কানের মার্শে দ্যু ফিল্মে আমন্ত্রিত নুহাশের ‘মুভিং বাংলাদেশ’

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নুহাশ হুমায়ূন ও ‘মুভিং বাংলাদেশ’ ছবির পোস্টার

নুহাশ হুমায়ূন ও ‘মুভিং বাংলাদেশ’ ছবির পোস্টার

কান উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্মে আমন্ত্রণ পেলো নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুভিং বাংলাদেশ’। এটি গত বছর ভারতের এনএফডিসি ফিল্ম বাজারের কো-প্রোডাকশন মার্কেটে নির্বাচিত হয়। কো-প্রোডাকশন মার্কেটের সেরা প্রজেক্টগুলো ফিল্ম বাজার ও কানের মধ্যকার সহায়তার অংশ হিসেবে মার্শে দ্যু ফিল্মে আমন্ত্রণ পায়। ‘মুভিং বাংলাদেশ’ সেভাবেই আমন্ত্রিত হয়েছে।

গত কয়েক বছর কানের মার্শে দ্যু ফিল্মে বাংলাদেশের কয়েকটি ছবি অংশ নিয়েছে। তবে সেগুলো প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে দেখানো হয়। ‘মুভিং বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে প্রথমবার বাংলাদেশের কোনো ছবি মার্শে দ্যু ফিল্মের কো-প্রোডাকশন ডে’র আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেলো। ছবিটির দুই প্রযোজক আরিফুর রহমান ও বিজন ইমতিয়াজ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
 
সত্যি ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘মুভিং বাংলাদেশ’-এর গল্প পাঠাও অ্যাপে অনুপ্রাণিত। ঢাকা শহরের তরুণ একজন উদ্যোক্তা একটি অ্যাপ বানিয়ে পরিবহন খাতে আমূল পরিবর্তন এনে দেন। যদিও পাঠাও প্রতিষ্ঠানটি ছবিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।    

কানের মার্শে দ্যু ফিল্মে আমন্ত্রণ পাওয়া প্রসঙ্গে নুহাশ হুমায়ূন বলেন, ‘সিনেমা বানাতে সময় ও পরিশ্রম লাগে। আমাদের গর্ব হবে এমন কিছু তৈরির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, ২০২২ সালের মাঝামাঝি এটি দেখাতে পারবো। এর মধ্যে এমন আমন্ত্রণ আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্য বিশাল উত্সাহ জোগাবে। আমাদের এই প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ ও এর বাইরেও অনেকে আস্থা রেখেছেন জেনে দারুণ লাগছে। দেশীয় সিনেমার অন্যান্য চমৎকার খবর পেয়েছেন, বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।’

প্রযোজক আরিফুর রহমান বলেন, “বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলে চলচ্চিত্র প্রযোজনা নিয়ে আমি পড়াশোনা করছিলাম, তখন নূহাশ আমাকে প্রথম গল্পটি বলেছিলো। বুসানে এশিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমিতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন নূহাশ। আর বিজন যোগ দিয়েছিলো আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের যৌথ প্রযোজিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘রোকাইয়া’র এশিয়ান প্রিমিয়ারে। এরপর আমাদের লম্বা পথচলায় আমাদের অংশীদারিত্ব তৈরি হয়। ‘মুভিং বাংলাদেশ’-এর চিত্রনাট্য তৈরির সময় থেকেই আমি দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।  গল্প লেখক ও পরিচালক হিসেবে নূহাশের আবেগ ও অনুভবশক্তি চমৎকার। তিনি যা বিশ্বাস করেন সেই গল্পটাই বলতে চান। আর প্রযোজক হিসেবে আমি বলতে পারি, ‘মুভিং বাংলাদেশ’ সারাবিশ্বকে সম্পৃক্ত করার মতো ছবি।”

‘মুভিং বাংলাদেশ’ ছবির সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রযোজক হিসেবে যুক্ত আছেন ফ্রান্সের বিখ-কোয়ান থান ও তাইওয়ানের প্যাট্রিক মাও হুয়াঙ।
বিজ্ঞাপন