায়, ঋত্বিক ঘটক মারা গেছেন, হাসপাতালে তার খাটের দু’দিকে দাঁড়িয়ে মৃণাল ও সত্যজিৎ। মৃণাল-সত্যজিতের শেষ বেলার আড্ডাটিও মন ছুঁল, দেখে মনে হচ্ছিল, মৃণাল সেন পূর্ণ জীবন বেঁচেছেন। আর ক’বছর বাঁচলেই তিনি শতায়ু হতেন। বেশিদিন বাঁচার কারণে তাকে বন্ধুদের মৃত্যু, সহকর্মীদের মৃত্যু, শালা অনুপ কুমারের মৃত্যু, স্ত্রী গীতার মৃত্যু- সব যন্ত্রণা দেখতে হয়েছে।
‘পদাতিক’ ছবির শক্তিশালী আরেকটি দিক হলো আবহ সঙ্গীত। এই প্রথম সোনু নিগম ও অরিজিত সিং- দু’প্রজন্মের বিখ্যাত গায়ক দ্বৈত সঙ্গীত গাইলেন সলিল চৌধুরীর ‘তু জিন্দা হে’ হিন্দি গণসঙ্গীতে। এই গানের দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় গায়ে কাঁটা দেয়। ছবির শেষেও রক্ত গরম করে দেয় কবীর সুমনের কণ্ঠে ‘জনতার হাতে হাতে’। রূপঙ্করের কণ্ঠে ‘ও আলোর পথযাত্রী’ বহুদিন মানুষের মনে থাকবে। আবহ সংগীতায়োজনে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
গত বুধবার গভীর রাতে বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা সাইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক দুর্বৃত্ত। বেশ কয়েকবার সাইফ আলিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার দেয়াল ভেদ করে বিলাসবহুল ওই ফ্ল্যাটে কীভাবে ঢুকল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা নিয়েও। এমনকি উঠে আসছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার কথাও।
জানা গেছে, দুই ছেলে ও স্ত্রী কারিনা কাপুরকে নিয়ে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অবস্থিত ‘সৎগুরু শরণ’ ১২ তলায় বসবাস করেন নবাব পরিবারের সদস্য সাইফ আলি খান। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ ঘরের ভেতর দেখা যায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে। একপর্যায়ে সাইফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্ত।
দ্রুত অটোরিকশায় করে সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে অভিনেতাকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে।
হামলার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। প্রকাশ করা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। হামলা নাকি ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে গিয়েছিল দুর্বৃত্ত সে প্রশ্ন আসছে বারবার।
নবাব পতৌদি সদস্য সাইফের সম্পত্তির মোট পরিমাণ ১২০০ কোটি টাকারও বেশি। সঙ্গে রয়েছে স্ত্রী কারিনা কাপুরের আনুমানিক ৪৮৫ কোটির আয়। শোনা যায়, একটি সিনেমায় সাইফ পারিশ্রমিক নেন ১০-১৫ কোটি টাকা। এছাড়াও বিজ্ঞাপন বাবদ নিয়ে থাকেন ১-৫ কোটি করে। বিপুল সম্পদের মালিক সাইফের বাড়িতে অর্থ লুটপাটের জন্য ওই দুর্বৃত্ত ঢুকেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে বিষয়টিকে আদৌ সে ভাবে দেখতে রাজি নন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ এবং প্রশাসন। কিন্তু তা বলে মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়।
এদিকে সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রায় ২৬ বছর আগে সালমান খানের সঙ্গে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সাইফ। রাজস্থানে ছবিটির শুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে।
সেই ঘটনায় সালমান ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর একের পর এক হুমকি ও হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। ফলে সাইফের ওপর হামলায় অনেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন।